সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৪ নম্বর সতর্কতা সংকেত

সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৪ নম্বর সতর্কতা সংকেত

নিম্নচাপের কবলে পড়ে বঙ্গোপসাগরে ভাসছে ৪ মাঝিমাল্লা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৪ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। 
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। সেই সাথে তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করতে বলা হয়েছে।
দক্ষিণ পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত নিম্নচাপটির প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগররে গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালার সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্র বন্দরসমূহের উপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
শনিবার আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।
গাইবান্ধায় শিক্ষা বিস্তারের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ!

গাইবান্ধায় শিক্ষা বিস্তারের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ!


নিরক্ষর মানুষদের মধ্যে বিনা পয়সায় শিক্ষার আলো বিস্তারের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ চোখে পড়েছে গাইবান্ধার প্রত্যন্ত এক গ্রামে। লেখাপড়া না জানা মানুষদের জন্য গড়ে তোলা এই প্রতিষ্ঠানের নাম অন্ধজনে আলোর পথ। রাতের বেলা সেখানে ’অ, আ, ক, খ’র মতো বাংলা বর্ণমালার সাথে পরিচয় হচ্ছেন দিন মজুর, কৃষক, শ্রমিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।সন্ধ্যার পরপরই গাইবান্ধা সদর উপজেলার বালুয়া বাজারের এককোন থেকে ভেসে আসে পড়াশোনার এমন আওয়াজ। এটি কোন কোচিং, কিন্ডার গার্টেন বা স্কুল নয়। আর এখানে যারা পড়াশোনা করেন তাদের অনেকেই কাঁচামাল ব্যবসায়ী। কেউ শ্রমিক কেউ দিন মজুর। যার যার কাজকর্ম সেরে রাতের বেলা মোমের আলোয় পড়াশোনা করেন এখানে।এ বিষয়ে স্থানীয় জনসাধারণের বক্তব্য, ’শহরে যাই, গ্রামে-গঞ্জে যাই বা হাট-বাজারে যাই, হাটের নাম বলতে পারি না। হিসাবপাতি সঠিক মতন করতে পারি না। সেই কারণে আমরা এই উদ্যোগটা নিলাম।’জীবনের মধ্য বা শেষ বয়সে এসেও দমেনি এই মানুষগুলো। পড়াশোনা শেখার অদম্য ইচ্ছা তাদের টেনেছে এই প্রতিষ্ঠানে। পথ চলতে গিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত হয়ে নিরক্ষর এই মানুষগুলো বুঝতে পেরেছে পড়াশোনার বিকল্প নেই।এ বিষয়ে স্থানীয় লোকেরা বলেন, ’এখানে অ, আ শিখতে আসছি। শিখে ব্যবসা-বানিজ্য করব। বাকি-টাকি দিলে লিখতে পারব। মুর্খ মানুষ লেখাপড়া জানি না, এখানে শিখবার আসছি।’শুধু অক্ষর জ্ঞান নয়, বাল্য বিবাহ, যৌতুকসহ বিভিন্ন সামাজিক ব্যাধী সম্পর্কেও এখন সচেতন এই মানুষ গুলো।এ প্রসঙ্গে তারা বলেন, ’আমাদের স্যারেরা বলল, অল্প বয়সে বা কম বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া যাবে না। মেয়েদের বিয়ে দিলে অসুখ বিসুখ হবে, যৌতুক নেয়া যাবে না।’নিরক্ষর এই মানুষগুলোকে অক্ষর জ্ঞান দেয়ার উদ্দেশ্যে ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগ বলে জানালেন স্কুল শিক্ষক খাজা নাজিমুদ্দিন।এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অন্ধজনে আলোর পথ স্কুলের উদ্যোক্তা খাজা নাজিম উদ্দিন সময় সংবাদকে বলেন, ’এই সমস্ত লোক আমি যদি শিক।সা দিতে পারি, তাহলে তারা লিখতে পারবে, পড়তে পারবে, হিসাব করতে পারবে।’শিক্ষার আলো বিস্তারের এই উদ্যোগের প্রশংসা করলেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, ’আমি তাকে সাধুবাদ জানাই এবং ধন্যবাদ জানাই খাজা নাজিমুদ্দিনকে এবং তার উদ্যোগ অব্যাহত রাখুক এবং এই উদ্যোগ ইউনিয়নের প্রতিটি প্রান্তে প্রান্তে ছড়িয়ে পরুক।’প্রায় তিন মাস ধরে এখানে ৩০ জন নিরক্ষর মানুষের মধ্যে শিক্ষা বিস্তার করছেন এই স্কুল শিক্ষক।
বাংলাদেশ-চীন ব্যবসায়ীদের মধ্যে ১৩.৬ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি সম্পূর্ণ

বাংলাদেশ-চীন ব্যবসায়ীদের মধ্যে ১৩.৬ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি সম্পূর্ণ

China_president-1
বাংলাদেশ ও চীনের ব্যবসায়ীদের মধ্যে ১৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসায়িক চুক্তি সই হয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এফবিসিআই এবং চায়না বিজনেস ফোরামের বৈঠকে এ চুক্তি হয়।

বৈঠক শেষে এফবিসিসিআই এর সভাপতি মাতলুব আহমাদ জানান, চীনের ১৫টি কোম্পানির সঙ্গে বাংলাদেশের ১৫টি কোম্পানির মধ্যে ১৯টি চুক্তি হয়েছে।
তবে চুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত কিছু না জানালেও এ চুক্তির সংখ্যা বেড়ে ৫০ হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
পোশাক কারখানার চাকরি নারীদের বাল্য বিবাহ কমিয়েছে : গবেষণা তথ্য

পোশাক কারখানার চাকরি নারীদের বাল্য বিবাহ কমিয়েছে : গবেষণা তথ্য

Image result for garments in bangladesh
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের জীবন খুব একটা সুখের নয়। নানা সমস্যা নিয়ে তাদের জীবন অতিবাহিত করছেন। তবে এই চাকরি বাংলাদেশের নারী শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে এবং বাল্য বিবাহ হ্রাসে সহযোগিতা করছে বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটন-এর নতুন এ গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানার চাকরি নারীদের জীবনমান উন্নয়নে সাহায্য করেছে, তাদেরকে আরো বেশি সময় স্কুলে থাকতে উৎসাহিত করছে আর সবচেয়ে বড় যে উপকারটি করছে, তা হচ্ছে- এই চাকরি মেয়েদের বাল্য বিবাহের হার হ্রাসে ও অল্প বয়সে মা হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করছে।
রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে উপচেপড়া ভিড়

রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে উপচেপড়া ভিড়


Image result for park in bangladeshগত তিন মাস ধরে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে হরতাল-অবরোধে নাকাল রাজধানীবাসী। গতকাল বুধবার হরতাল না থাকায় এবং আজ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সারাদেশের মানুষ ঘরের বাইরে বের হয়েছিল স্বতস্ফূর্তভাবে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শহীদ প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জাতীয় স্মৃতি সৌধে ভিড় করেন। এছাড়াও সাধারণ মানুষ মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাতে ভিড় করেন শহীদ স্মৃতি স্থাপনাগুলোতে।
স্বাধীনতা দিবসের ছুটিতে রাজধানী ও আশপাশের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ছিল উপচেপড়া ভিড়। যার রেশ পড়েছিল শহরের মূল সড়কগুলোতে। মূলত নগরীর প্রায় সব বয়সী মানুষের গন্তব্য ছিল শাহবাগের শিশু পার্ক, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানা, পুরান ঢাকার ঐতিহাসিক লালবাগ কেল্লা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা।
হরতাল-অবরোধের নতুন অস্ত্র

হরতাল-অবরোধের নতুন অস্ত্র


হরতাল-অবরোধের নতুন অস্ত্র

২০ দলীয় জোটের ডাকা অবরোধ পালনে নতুন নতুন পন্থা অবলম্বন করছে দুর্বৃত্তরা। বাসে আগুন পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ কোনটাই যেন থামছে না।
এবার বের করেছে মোটা রড দিয়ে তৈরি করা ত্রিফলা। অবরোধে রাস্তা বন্ধ করতে এই অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এই অস্ত্রের প্রতিটি ফলার উচ্চতা গড়ে ৪ ইঞ্চি। বালুর ছোট ব্যাগের ভেতর ঢুকিয়ে ঢাকা-দিনাজপুর মহাসড়কের উপর ফেলে রাখা হয়েছিল। সোমবার রাতে দিনাজপুরের বিরামপুরের ধানহাটির মোড়ে রাস্তার উপর পড়ে থাকা বালুর ব্যাগ থেকে পুলিশ এই অস্ত্র দুটি উদ্ধার করে।
টানা অবরোধের ১৬ তম দিন আজ। এই পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২৮ জন। যার মধ্যে পেট্রোল বোমা ও আগুনে নিহত হয়েছেন ১৩ জন, সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ১০ জন। এছাড়া আরও আছেন ৫ জন। ৬১৮ টি যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে। আর ৪ দফায় নশকতা করা হয়েছে রেলে। বাদ যায়নি লঞ্চে আগুন দেওয়া। গতকাল বরিশাল থেকে ঢাকা আসার পথে দুটি লঞ্চের ৩ তলায় কেবিনে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।
আমার ছেলেকে আমাকেই চিকিৎসা করতে দিন

আমার ছেলেকে আমাকেই চিকিৎসা করতে দিন

নারায়ণগঞ্জ:কোলে থাকা আড়াই বছরের শিশু শাফিনের গায়ে পেট্রল ঢেলে দেওয়ার কারণে আগুন ধরে যায়। জলন্ত অবস্থায় ছেলেকে নিয়ে বাসের জানালা দিয়ে নিচে লাফ দিই। ততক্ষণে আমার ছেলের শরীরের অনেকাংশ পুড়ে গেছে। আগুন দিবে ভালো কথা কিন্তু আমাদের জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যার এ কেমন চেষ্টা। আমার চিকিৎসা লাগবে না, আমার ছেলেকে আমাকেই চিকিৎসা করতে দিন।’

রোববার রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নেওয়ার সময়ে এভাবেই চিৎকার করে কথাগুলো বলতে থাকেন ডা. শারমিন সিদ্দিকী।
স্কুলের পথে যাত্রা: ছোট বেলায় আপনি কিভাবে স্কুলে গিয়েছিলেন?

স্কুলের পথে যাত্রা: ছোট বেলায় আপনি কিভাবে স্কুলে গিয়েছিলেন?

লক্ষাদিক আনন্দের একটি স্থান হল আমাদের প্রিয় স্কুল (পড়ালেখা  আর পরীক্ষার কথা বাদ দিলে)। বছরের শুরু থেকে ইতিমধ্যে সারা বিশ্বের অনেক দেশে ক্লাস শুরু হয়ে গেছে ।  কিন্তু বিশ্বের কিছু অংশে রয়েছে এমন কিছু স্কুল যেখানে যাওয়া অনেকটা কষ্টকর ব্যাপার। সারা বিশ্বের অনেক শিশুকে শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য সবচেয়ে কষ্টকর, অবিশ্বাস্য এবং অকল্পনীয় যাত্রা পথে চলতে হয়।
একজন মহানায়কের গল্প...

একজন মহানায়কের গল্প...


ইমন নাম ছেঁটে ফেলে বাংলা চলচ্চিত্রে সালমান শাহ নামে আগমন তাঁর। তিনি এলেন, দেখলেন জয় করলেন- এই কথাটা বাংলা সিনেমার জগতে একমাত্র তাঁর সাথেই সহজে মানিয়ে যায়। কারণ সালমান রুপালি পর্দায় এসেই জয় করে নিয়েছিলেন, এখনো জয় করে চলেছেন দর্শকদের ভালোবাসা। আর তাইতো আজ ১৮ বছর পরে এসেও মানুষ এই মহানায়কের মৃত্যুর দিনটাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। মৃত্যুর পরেও তাই আজও সালমান চির অমর হয়ে রয়েছেন দর্শকদের হৃদয়ে।
বড় পর্দায় অভিনয়ে সালমানকে একজন প্রেমিক, কলেজ ছাত্র, কখনো পাগলের ভুমিকায় অভিনয় করতে দেখা গেছে। কখনো মনে হয়নি, এখনো সেই সিনেমাগুলো দেখলে মনে হয়না তিনি অতি অভিনয় করছেন। সব চরিত্রকেই নিজের সাথে মানিয়ে নিতে পারতেন তিনি।
কী এমন জাদু ছিল যার দরুন এই অভিনেতাকে দর্শক বছরের পর বছর তাদের মনে রাজার আসনে বসিয়ে রেখেছেন? মৃত্যুর দেড়যুগ পরও জনপ্রিয়তার ভাটা পড়েনি এতোটুকু? এমন প্রশ্নের জবাবে তার আরেক সহকর্মী চিত্রনায়ক ওমর সানি জানালেন, সালমানের ভিতর কী যেন অজানা একটা ব্যাপার ছিল। বিশেষ করে তার কস্টিউমের ক্ষেত্রে বরাবরই ভিন্নতা দেখেছি। যেমন মাথায় কাপর বাঁধা, কিংবা ধরুন প্যান্ট একটু নিচু করে পরা। এই সব কিছুই সালমানকে অন্যদের থেকে আলাদা করতো। আমি মনে করি প্রতিটি শিল্পীর একটা নিজস্বতা থাকা দরকার। যাতে করে মানুষ যদি রেডিওতে কথা শুনেও বুঝতে পারেন কোন শিল্পী কথা বলছেন। আমার কাছে মনে হয় সালমান সেটি করতে পেরেছিলেন। সে যুগের থেকেও এগিয়ে ছিল। তাই এযুগের নায়করাও তাকে অনুকরণ করেন।
ওমর সানি কথা ধরে বলতে গেলে, সত্যি সালমানের সেই নিজের করা স্টাইল গেঁথে ছিল তার লাখো ভক্তের হৃদয়ে। সেসময় তাকে অনুকরুণ করার চেষ্টা ছিল অনেকের মাঝেই। এছাড়াও তার সাবলীল অভিনয়ের দক্ষতার জন্য আজও বাংলা সিনেমার বর্তমান প্রজন্মের নায়করা সালমানকে তাদের আইডল মানতে দ্বিধা করেন না। এক কথায় বলা যায় তার মতো কেউ ছিলেন না, কেউ নেই, আর কেউ আসবেনও না। সালমান শাহ এর কোন বিকল্প নেই। তিনি একজন মহানায়ক হয়ে বেঁচে থাকবেন যতদিন বাংলা ছবি থাকবে, বাংলা ছবির দর্শক থাকবেন। বেঁচে থাকবেন মানুষের হৃদয়ের মণি কোঠায়।
সালমান শাহর অভিনীত ছবি ও ব্যাক্তি জীবনের কিছু তথ্যপ্রকৃত নাম: শাহরিয়ার চৌধূরী ইমন
চলচ্চিত্রে দেয়া নাম : সালমান শাহ
জন্ম তারিখ : ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১
মৃত্যু : ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬
চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার: ১৯৯৩-১৯৯৬
অভিনীত চলচ্চিত্র : ২৭টি
নাটক: পাথর সময় (১৯৯০), ইতিকথা (১৯৯৪)।
একক নাটক: আকাশ ছোঁয়া (১৯৮৫), দেয়াল (১৯৮৫), সব পাখি ঘরে ফিরে (১৯৮৫), নয়ন (১৯৯৬), স্বপ্নের পৃথিবী (১৯৯৬)।
বিজ্ঞাপন: ইস্পাহানি গোল্ডস্টার টি (১৯৮৩), জাগুয়ার কেডস (১৯৮৪), মিল্কভিটা (১৯৮৮), কোকা-কোলা (১৯৮৯), ফানটা (১৯৯১), জাগুয়ার কেডস (১৯৮৫)।
অভিনীত চলচ্চিত্র সমূহ : কেয়ামত থেকে কেয়ামত, অন্তরে অন্তরে, দেন মোহর, তোমাকে চাই, বিক্ষোভ, বিচার হবে, চাওয়া থেকে পাওয়া, আনন্দ অশ্রু, আশা ভালবাসা, জীবন সংসার, মহা মিলন, স্বপ্নের পৃথিবী, স্বপ্নের ঠিকানা, এই ঘর এই সংসার, আঞ্জুমান, কন্ন্যাদান, মায়ের অধিকার, প্রেম যুদ্ধ, স্নেহ, সত্যের মৃত্যু নাই, সুজন সখী, তুমি আমার, প্রিয়জন, স্বপ্নের নায়ক, বুকের ভিতর আগুন, প্রেম পিয়াসী।
জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা বাতিলের দাবিতে পেশাজীবিদের বিক্ষোভ

জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা বাতিলের দাবিতে পেশাজীবিদের বিক্ষোভ


সাংবাদিক ও পেশাজীবি নেতারা বিক্ষোভ প্রর্দশন করে সরকার ঘোষিত জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা অবিলম্বে বাতিলের দাবি জানিয়েছেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবে আজ মঙ্গলবার বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ দাবি জানায়। নেতারা বলেন, অবৈধ সরকারের কোনো ধরণের আইন ও নীতিমালা করা নৈতিক অধিকার নেই। এই নীতিমালা প্রয়োগ হলে সকল গণমাধ্যম সরকারি প্রচারপত্রে পরিণত হবে। এজন্য আমরা এই নীতিমালা ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছি। তারা বলেন, এই নীতিমালা অত্যান্ত ষড়যন্ত্রমূলক। যারা এই নীতিমালার পক্ষে আছেন তারা গণমাধ্যমবিরোধী। এর পেছনে সরকারের গভীর রাজনৈতিক উদ্দ্যেশ্যে রয়েছে। এটি শুধু গণমাধ্যম নয় জনগণের বাকস্বাধীনতা হরণ করবে। বিএফইউজের সভাপতি শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, নিউজ টুডে সম্পাদক রিয়াজ উদ্দীন আহমেদ, বিএফইউজের সাবেক সভাপতি রুহুল আমীন গাজী, বর্তমান মহাসচিব এম এ আজিজ, সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের সদস্য সচিব ডাঃ এজেডএম জাহিদ হোসেন প্রমুখ।
সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগারের অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে

সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগারের অস্তিত্ব এখন হুমকির মুখে


প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি ও বিশ্ব সেরা ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনের অতন্দ্র প্রহরী রয়েল বেঙ্গল টাইগারের অস্তিত্ব আজ নানা কারনে আজ হুমকির মুখে পড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন, লবনাক্ততা বৃদ্ধি, আবাসস্থল নষ্ট, খাদ্য সংকট, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, চোরা শিকারীদের তৎপরতা সহ মনুষ্য সৃষ্টি নানা জটিলতায় বিলুপ্ত হতে চলেছে বিশ্ব ঐতিহ্যের ধারক সুন্দরবনের ডোরাকাটা বাঘ। সর্বশেষ জরিপে সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা ৩৫০ থেকে ৫০০ বলে ধারণা করা হয়। বিশেষজ্ঞদের ধারনা পরোক্ষভাবে সুন্দরবনের নিয়ন্ত্রন বনদস্যু ও জলদস্যুদের হাতে চলে যাওয়ায় তাদের শিকার হয়েছে শতাধিক বাঘ। খাদ্য ও আবাসস্থল সংকটে দু’শতাধিক বাঘ পাড়ি জমিয়েছে সুন্দরবনের ভারতের অংশে। বাঘ সংরক্ষণে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে বাংলাদেশ টাইগার অ্যাকশন প্ল্যান কার্যত কোনো কাজে আসেনি। দূর্নীতি হয়েছে প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সুন্দরবনের উপর নানা হুমকি ও চোরা শিকারীদের কারনে বড় ধরনের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশর বাঘ। জানাগেছে, ১৯০০ সালের দিকে বিশ্বে বাঘের সংখ্যা ছিল প্রায় ১ লাখ। বর্তমানে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭ হাজারেরও কম। যার প্রায় অর্ধেক বাঘ রয়েছে ভারতে। সারা বিশ্বে বন উজাড় ও প্রতিনিয়ত চোরা শিকারীদের হাতে বাঘ হত্যার ফলে বর্তমানে প্রাণীটি মহাবিপন্ন প্রজাতি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। পৃথিবীর মাত্র ১৩ টি দেশে বাঘের অস্তিত্ব বিদ্যমান। বাংলাদেশ ছাড়া অন্যান্য দেশগুলো হচ্ছে, ভারত, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, চীন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, লাওস, ভুটান, নেপাল ও রাশিয়া। বাঘ সমৃদ্ধ দেশগুলোকে নিয়ে গড়ে উঠেছে‘টাইগার রেঞ্জ কান্ট্রি’(টিআরসি)। বাঘ বিলুপ্তি রোধকল্পে এর অধ্যুষিত ও সংরক্ষণ বিষয়ে সহায়তাদানকারী দেশগুলো নিয়ে ১৯৯৪ সালের মার্চে ভারতের রাজধানী দিল্লিতে আর্ন্তজাতিক সংস্থা গ্লোবাল টাইগার ফোরাম’(জিটিএফ) প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্বব্যাপী বাঘ ও বাঘ সমৃদ্ধ বনাঞ্চলগুলো সংরক্ষণে সহায়তা দান করছে বিশ্বব্যাংক, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ইউ,এস,এইড গ্লোবাল টাইগার ইনশিয়েটিভ (জিটিআই), জিআইজেড প্রভৃতি আন্তোর্জাতিক সংস্থা। টি আর এ এফ আই সি প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০০০ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে ১৩টি বাঘ সমৃদ্ধ দেশে ৬৫৪টি বাঘের চামড়া, দেহাবশেষ ও হাড় জব্দ করা হয়েছে। ধারণা করা হয় ঐ সময়ের মধ্যে ১ হাজার ৪২৫টি বাঘ মারা গেছে। ২০১০ সালের ২০-২৪ নভেম্বর রাশিয়ার সেন্ট পির্টার্সবার্গে‘টাইগার সামিট’ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঘোষণার মূল বিষয়গুলো ছিল আগামী ২০২২ সালে বাঘের আবাসস্থল হিসেবে চিহ্নিত বনাঞ্চলগুলোকে সর্বাধিক গুরুত্বের সঙ্গে সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা, বাঘের আবাসস্থালকে জীববৈচিত্র সংরক্ষণের মূল আধার হিসেবে চিহ্নিত করে কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ, বাঘ সমৃদ্ধ বনাঞ্চলে কোনো শিল্প কারখানা স্থাপন, খনিজ পদার্থ উত্তোলন বা পরিবেশ দূষণের মত কোনো কর্মকান্ড পরিচালনা না করা, বনাঞ্চলের চলমান টহল ব্যবস্থাকে উন্নত করে বাঘ ও বাঘের শিকার প্রাণীর নিধন বন্ধ করা, বাঘ সংরক্ষণে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টি প্রভৃতি। বনের জীব-বৈচিত্র, খাদ্য শৃঙ্খল ও প্রতিবেশ চক্রের প্রধান নিয়ন্ত্রক বাঘ। বনের প্রাকৃতিক বংশ বৃদ্ধি যাতে ব্যাহত না হয় সে জন্য বাঘ তৃণভোজী প্রাণী যেমন, হরিণ, শূকর, বন গরু ইত্যাদি শিকার করে বনের প্রতিবেশ চক্রকে নিয়ন্ত্রন করে থাকে। বাঘ বন রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরী এবং তার নির্দ্ধারিত আবাসস্থলে অন্য কোনো বাঘ বা মানুষের পদচারনা সহ্য করেনা। বাঘ একটি বনের জীববৈচিত্রের মাত্রা নিরুপনের নির্দেশক। যে বনের অবস্থা যত ভাল সেখানে বাঘের সংখ্যা ও তত বেশি থাকে। বাঘ কমে যাওয়ার অর্থ বনাঞ্চলের অবস্থা বা বাঘের আবাসস্থল বিরুপ পরিস্থিতির সম্মুখিন। তাই বাঘ সংরক্ষণ কেবল মাত্র একক প্রজাতি ব্যবস্থাপনা নয় এর সঙ্গে অন্যান্য উদ্ভিদ ও প্রাণীর জন্য প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রেখে তাদের বসবাস, খাদ্য নিরাপত্তা এবং প্রজনন নিয়ন্ত্রন করা। আর এ কারনেই মূলত মহাবিপদাপন্ন প্রজাপতির বাঘ রক্ষায় বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থা স্বোচ্ছার হয়ে উঠেছে। ২০০৪ সালে ইউএনডিপি, বাংলাদেশ ও ভারতের বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় বাঘের পদ (পা) চিহ্নের ওপর ভিত্তি করে একটি জরিপ পরিচালিত হয়। সেই জরিপে সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা ছিল ৪৪০টি। এর মধ্যে পুরুষ বাঘ ১২১টি, মা বাঘিনী ২৯৮ টি ও বাচ্চা ২১ টি ছিল। পরিবেশবিদদের মতে ১৯৭৫ সালের পর সুন্দরবনে আর বাঘ বাড়েনি। বন বিভাগের পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত এক দশকে সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগে ২৪টি ও পূর্ব বিভাগে ১২টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সাতক্ষীরা রেঞ্জের সবচেয়ে বেশী ১৪টি বাঘ গণপিটুনির শিকার হয়ে মারা গেছে। খুলনায় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের হিসেব অনুযায়ী ২০০২ পর্যন্ত বিভিন্ন ভাবে সুন্দরবনে ১২০টি বাঘ হত্যা করা হয়েছে। বনবিভাগের তথ্যানুযায়ী ১৯৮১-২০০৪ পর্যন্ত ৫৩টি বাঘ হত্যার শিকার হয়। ১৯৮১, ৮২, ৮৪, ৮৫, ৮৭ ও ১৯৯৫ সালে কোনো বাঘ মৃত্যুর শিকার হয়নি। ১৯৮৩ সারে ৩টি, ১৯৮৬ সালে ২টি, ১৯৮৮ সালে ১টি, ১৯৯০ সালে ২টি, ১৯৯১ সালে ৪টি, ১৯৯২ সালে ১টি, ১৯৯৩ সালে ৪টি ১৯৯৪ সালে ২টি, ১৯৯৬ সালে ৫টি, ১৯৯৭ সালে ৮টি, ১৯৯৮ সালে ২টি, ৯৯ সালে ৪টি, ২০০০ সালে ৫টি, ২০০১ সালে ১টি, ২০০২ সালে ৩টি, ২০০৪’সালে ৪টি, ২০০৫ সালে ৬টি, ২০০৭ সালে ৪টি, ২০১১ সালে ৪টি ও ২০১২ সালে ১টি বাঘ প্রাণ হারায়। স্থানীয়রা এর পেছনে ৮টি কারণ চিহ্নিত করেছে যার মধ্যে পাকৃতিক দুর্যোগ (ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাস), লবনাক্ততা বৃদ্ধি, খাদ্য সংকট, আবাস ধ্বংস ও চোরা শিকারিদের অপতৎপরতা। তবে প্রতি বছর প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও চোরা শিকারিদের হাতে নিহত বাঘের কোনো সঠিক পরিসংখ্যান জানা নেই কারো। ২০১২ সালের ১১জুন ঢাকার শ্যামলীর একটি বাড়ি থেকে র‌্যাব ৩টি বাঘের শাবক উদ্ধার করে। সূত্র জানায়, ঐ বছর জুনের প্রথম দিকে সুন্দরবনের সাতক্ষীরা এলাকা থেকে বাঘ পাচারকারী চক্র শাবক ৩টি তাদের মায়ের চোখকে ফাঁকি দিয়ে চুরি করে প্রথমে সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী গ্রামের এক ব্যক্তির মুরগীর ঘরে নিয়ে রাখে এরপর সেখান থেকে পাচার করা হয় ঢাকায়। এছাড়া কৈখালী ফরেস্ট অফিসের বন কর্মকর্তারা কৈখালী নদীর চর থেকে একটি মৃত বাঘ উদ্ধার করে। যার দাঁত, চামড়া, নখসহ বিভিন্ন অঙ্গ পাওয়া যায়নি। বনবিভাগ ও এলাকাবাসী জনায়, ১৯৯৮ সালের ২৬ মার্চ শ্যামনগরের দাতনিখালী গ্রামে একটি বাঘ ঢুকে পড়লে এলাকাবাসী বাঘটিকে গুলি করে হত্যা করে। এর একদিন পর একই এলাকায় আরো একটি বাঘ গণপিটুনিতে মারা যায়। ২০০৮ সালের ২০ জুন সন্ধ্যায় শ্যামনগরের দক্ষিণ কদম তলা গ্রামে একটি বাঘ প্রবেশ করে। এসময় তার আক্রমনে ১ গৃহবধূসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়। আহত হয় আরো ২জন। এ ঘটনার পরের দিন এলাকাবাসী বাঘটিকে পিটিয়ে হত্যা করে। ২০০৯ সালের ২জুন সুন্দরবনের চুনা নদী পার হয়ে শ্যামনগরের খলিশাবুনিয়া গ্রামের কালীবাড়ী নামক স্থানে একটি বাঘ ঢুকে পড়ে। এতে ৩জন আহত হয়। ঘটনার প্রায় ১০ ঘন্টা পর গ্রামবাসী গলায় ফাঁস দিয়ে বাঘটিকে হত্যা করে। ২০১০ সালের জানুয়ারীতে একটি বাঘ লোকালয়ে প্রবেশ করে চন্ডিপুর গ্রামের খোরশেদ আলীর রান্না ঘরের চালের উপর অবস্থান নেয়। গ্রামবাসী বাঘটিকে ঘেরাও করে বনবিভাগ ও পুলিশের খবর দেয়। ১২ঘন্টা পর বনবিভাগ কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় গ্রামবাসী বাঘটিকে পিটিয়ে হত্যা করে। ২০১১ সালের ২৫ মার্চ শ্যামনগরের ভোলাখালী গ্রামে জনতায় গনপিটুনিতে মারা যায়। ২০১৩ সালের ২১ জুলাই কৈখালী এলাকায় এলাকাবাসী আরো একটি বাঘকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। প্রতি বছর শীত মৌসুমে বাঘের আনাগোনা দেখা গেলেও এবার আর দেখা যায়নি। অথবা দীর্ঘ দিন হল মানুষের উপর বাঘের আক্রমন বা লোকালয়ে বাঘের অনুপ্রবেশর খবর পাওয়া যায়নি। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে সুন্দরবন থেকে রয়েল বেঙ্গল টাইগার বিলুপ্ত হতে চলেছে। নানা প্রতিকূলতায় অনেক বাঘ পাড়ি জমিয়েছে ভারতের অংশে। প্রসঙ্গত, পশ্চিম সুন্দরবনের মীরগাং, পার্শ্বেখালী, মুন্সিগঞ্জ, হরিনগরের কাঠ পাচারকারী চক্র প্রতিনিয়ত টেংরাখালী ও মীরগাং ফরেস্ট কর্মকর্তাদের নাকের ডগার উপর দিয়ে কাঠ পাচার করছে। কয়রা থেকে বনদস্যুরা জেলে সেজে কদমতলা অফিস থেকে পাশ পারমিট নিয়ে বনদস্যুদের অস্ত্রসহ বিভিন্ন সামগ্রী সরবরাহ করছে। এজন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়েছে সর্বশেষ বাঘ শুমারী। গত বছর সেপ্টেম্বরে সুন্দরবনে ৬০ টি ইনফ্লারেড ক্যামেরা ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে ডোরা কাটা দাগ দেখে বাঘ শুমারীর আয়োজন করলেও তা শেষ পর্যন্ত থমকে যায় বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তারা ভাটির সময় ছোট ছোট শাখা খালে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন করছে। ইতোপূর্বে সংঘবদ্ধ চক্রটি খুলনা রেঞ্জের নীলকোমল এলাকায় বিষ প্রয়োগ ও ফাঁসীতে হরিণ মারা সহ বনদস্যুদের সহযোগী হিসেবে কাজ করার দায়ে তাদের খুলনা রেঞ্জ থেকে বিতাড়িত করা হয়। সুন্দরবনের বাঘের দিকে লোলুপ দৃষ্টি পড়েছে আন্তর্জাতিক বাঘ শিকারী সিন্ডিকেটের। কয়েক বছর ধরে চক্রটি সুন্দরবনে বিষটোপ ও ফাঁদ পেতে ও গুলি করে বাঘ শিকার করে তার চামড়া, মাথা ও হাড়-গোড় পাচার করে চলেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে প্রায় ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার আয়তনের সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের আয়তন ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটারের মধ্যে বর্তমানে শতাধিক বাঘও নেই বলে স্থানীদের ভাষ্য। সরকার সুন্দরবন সংরক্ষণ ও সুরক্ষার জন্য বনে সব ধরণের সম্পাদ আহরণ নিষিদ্ধ’র পরিকল্পনা এমনকি সুন্দরবন সংরক্ষণ ও পর্যটকদের নিরাপত্তায় প্রশিক্ষিত ‘গাইড’ ছাড়া সুন্দরবন ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা নীতিমালা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। তবে তা বাঘ রক্ষায় কতটা কার্যকর হবে তাই এখন দেখার বিষয়। প্রতি বছর ২৯ জুলাই আন্তর্জাতিক বাঘ দিবস পালিত হয়ে আসছে। তবে এবছর ঐ দিন পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর থাকায় জাতীয় ভাবে ঘটাকরে পালন করা হয়নি আন্তর্জাতিক বাঘ দিবস। সুন্দরবন সংলগ্ন খুলনার কয়রা ও সাতক্ষীরার শ্যামনগরেও সরকারি বা বেসরকারি কোনো সংগঠন পালন করেনি বাঘ দিবস। বন ও পরিবেশ মন্ত্রনালয় থেকে ৭ আগস্ট বাঘ দিবস পালনের কথা জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের পোশাক কারখানা নিয়ে মালিকরা আতঙ্কে

বাংলাদেশের পোশাক কারখানা নিয়ে মালিকরা আতঙ্কে

 
গত বছরের ১লা ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশে পোশাক কারখানায় নতুন মজুরি কার্যকর হয়। ৭৭ ভাগ মজুরি বৃদ্ধি পেয়ে শ্রমিকদের এখন সর্বনিম্ন মজুরি দাড়িয়েছে ৫,৩০০ টাকা। কিন্তু মজুরি বৃদ্ধির এই চাপ সহ্য করতে পারছে না অনেক পোশাক কারখানাই। এর মূল কারণ, আন্তর্জাতিক ক্রেতারা পোশাকের দাম বাড়াচ্ছে না। ফলে ছোট ছোট অনেক পোশাক কারাখানা এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানান তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ-র সহ সভাপতি শহীদুল আযিম। ৯৪৬টি পোশাক কারখানার ওপর জরিপ চালিয়ে দেখা গেছে যে, তাদের মাত্র ৪০ ভাগ নতুন মজুরি বাস্তবায়ন করতে পেরেছে। শহীদুল আযিম জানান, ‘‘অনেক পোশাক কারখানারই নতুন মজুরি বাস্তবায়নের সক্ষমতা নেই।'' কাজের পরিবশে এবং নিরাপত্তা ইস্যুতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলি গত ছয় মাসে ১১ কোটি ডলারের কার্যাদেশ হারিয়েছে। এরপরেও আরো কার্যাদেশ বাতিলের আশঙ্কা করছে বিজিএমইএ। বিজিএমইএ-র সভাপতি আতিকুল ইসলাম জানান, ‘‘৫৭টি পোশাক কারখানা থেকে গত ছয় মাসে ১১ কোটি ডলারের কার্যাদেশ বাতিল হয়েছে। সংখ্যার হিসাবে যা প্রায় ২০ কোটি পিস পোশাক।'' তিনি জানান, ‘‘পোশাক শিল্পের ৪০ শতাংশ কারখানাই শেয়ার্ড বিল্ডিংয়ে। সেখানে শ্রমিকদের নিরাপত্তা ইস্যুই এখন প্রধান। এ সব কারখানায় শতকরা ১৫ ভাগ শ্রমিক কাজ করেন। এভাবে কার্যাদেশ বাতিল হলে লাখ লাখ শ্রমিক বেকার হবেন।'' নিরাপত্তা, কম মজুরি এবং রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ নানা প্রশ্নে পশ্চিমা ক্রেতারা বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে তারা ভারত, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া ও কম্বোডিয়ায় চলে যাচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮০ ভাগ আসে এই খাত থেকে। পোশাক কারখানায় নিয়োজিত আছে প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক, যাঁদের ৮০ ভাগই নারী৷ তাই পোশাক কারখানার এ ধরণের বিপর্যয় পুরো অর্থনীতির উপর নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ফেলবে। ব্যবসা হারাবেন বাংলাদেশের অনেক পোশাক কারখানার মালিক।
প্রতি ৮ মিনিটে পাচার হচ্ছে একটি শিশু

প্রতি ৮ মিনিটে পাচার হচ্ছে একটি শিশু

 
ভারতে প্রতি ৮ মিনিটে পাচার হয়ে যায় একটি শিশু। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর বরাত দিয়ে মঙ্গলবার সে দেশের সংবাদ মাধ্যমগুলো এ খবর জানিয়েছে। ভারতে শিশু পাচার কোনো নতুন ঘটনা নয়। বরং প্রতিদিনই তা আশঙ্কাজন হারে বাড়ছে। এসব পাচারকারীদের হাতে পড়ে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে তাদের শৈশব। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে পাচারকৃত শিশুদের দশ শতাংশ বিদেশে পাঠানো হয়। বাকি ৯০ ভাগকে পাচার করা হয়ে থাকে এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট বলছে, প্রতি বছর ভারতে প্রায় চল্লিশ হাজার শিশু অপহৃত হয়। এদের মধ্যে ১১ হাজার শিশুরই কোনও খোঁজ মেলে না। বাড়ির নিরাপদ আশ্রয় থেকে পাচারচক্রের হাত ঘুরে এক অমানুষিক আর যন্ত্রণাময় জীবনে ঢুকে পড়ে তারা। পরে এদের মধ্যে কেউ শিশুশ্রমিক হিসেবে কাজ করে। অনেককে দিয়ে আবার রাস্তাঘাটে ভিক্ষেও করানো হয়। অঙ্গ-পাচারের মতো ভয়ঙ্কর চক্রেরও শিকার হয় বহু শিশু। তাদের শরীর থেকে অবাধে কিডনি বা অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কেটে বিক্রি করে দেওয়া হয়। এতে করে অনেকে মারাও যায়। এছাড়াও বহু শিশু বিক্রি হয়ে যায় যৌনপল্লীতে। তাদের জোর করে দেহব্যবসায় নামানো হয়। মূলত, দারিদ্রতার সুযোগ নিয়েই ফুলেফেঁপে উঠছে এ ধরনের শিশু পাচার চক্রগুলো। তারা আর্থিক দিক থেকে দুর্বল পরিবারগুলিকেই টার্গেট করছে। কখনও টাকার বিনিময়ে, কখনও বা উজ্জ্বল ভবিষ্যতের মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় এসব শিশুদের। ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্টের এক রিপোর্ট অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে প্রতিবছর প্রায় ছয় লাখ থেকে আট লাখ বিশ হাজার মানুষ পাচার হয়ে যায়। যার মধ্যে পঞ্চাশ শতাংশই শিশু। এসবের মধ্যেই ভারত ক্রমে হয়ে উঠছে পাচারচক্রের কেন্দ্র। সাধারণত: অন্ধ্রপ্রদেশ, বিহার, কর্নাটক, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রে ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যগুলোর শিশুদেরকেই এই অপরাধী চক্রটি টার্গেট করে থাকে।
ঠাকুরগাঁওয়ে ড.মুহাম্মদ শহীদ উজ-জামান নির্মাণ করলেন বাঁশের ‘কেল্লা’

ঠাকুরগাঁওয়ে ড.মুহাম্মদ শহীদ উজ-জামান নির্মাণ করলেন বাঁশের ‘কেল্লা’

ঠাকুরগাঁওয়ে ড.মুহাম্মদ শহীদ উজ-জামান নির্মাণ করলেন বাঁশের ‘কেল্লা’
ঠাকুরগাঁওয়ে ড.মুহাম্মদ শহীদ উজ-জামান নির্মাণ করলেন বাঁশের ‘কেল্লা’
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : বীরযোদ্ধা তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা ইতিহাসে আজো অক্ষয় হয়ে আছে। বাঁশের কেল্লার সঙ্গে সঙ্গে বাঁশের স্থাপনাও এখন ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছে। এছাড়া ইট,চুন,সুরকির যুগে বাঁশের স্থাপনা তৈরীরও মননশীলতা প্রয়োজন। তারপরও প্রকৃতিপ্রেমী মানুষেরা ছুটে যেতে বার বার চায় প্রকৃতির কাছে।আরও অনুভূতি থেকেই ঠাকুরগাঁওয়ে বাঁশের মিলনায়তন নির্মাণ করলো উত্তরাঞ্চলের সূনামধন্য বে-সরকারি সংস্থা ইকো সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) এর নির্বাহী পরিচালক ও ঠাকুরগাঁওয়ের কৃতি সন্তান ড. মুহাম্মদ শহীদ-উজ-জামান।ঠাকুরগাঁওয়ে সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের প্রশিক্ষণকেন্দ্রের ছাদে তৈরি করা হয়েছে বাঁশ দ্বারা নির্মিত স্থাপনাটি। নাম রাখা হয়েছে ‘চেতনা বিকাশ কেন্দ্র’।দুই হাজার স্কয়ার ফিটের মিলনায়তনটির চারপাশ বাঁশ দিয়ে নির্মাণ করা হলেও উপরে দেয়া হয়েছে খড়ের ছাউনি।ভেতরের আসবাব তৈরি করা হয়েছে বাঁশ ও পাট দিয়ে। বর্তমানে এ মিলনায়তনটি ব্যবহার করা হচ্ছে ইএসডিওর সম্মেলন কক্ষ হিসেবে। এ সম্মেলন কক্ষে আমন্ত্রিত অতিথিদের আপ্যায়নেও ব্যবহার করা হচ্ছে সব মাটির তৈরি জিনিসপত্র।সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. মুহাম্মদ শহীদ-উজ জামানের নির্দেশনায় ৮০ জন কারিগর ছয় মাস নিরলস পরিশ্রম করে নির্মাণ করেছেন বাঁশের মিলনায়তনটি।ড. মুহাম্মদ শহীদ-উজ-জামান এ প্রতিনিধিকে বলেন, গ্রামীণ ঐতিহ্য, বাঁশ ও মৃৎ শিল্পীদের কাজের প্রসার ঘটানোর জন্য বাঁশের মিলনায়তনটি নির্মাণ করেছি। বাঁশশিল্পীরা আগে বাঁশের বিভিন্ন প্রকার জিনিস তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করতা। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন প্রকার প্লাস্টিক সামগ্রির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় বাঁশশিল্পীরা দিন দিন বেকার হয়ে পড়েছে। মূলত তাদের কথা চিন্তা করেই বাঁশের মিলনায়তনটি নির্মাণ করা হয়েছে।’তিনি আরো বলেন, ‘ঢাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ঘরটির নকশা নিয়ে গেছে। আশা করি তারাও এমন ঘর নির্মাণ করবেন। এছাড়া কয়েকটি দেশের প্রতিনিধি ঘরটি দেখে মুগ্ধ হয়ে ঘরটির অংশবিশেষ তৈরির অর্ডার দিয়েছেন কারিগরদের।’তিনি আরো বলেন, বাঁশ চাষ অত্যান্ত লাভজনক। বাঁশ যে কোনো পতিত জমিতে চাষ করা যায়, বিশেষ করে গোরস্তানে। কারণ বাঁশের শিকড় খুবই চিকন। গোরস্তানে যেহেতু কোনো ফসল চাষ করা যায় না বা হয় না, সেহেতু বাঁশ চাষ করলে যেমন এ শিল্পের প্রসার ঘটিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যাবে, ঠিক তেমনি পতিত জমির সঠিক ব্যবহারও করা হবে। আমরা উত্তরবঙ্গের অন্যতম বৃহৎ পীরগঞ্জ গোরস্তানে পরীক্ষামূলকভাবে বাঁশ চাষের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
একদমই বদলে গেছেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা!

একদমই বদলে গেছেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা!

 
চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা আর আগের মতো নেই। নিজেকে পুরোপুরি বদলে ফেলেছেন। এখন তিনি এক কন্যাসন্তানের মা। তাকে নিয়ে কাটছে তার অষ্টপ্রহর। পাশাপাশি সংসারের সব দায়িত্ব নিজ কাঁধেই নিয়েছেন তিনি। আপাতত অভিনয়ে ফেরা তার কোনো পরিকল্পনা নেই। পূর্ণিমা জানান, আগামী এক বছর তিনি অভিনয়ের নাম নিতে চান না। কারণ এ সময় সার্বক্ষণিক মেয়ের কাছেই থাকবেন তিনি। তাছাড়া বড়পর্দায় ফেরা নিয়েও পূর্ণিমা দোটানায় রয়েছেন। কারণ মা হওয়ার পর দর্শকরা তাকে নায়িকা হিসেবে সেভাবে গ্রহণ করতে নাও পারেন। তাছাড়া পরিবার থেকেও চলচ্চিত্রে ফেরা নিয়ে বাধা রয়েছে। আর তিনিও পরিবারের বিরুদ্ধে যেতে চান না। পূর্ণিমা এখন একটা সুখী সংসার গড়ার স্বপ্ন দেখছেন। তবে জানা গেছে, বড়পর্দায় না ফিরলেও বছরখানেক পর ছোটপর্দায় ফিরতে পারেন পূর্ণিমা। কারণ ছোটপর্দায় কাজের ব্যাপারে তার পরিবারের কোনো চাপ নেই। তাছাড়া এই মাধ্যমে শিশুকন্যাকে নিয়ে কাজ করায় ততটা ঝুঁকিও থাকবে না। পূর্ণিমা ১৩ এপ্রিল কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। বর্তমানে তার বয়স প্রায় দুই মাস। এ প্রসঙ্গে পূর্ণিমা জানান, তার সন্তান যেন দিন দিন বেড়ে উঠছে। তাকে ঘিরেই তার সব স্বপ্ন-পরিকল্পনা। মা হওয়ার অনুভূতি ব্যক্ত করে পূর্ণিমা বলেন, 'মা হওয়ার মধ্য দিয়েই নারী জীবনের পূর্ণতা আসে। নারী হিসেবে আমি সেই পূর্ণতা লাভ করেছি। আমার সন্তানের জন্য সবার দোয়া চাই।' ২০০৭ সালের ৪ নভেম্বর পারিবারিকভাবে ফাহাদ জামিলের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন পূর্ণিমা। তবে মাঝে সংসার জীবনে টানাপড়েন চললেও বর্তমানে সুখেই আছেন তারা। পূর্ণিমা সর্বশেষ 'ছায়াছবি' চলচ্চিত্রের শুটিং করেছেন। শিগগিরই ছবিটি মুক্তি পাবে বলে জানা গেছে। এদিকে 'লোভে পাপ পাপে মৃত্যু' ছবির মাধ্যমে শেষবারের মতো প্রেক্ষাগৃহে দেখা গেছে তাকে। 'শত্রু ঘায়েল' ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করলেও ১৯৯৮ সালে জাকির হোসেন রাজুর 'এ জীবন তোমার আমার' ছবির মধ্য দিয়ে চিত্রনায়িকা হিসেবে পূর্ণিমার যাত্রা শুরু হয়। এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক জনপ্রিয় ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন সূত্র- যায় যায় দিন