আন্তর্জাতিক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
আন্তর্জাতিক লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
বিজেপি সরকার: ছিটমহলবাসীর মাঝে সংশয়
ভারতীয় লোকসভার ১৬তম নির্বাচনে বিজেপির জয় নিয়ে নানা হিসাব-নিকাশ শুরু করছেন লালমনিরহাটের ছিটমহলবাসী। ছিটমহল বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়ন যখন কংগ্রেসের ঘোষণার অপেক্ষায় ঠিক তখনই রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে ভারতের বৃহৎ এ দলটি ছিটকে পড়ায় সংশয় দেখা দিয়েছে দু’দেশের ছিটমহল বিনিময় চুক্তি নিয়ে। তাই এ চুক্তি বাস্তবায়নে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে ছিটমহলবাসীকে, দৈনিক মানবকন্ঠ পত্রিকায় এভাবেই ছিটমহলবাসীর যে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে তা তুলে ধরেছে। ছিটমহলবাসী মনে করছেন, এ চুক্তি বাস্তবায়ন কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকলে যত সহজ হতো, বিজেপি ক্ষমতায় আসায় তত সহজ হবে না। কেউ কেউ বলছেন সহজেই বিজেপি ছিটমহল চুক্তিতে এগিয়ে আসবে না। এলেও আবার নতুন করে ভাবতে হবে, যা অনেক সময়ের ব্যাপার। আবার অনেকেই বলছেন ভিন্ন কথা, বিজেপি আগের অবস্থান থেকে নিজের স্বার্থে অনেকটা সরে আসবে। বিজেপি এ গণরায়ের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই তাদের পরিকল্পনায় ছিটমহল বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়ন করবে। যে কারণে ছিটমহলের অনেকেই বিশ্বাস করেন, কংগ্রেস যেখানে এ চুক্তিতে ব্যর্থ হয়েছে, সেখানে বিজেপি এ চুক্তি বাস্তবায়ন করে রাজনৈতিক সফলতা ঘরে তুলবে। পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম আংগরপোতা বঙ্গেরবাড়ি এলাকার বাসিন্দা আমির হোসেন বলেন, পুরাতন সরকার যা পারেনি, নতুন সরকার তা করে জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে। আর তা না করলে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে তফাৎ কি থাকল? ছিটমহল বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়নে কংগ্রেস সরকার যতটা পথ এগিয়ে নিয়েছেন নতুন বিজেপি সরকার তা আন্তরিকতার সঙ্গে দ্রুত বাস্তবায়ন করে দু’দেশের ছিটমহলবাসীর মুখে হাসি ফুটাবেন এমনটাই প্রত্যাশা ছিটমহলবাসীর। উল্লেখ্য, ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশি ৫১টি ও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতীয় ১১১টি ছিটমহল রয়েছে। ৫১টি ছিটমহলে জমির পরিমাণ ৭ হাজার ২১ একর, লোকসংখ্যা ৩৮ হাজারও বেশি। অন্যদিকে ১১১টি ছিটমহলে ১৭ হাজার ১ শত ৪৯ একর জমি, লোকসংখ্যা ৬৫ হাজারের বেশি রয়েছে।
আজ পশ্চিমবঙ্গে নববর্ষ
আজ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বাংলা নববর্ষ। আজ সেখানে স্বাগত ১৪২১। জীর্ণ সবকিছুকে সরিয়ে নতুনকে বরণ করে নিচ্ছেন সে রাজ্যের মানুষ। নববর্ষে ২৪ ঘন্টার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,আজকের সকালটা বাঙালির কাছে একেবারে অন্যরকম। নতুন করে সব কিছু শুরু করার একটা দিন। বাঙালির কাছে আজকের দিনটা শুধু কেলেন্ডারের পাতা ওল্টানোর জন্য নয়। সকাল থেকেই দক্ষিণেশ্বর, কালীঘাট সহ বিভিন্ন মন্দিরে পুজো দিতে ভিড় করেছেন মানুষ। বেলা বাড়তেই দোকানে দোকানে শুরু হল হালখাতার উদ্বোধন। চলছে মিষ্টি মুখের পালা। শার্ট-প্যান্টের বদলে পাঞ্জাবি পরা মানুষের সংখ্যাই বেশি নজরে পড়ছে। ভোটের উত্তাপের মাঝে বাঙালির আজ সত্যিকারের বাঙালি হওয়ার দিন। বিশ্বায়নের ঢেউকে উল্টো পিঠে নিয়ে বাঙালি হওয়ার স্রোতে ভেসে যাওয়ার দিন। ময়দানেও নতুন বছরে চলছে বারপুজোর পালা। নববর্ষ উপলক্ষে আনন্দবাজার পত্রিকায় ছাপা এক প্রবন্ধে বলা হয়েছে,"বাংলা নববর্ষে জড়িয়ে যাচ্ছে জাতিপরিচয়ের সুতীব্র অহংকার। একটি বিশেষ ভাষার মানুষের জাতীয় সংস্কৃতি বলে যাকে দাবি করছি, তা হল অনেক মানুষের, একাধিক জাতির মানুষের।এ পার বাংলায় পয়লা বৈশাখ উদযাপনে যে-ভাবে বাণিজ্যিক সম্ভোগ রয়েছে, ওপার বাংলায় সেই ভাবে রয়েছে সাংস্কৃতিক উপভোগ। অন্তত গুগল ইমেজে পয়লা বৈশাখের ছবি অনুসন্ধান করতে গেলে সেই বিষয়টায় চোখে পড়ে। কিন্তু এই দুই পারের মধ্যে বিস্তর ফারাক। বাংলাদেশ এমন একটি দেশ, যার জন্ম একটি বড় ক্রাইসিস থেকে, সেই প্রেক্ষিত মাথায় রাখলে সেই দেশের নিজস্ব আইডেন্টিটি তৈরি করার প্রয়োজনীয়তা ও সে দিক থেকে জাতীয় সংস্কৃতি বলে কিছু উপস্থাপন করা বেশ প্রয়োজনীয় হয়ে ওঠে। কিন্তু ধীরে ধীরে সেই দেশও তার জাতীয় সংস্কৃতি উদযাপনে যদি মুক্তমনা না হয় ও মুক্ত অঙ্গন নির্মাণ না করে, তা হলে অদূর ভবিষ্যতে আদিবাসিন্দাদের দিক থেকে সাংস্কৃতিক বিরোধ আসতেই পারে। যেহেতু সেই দেশে নিশ্চিত ভাবেই পয়লা বৈশাখের মতো অনুষ্ঠান জাতীয়তাবাদের ধারণার সঙ্গে সম্পৃক্ত।" বাংলাদেশের পয়লা বৈশাখ উদ্যাপনের অনুসরণে কলকাতাতেও আয়োজিত হতে চলেছে একটি বইমেলা, কলেজ স্কোয়ারে। যেখানে মানুষের কাছে আরও বেশি করে পৌঁছে দেওয়া হবে বাংলা বই এবং মানুষকে উৎসাহিত করা হবে বাংলা বইপাঠে।
স্বামীর ধর্ষণের শাস্তি স্বরূপ গণধর্ষণের শিকার হলেন অভিযুক্তের স্ত্রী। এই ঘটনার রূপকার ধর্ষিতার মা। মেয়ের ধর্ষণের প্রতিশোধ নিতে তিনিই পুরো ঘটনাটির পরিকল্পনা করেছেন। এমনকি অভিযুক্তের স্ত্রীকে গণধর্ষণে অংশ নেয় ধর্ষিতার বাবাও। রবিবার ভারতের উত্তরপ্রেদেশের বারাবাঁকির হায়দারগড় এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গণধর্ষিতার স্বামী এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত হয়ে জেল খাটছে৷ আর এই দিকে কিশোরীর মা মেয়ের অপমানের শোধ তুলতে তিনজন ব্যক্তি এবং নিজের স্বামীকে প্ররোচিত করায়। তারপরই ওই গৃহবধুকে অপহরণ করে ওই চার ব্যক্তি। আসান্দ্রা থানা এলাকার একটি গ্রামে নিয়ে গিয়ে তাঁকে গণধর্ষণ করে৷ পরে নিগৃহীতাকে রাস্তায় ফেলে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা৷ রবিবার সকালে গ্রামবাসীরা তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে৷ চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই তরুণীর অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক৷ পুলিশ এই ঘটনায় এফআইআর দায়ের করেছে৷ অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে তারা৷
তথ্য সূত্র: এই সময় ডট ইন্ডিয়া টাইমস ডটকম