আপনার ফেসবুক স্ট্যাটাস দেখে মনে হয় চুটিয়ে প্রেম করছেন…
হ্যাঁ, চলচ্চিত্রে আসার আগে থেকেই প্রেম করছি। আমার প্রেমিকের নাম মনা
[হেসে]. আরও অনেক নাম দিয়েছি ওর। একেকবার একেক নাম ধরে ডাকি। ফেসবুকে তাকে
উদ্দেশ করেই আনন্দ-বিরহের কাব্য লিখি। ভক্তদের জানিয়ে রাখি যে, আমার প্রেমিক মিডিয়ার কেউ নন।
‘কী দারুণ দেখতে’ ছবিতে তো আপনার দুই রূপ?
এটি আমার ছয় নম্বর ছবি। ছবিটিতে প্রতারক তরুণীর চরিত্রে অভিনয় করেছি।
এখানে আমার দুই রূপ। ছবির একটা অংশ জুড়ে আমার চেহারা থাকবে কালো। সৌন্দর্য
নিয়ে বিপাকে পড়ার কারণেই গায়ে কয়লা মাখানো হয়। রোমান্টিক ও কমেডিকে
প্রাধান্য দিয়ে ছবিটি তৈরি করা হয়েছে।
আপনি কী একটি নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বাইরের ছবিতে স্বচ্ছন্দ নন?
জাজ মাল্টিমিডিয়া আমাকে তৈরি করেছে। এটি আমার নিজের ঘর। ঘরের বাইরে কাজ
করে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি না_ এমন নয়। শুরু থেকেই বাইরের ছবিতেও কাজ করছি।
এর মধ্যে মুক্তি পেয়েছে একটি। এ বছর ঘরের বাইরের বেশি ছবি মুক্তি পাবে।
‘ময়নামতি’সহ আরও তিনটি ছবি করছি জাজের বাইরে। আর জাজের ‘দেশা_দ্য লিডার’ ও
‘হানিমুন’।
পারিশ্রমিক কী বাড়াতে পারেন?
আপাতত প্রতি ছবিতে ১০ লাখ টাকা নিচ্ছি। অচিরেই পারিশ্রমিক বাড়াব না।
নিজেকে আরেকটু পাকাপোক্ত করতে চাই। উপযুক্ত কাজের জবাবে উপযুক্ত পারিশ্রমিক
আশা করতেই পারি!
মাহির ব্যর্থতা কী?
ব্যর্থতা তো আছেই। চলচ্চিত্রে আসার আগে মডেলিংয়ের জন্য চেষ্টা করেছিলাম।
তখন আমাকে বাজে পরিস্থিতিরও মুখোমুখি হতে হয়েছে। কিন্তু আমি অন্ধকার গলি
ধরে আলোর ঝলকানি দেখতে চাইনি বলে মডেল হতে পারিনি। তবে এখন এ নিয়ে কোনো
আক্ষেপও নেই।
টানা কাজ করছেন। ক্লান্তি লাগে না?
ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। অনেকটা ছাড়াছাড়ির মতো। ওদের
সময় দিতে পারি না বলেই এমনটি হয়েছে। কিন্তু এখন অভিনয়ই আমার নিয়তি। আনন্দ
নিয়ে কাজ করলেও ক্লান্তি লাগে। মাস ছয়েক পরে অভিনয় থেকে সাময়িক বিরতি নিতে
পারি। ব্রেক ড্যান্সের প্রতি আমার দুর্বলতা আছে। বিরতির সময় দেশের বাইরে
থেকে ব্রেক ড্যান্সের ওপর প্রশিক্ষণ নেব।
0 মন্তব্য(গুলি):