প্রতিদিনের খাদ্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
প্রতিদিনের খাদ্য লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ভেজাল খাদ্য এবং আমাদের সচেতনতা প্রসঙ্গে

ভেজাল খাদ্য এবং আমাদের সচেতনতা প্রসঙ্গে


আমরা প্রতিনিয়ত যেসব খাবার গ্রহণ করি তার মধ্যে রয়েছে ভেজাল। খাদ্যে ভেজাল মেশানোর প্রক্রিয়াও এখন ব্যতিক্রমধর্মী। ভোক্তা সাধারণের চোখে ফাঁকি দিয়ে কীভাবে ভোজাল মেশানো যায় সেদিকে বেশি নজর রাখছেন এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ীরা। জমি থেকে ফসল তোলা থেকে শুরু করে খাদ্য প্রক্রিয়াজাত করণের জন্য প্রস্তুত ফ্যাক্টরীগুলোতেও মেশানো হচ্ছে ভেজাল। ভেজালেরও ধরণ রয়েছে ভিন্ন। যে খাদ্যে যে ধরণের ভেজাল মেশালে সহজে চোখে ধরা পড়ার কোনো সুযোগ নেই সেদিকেই নজর রাখা হচ্ছে চক্রন্তিকারীরা। সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের চোখে ফাঁকি দিয়েই চলছে এসব কাজ। শুঁটকি আড়তে প্রকাশ্যেই কীটনাশক মেশানো হচ্ছে। মাছে ফরমালিনের খবর এখন সকলের জানা রয়েছে। অন্যন্য খাদ্যদ্রব্যে দেয়া হচ্ছে বিষাক্ত কেমিক্যাল। ভোজাল খাদ্য থেকে জাতিকে রক্ষার জন্য সরকারী উদ্যোগ থাকলেও তা কাঙ্খিত নয়। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ভোক্তা সাধারণ। কোন কোন খাদ্যে ভেজাল মেশানো হচ্ছে : বেকারি পন্যে দুনিয়ার ভেজাল। ফলে, মাছে ফরমালিন। অপরিপক্ক টমেটো হরমোন দিয়ে পাকানো হচ্ছে। গরুকে নিষিদ্ধ ঔষধ খাইয়ে মোটা করা হচ্ছে। সেগুলো মানব স্বাস্থের জন্য ভয়ানক ক্ষতিকর! পচনরোধে বিষাক্ত ফরমালিন, তাজা দেখাতে মাছে রেড অক্সাইড, ফলমূল ও শাকসব্জিতে কার্বাইড মিশানো হয়ে থাকে। এসব রাসায়নিক পদার্থ মানব দেহের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকর। মানুষের লিভার, কিডনি নষ্ট করে ফেলে। মানুষ তার স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। অসুস্থ হয়ে নিতে হয় হাসপাতালে। যে দেশে নুন আনতে পান্তা ফুরায়, সেখানে রোগ বালাই যেন গোদের ওপর বিষ ফোঁড়ার মতো। বিকল্পহীন এ সব ভেজাল খাদ্য গ্রহণ করে মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে নানা রকম ক্রনিক রোগে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে আর কত ভেজাল খাব? কথায় বলে, মাছে-ভাতে বাঙালি। সেই মাছ-ভাত এখন আর নিরাপদ নেই। খাদ্যে ভেজাল। এ এক নীরব ঘাতক। ভেজাল খাবারে দেশ সয়লাব। কী খাব? নিরাপদ কোনো খাবার আদৌ কী আছে? মাছে ও দুধে ফরমালিন, ফলমূলে কার্বাইডসহ নানা বিষাক্ত কেমিক্যাল, সবজিতে রাসায়নিক কীটনাশক, জিলাপি-চানাচুরে মবিল, বিস্কুট, আইসক্রিম, কোল্ডড্রিংক্স, জুস, সেমাই, আচার, নুডুলস এবং মিষ্টিতে টেক্সটাইল ও লেদার রং, মুড়িতে ইউরিয়া-হাইড্রোজ, পানিতে আর্সেনিক, ক্যাডমিয়াম, লেড, ইকোলাই। ভেজাল খাবার খেয়ে আমরা জাতিকে ক্রমাগত মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছি, নতুন প্রজন্মকে মেধাহীন পঙ্গু জীবনের মতো এক অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাচ্ছি। কোথায় নেই ভেজাল? হাত বাড়িয়ে যা কিছু খাচ্ছি সবকিছুতেই ভেজাল। নোংরা, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে ভেজাল ও নকল পণ্য। সেই পণ্য চলে আসছে বাজারে। আসল পণ্যের হুবহু নকল সিল-মনোগ্রাম, এমনকি অনেক ক্ষেত্রে বিএসটিআইয়ের অনুমোদন না নিয়ে নকল অনুমোদনপত্র ছাপা হয়ে যাচ্ছে প্যাকেটের গায়ে। নকলের দাপটে এখন আসল পণ্য চেনাই দায় হয়ে পড়েছে। বাজার সয়লাব হয়ে গেছে এসব নকল পণ্যে। বাজারে ফ্রুট জুস, চিপস, ছোটদের মন রক্ষাকারী বিভিন্ন ধরনের যে শরবত পাওয়া যায়, তার অধিকাংশই নকল। অসাধু ব্যবসায়ীরা আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে খাবারে অবাধে মিশিয়ে যাচ্ছে ফরমালিন। শুধু মাছ নয়, দুধ, মিষ্টি, সেমাই, জুস, শরবত, ফল, ভোজ্যতেল, মসলা, মুড়ি ও ইফতারের বিভিন্ন মুখরোচক উপাদান, জিলাপিসহ ফল ও শাক-সবজির মধ্যেও এখন মেশানো হচ্ছে বিষাক্ত এই কেমিক্যাল। ফরমালিন মেশানো খাবার ধরা পড়লে জেল-জরিমানাও করা হচ্ছে, তারপরও থেমে নেই তারা। জীবন রক্ষাকারী খাবার স্যালাইন নকল তৈরি হচ্ছে। এমনকি খেজুরেও ফরমালিন দেয়া হচ্ছে। অস্বাস্থ্যকর-নোংরা পরিবেশে কোনো ধরনের ল্যাবরেটরি ও রসায়নবিদ ছাড়াই স্যালাইনের মতো অতি জরুরি একটি ওষুধ তৈরি করে বাজারজাত করা হচ্ছে। মাছের পাশাপাশি দুধেও দেয়া হচ্ছে ফরমালিন। শাকসবজিতে মেশানো হচ্ছে ক্ষতিকর রাসায়নিক। ফলে মেশানো হচ্ছে বিষাক্ত কার্বাইড। কাউন ও কাঠের গুঁড়া মিশিয়ে মসলা তৈরি করা হয়। ঘাসের গুঁড়ার সঙ্গে রং মিশিয়ে নামি-দামী ব্র্যান্ডের মসলা তৈরি করে একটি চক্র। ছোলা ও মুড়ি সাদা করতে মেশানো হয় হাইড্রোজ। কৃত্রিম রং মিশিয়ে নকল ঘি বানানো হচ্ছে। এমনকি শিশুদের বিকল্প খাদ্যেও মেলামিন (ভেজাল) মেশানো হচ্ছে। আম, আনারস ও টমেটোতে কেমিক্যাল মিশিয়ে হলুদ করা হচ্ছে। এমনিভাবে দেশের প্রতিটি খাবারেই ভেজাল মেশানো হচ্ছে। খাদ্যে ভেজাল হিসেবে জুতার কালি ও কাপড়ের রংও উদ্ধার করেছে বিভিন্ন অভিযানের সময় মোবাইল কোর্ট। খাবারে ফরমালিন, বস্ত্রকলের বিষাক্ত রং এবং ইউরিয়া সার মেশানো হয় যা স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। আম, পেঁপে, পেয়ারা, আনারস, জাম, জামরুল, তরমুজ, বাঙ্গি, আপেল, আঙ্‌গুর, নাশপাতিসহ দেশি-বিদেশি প্রায় সব ফলে মেশানো হচ্ছে বিষাক্ত কেমিক্যাল। সাধারণত ফলমূলের উজ্জ্বল রং বা নজরকাড়া রূপ মানুষকে আকৃষ্ট করে। এগুলো বেশি দামে বিক্রি হয়। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে দোকানিরা এসব ক্ষতিকর কেমিক্যাল মেশাচ্ছেন। সমপ্রতিকালে যেসব খাবারে ভেজাল পাওয়া যাচ্ছে তা হলো-হোটেল, রেস্তোরাঁ, হাসপাতালের ক্যান্টিনে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্নাকরা পচা ও বাসি খাবার, ফাস্টফুড, বিষাক্ত সাইক্লোমেট দিয়ে তৈরি টোস্ট বিস্কুট, বিষাক্ত ক্যালসিয়াম কার্বাইড দিয়ে পাকানো ফল (আম, কলা, পেঁপে, আনারস ও অন্যান্য ফল), বিষাক্ত উপকরণ দিয়ে তৈরি রুটি, বিস্কুট, সেমাই, নুডলস, ভেজাল গম যা পশুর খাবার যোগ্যও নয়, ক্ষতিকর রং দেয়া ডিম, মেয়াদোত্তীর্ণ আইসক্রিম, বিভিন্ন রকম মিষ্টান্ন দ্রব্য, ডিডিটি দেয়া শুটকি, ডিডিটি দেয়া চাল, ক্ষতিকর রং দেয়া সবজি, মবিল দিয়ে ভাজা চানাচুর, ফরমালিন দেয়া মাছ, ক্ষতিকর রং দেয়া ডাল, ভেজালমিশ্রিত সয়াবিন তেল, ভেজাল মিশ্রিত সরিষার তেল, রং ও ভেজাল মেশানো ঘি, পামওয়েল মিশ্রিুত কনডেন্সড মিল্ক, ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান দিয়ে তৈরি প্যাকেটজাত জুস, মিনারেল ওয়াটার, মরা মুরগির মাংসে। ব্যবসায়ীরা খাবারে সাধারণত যেসব নিম্নানের কার্বাইড ব্যবহার করেন তা থেকে আর্সেনিক তৈরি হয়। আর্সেনিক হলো সেঁকো বিষ। সেই বিষই ফলের মধ্যে থেকে যায় এবং মানব শরীরে প্রবেশ করে। বাজারে বিস্কুট, মিষ্টি, আইসক্রিম, কোল্ডড্রিংক্স, জুস, সেমাই, আচার, নুডুলস, কেক এবং রেস্তোরাঁয় রান্নাকরা খাবারের অধিকাংশই থাকে স্বাদহীন। খেয়ে কোনো তৃপ্তি পাওয়া যায় না। এসব খাবার শরীরের জন্যও নিরাপদ নয়। শাক-সবজি, মাছ ও মাংসে ভেজাল তো নিত্যদিন রয়েছেই। ফরমালিনমুক্ত মাছ পাওয়া দুষ্কর। তাছাড়া কৃত্রিমভাবে প্রজননের মাধ্যমে বাজারজাত মাছ, মাংস আমরা সব সময় খাই। মাছকে ইউরিয়া সার খাওয়ানো হয় এবং গরুর বর্জ্য, চামড়া আগুনে পুড়িয়ে এক প্রকার খাদ্য বানিয়েও মাছকে খাওয়ানো হয়, এমনকি ফার্মের বয়লার মুরগির বর্জ্য খাওয়ানো হয়। গরুকে বলিষ্ঠ করার জন্য আখের গুড়ের তৈরির বর্জ্য (রাব) যা এলকোহলসমৃদ্ধ এবং এমনকি ইউরিয়া মিশ্রিত ঘাস ও খড় খাওয়ানো হয়। এসব রাসায়নিক পদার্থ মিশ্রিত খাবার যে গরু খায় সে গরুর মাংস আমরা খাই। ভোজাল খাদ্যে মানব দেহে যা ঘটছে : ভেজাল ও বিষ গ্রহণের ফলে মানবদেহে নানাবিধ দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে। যেমন ক্যান্সার, লিভার রোগ, কিডনি রোগ এবং রক্ত শূন্যতা ইত্যাদি নানা রোগ-ব্যাধির প্রকোপ বেড়েই চলেছে। সাধারণত কাঁচা কলাকে ইথাইলিন গ্যাস দ্বারা পাকানো হয়। অধিক মুনাফালোভী কিছু সংখ্যক ব্যবসায়ী কাঁচা মৌসুমী ফল যেমন আম, কলা, পেঁপে, নাশপাতি, কুল ও আপেলকে ক্যালসিয়াম কার্বাইড নামক বিষাক্ত কেমিক্যাল দিয়ে পাকায়। এই ক্যালসিয়াম কার্বাইড একটি সহজলভ্য ও তুলনামূলকভাবে সস্তা কেমিক্যাল। কমপাউন্ড যা শিল্প-কলকারখানায় সাধারণত ব্যবহার হয়ে থাকে। দেখতে গাঢ় দূসর রং। অনেকটা রসুনের মতো গন্ধ ছড়ায়। এটা সাধারণত স্টিল জাতীয় পদার্থের ওয়েল্ডিং কাজে ব্যবহৃত হয়। ব্যবসায়ীরা আম কিংবা অন্যান্য ফলকে সারিবদ্ধভাবে বসিয়ে ক্যালসিয়াম কার্বাইড ছোট ছোট খোলা পাত্রে মিশিয়ে সারি সারি করে বসিয়ে তারপর পলিথিন বিছিয়ে দেয়। এ বিষাক্ত কেমিক্যাল বাতাসে জলীয় বাষ্পের সংস্পর্শে এলে এসিটাইলিন গ্যাস তৈরি হয়। এই গ্যাস ফল পাকাতে সাহায্য করে। ক্যালসিয়াম কার্বাইডে আর্সেনিক ও ফসফরাস জাতীয় রাসায়নিক পদার্থ থাকে। এসিটাইলিন গ্যাস স্নায়ুতন্ত্র তথা ব্রেইনের অক্সিজেন সরবরাহ কমিয়ে দেয়। আর্সেনিক, চর্ম, লিভার, কিডনি, ফুসফুসসহ মানবদেহে মারাত্মক ক্ষতি করে। ক্যালসিয়াম কার্বাইড স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। স্বল্পমেয়াদি রোগের উপসর্গগুলো: ১. চোখ ও চামড়ার সংস্পর্শে এলে জ্বালাপোড়া এবং চোখের অন্ধত্ব এবং চামড়ায় ঘা হতে পারে। ২. শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করলে গলাব্যথা, কাশি ও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। ৩. খাবারের মাধ্যমে গ্রহণ করলে মুখে ঘা হতে পারে। ৪. অতি মাত্রায় গ্রহণ করলে শ্বাসকষ্ট এমনকি ফুসফুসে পানি জমে যেতে পারে। ৫. এছাড়াও দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে ফুসফুসের ওপর দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব যেমন কফ, কাশি ও এজমা। কেমিক্যাল দিয়ে পাকানো ফল চেনার উপায়: ১. উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, আম কাটার পর চামড়ার ঠিক নিচে ফলের অংশ কাঁচা পাওয়া যাবে। যদিও চামড়াটি পাকা রংয়ের বর্ণ ধারণ করেছিল। ২. যদি ঝুঁড়িতে বা দোকানে সবগুলো ফল একই সময়ে একইরকম পাকা দেখা যায় এবং দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে ফলের চামড়ায় আঁচিল বা তিলের মতো রং দেখা যায়। ৩. প্রাকৃতিক প্রক্রিয়ায় যে ফল পাকে তাতে মাছি বসবে কিন্তু কেমিক্যাল দ্বারা পাকানো হলে সে ফলে মাছি বসবে না। ৪. প্রাকৃতিকভাবে পাকা ফলের চামড়া উঠানোর পর এক ফোঁটা আয়োডিন দিলে তা গাঢ় নীল অথবা কালো বর্ণ ধারণ করে। কিন্তু কেমিক্যাল দ্বারা পাকানো ফলে এই আয়োডিনের রং অপরিবর্তিত থাকে। আমাদের করণীয়: ফল খাওয়ার আগে কয়েক মিনিট পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে। মৌসুমের আগে বাজারে যে পাকা ফলগুলো আসে সেগুলো ধরেই নিতে হবে এগুলো কেমিক্যাল দ্বারা পাকানো হয়েছে। যখন আম এবং আপেল জাতীয় ফল খাবেন তখন এগুলো টুকরো টুকরো করে খাবেন। পুরো ফল কামড়ে না খাওয়াই ভালো। আমাদের সবার দায়িত্ব জনগণকে সচেতন করে তোলা। ফল উৎপাদনকারী কৃষক, ব্যবসায়ী ও খুচরা বিক্রেতাদের ফল পাকানোর নিরাপদ প্রক্রিয়া শিক্ষা দেয়া। যেমন : আমের ক্ষেত্রে সারি সারি করে আম খড়ের গাদায় বসিয়ে রাখলে আম পেকে যাবে। তাছাড়া গাছ থেকে ফলগুলো পুরোপরিভাবে পাকার পর আম পাড়া ভালো। ফলের পেশায় যারা নিযুক্ত রয়েছে তাদের ক্যালসিয়াম কার্বাইড ব্যবহারের ক্ষতির দিকগুলো শিক্ষা দিতে হবে। যারা মানুষের জীবন ও স্বাস্থ্য নিয়ে খেলা করে এবং মানুষের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেয় তাদের আইনের মাধ্যমে শাস্তি ও অর্থদন্ডের বিধান করা একান্ত প্রয়োজন, যা অন্যান্য দেশে প্রচলিত রয়েছে। উপরে উল্লেখিত সবধরনের ভেজাল ও কেমিক্যাল মিশ্রিত খাবার খেয়ে আমরা বেঁচে আছি। তাই আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের স্বাস্থ্যহানি, মেধা ও মননশীলতা কতখানি বিঘ্নিত হবে এবং হচ্ছে এদিকে নজর দিতে হবে। এ বিপুল জনগোষ্ঠিকে রোগ বালাই থেকে মুক্ত রাখতে সরকারকে বিশুদ্ধ খাদ্য আইন বাস্তবায়নে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এ আইন শতভাগ বাস্তবায়ন করলে সরকার বাহবা পাবে বাড়বে জনপ্রিয়তা। ভেজাল খাদ্য প্রতিরোধে সরকারের সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে মাঝেমধ্যে তৎপর দেখা যায়। তবে এ বিষয়ে সামাজিক সচেতনতা গড়ে তুলতে প্রচারমাধ্যমকে বেশি করে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। প্রশাসনের উয়িং গুলোকে নিয়মিত অভিযান চালিয়ে দোষিদের আইনের আওতায় আনতে হবে। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০০৯ সালের ১ জুন আদালতের এক আদেশে হাইকোর্ট সরকারকে প্রতিটি জেলা ও মহানগরে খাদ্য আদালত স্থাপন এবং খাদ্য বিশ্লেষক ও খাদ্য পরিদর্শক নিয়োগের নির্দেশ দেয়। এ রায় কার্যকর করার জন্য দুই বছরের সময়সীমাও বেঁধে দেয়া হয়। অথচ চার বছর অতিক্রম হলেও এখনো প্রতিটি জেলায় খাদ্য আদালত গঠিত হয়নি। ফলে ভোক্তারা খাদ্যে ভেজাল রোধে আইনের আশ্রয় নিতে ব্যর্থ হচ্ছে। এতে ভোক্তা অধিকার আইন লঙ্গিত হচ্ছে। বিশুদ্ধ খাদ্য অধ্যাদেশ ১৯৫৯ অনুসারে খাদ্য আদালতকে খাদ্য উৎপাদন ও বিপণন সংশ্লিষ্ট যে সব অপরাধ করার ক্ষমতা দেয়া হয়েছে সেগুলো হলো ভেজাল খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত, বিক্রি, সঠিক মান বা বিশুদ্ধ নয় এমন খাদ্য প্রস্তুত বা বিক্রি, খাদ্য প্রস্তুত বা বিক্রির স্থানে ভেজাল দ্রব্য রাখা বা রাখার অনুমতি প্রদান, নির্ধারিত লাইসেন্স ছাড়া সাদা তেল রাখা, রোগগ্রস্থ পশু বা অস্বাস্থ্যকর খাবার খাদ্য বিক্রি, ভুয়া লেভেল ব্যবহার, ভুয়া প্রচারণা, ভুয়া ওয়ারেন্ট প্রদান, খাদ্যবস্তু ঢেকে রাখতে ব্যর্থতা, কুষ্ঠ, যক্ষ্মা বা ঘোষিত অন্য কোন রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি কর্তৃক খাদ্যবস্তু প্রস্তুত, বিক্রি বা স্পর্শ করা, খাদ্যবস্তু বিশ্লেষণ বা পরীক্ষার জন্য নমুনা প্রদানে অস্বীকৃতি, ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে বা খাদ্য পরিদর্শককে পরিদর্শন বা প্রবেশে বাধা প্রদান বা প্রতিরোধকরণ, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উপস্থাপনে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন, ক্ষমতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে বা খাদ্য পরিদর্শককে জব্দকৃত খাদ্য, উপাদান, বস্তু ও পাত্র অপসারনে বাধা প্রদান । আইন অমান্যকারির বিরুদ্ধে জরিমানা, মালামাল জব্দ ও কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। আইন রয়েছে ঠিকই, আইনের সঠিক বাস্তবায়ন নেই। জনগণের সেবক হিসেবে সরকারের উচিত খাদ্য দ্রব্য ভেজালকারিদের কঠোর হাতে দমন করা। তবেই দেশের নাগরিক সুস্বাস্থ্য নিয়ে জীবন নির্বাহের নিশ্চয়তা পাবে। জনগণের নিরাপদ জীবন নিশ্চিত করাই একমাত্র দাবি। ভেজাল ও বিষাক্ত খাবার থেকে নিরাপদ থাকতে ভেজালবিরোধী আইনের কঠোর প্রয়োগের পাশাপাশি প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা করে নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ করতে হবে। আমাদের বাজার থেকে ভেজাল পণ্য একেবারে তুলে দিতে হবে। বিএসটিআইকে এ ব্যাপারে নিতে হবে সবচেয়ে কার্যকর ভূমিকা। বাজারে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান জোরদার করতে হবে। ভেজালকারীদের সামান্য জেল-জরিমানায় কাজ হবে না। যারা জনস্বাস্থ্যকে ঠেলে দিতে পারে হুমকির দিকে, তাদের জন্য কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। নকল বা ভেজাল ওষুধ ও খাদ্যপণ্যের কারখানা একেবারে গুঁড়িয়ে দিতে হবে। ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে খাদ্যে ভেজাল দেয়া ও ভেজাল খাদ্য বিক্রি করার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড রাখা হয়েছে। এ ছাড়াও ১৪ বছর কারাদন্ডের বিধান থাকলেও এ পর্যন্ত তা প্রয়োগের কোনো নজির নেই। খাদ্যে ভেজাল রোধে অনেক আইন রয়েছে, কিন্তু এর যথাযথ প্রয়োগ নেই। ভেজালবিরোধী আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ হলে নিরাপদ খাদ্য সরবরাহ যেমন আশা করা যাবে; তেমনি ভেজালের হোতারাও নিয়ন্ত্রণে থাকতে বাধ্য হবে। খাদ্য ভেজাল প্রতিরোধে সরকার, বিরোধী দল, ব্যবসায়ী, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, মসজিদের ইমাম, শিক্ষক, গণমাধ্যম কর্মী সবাইকে দলমত নির্বিশেষে কাজ করতে হবে।
এই গরমে পানিশূন্যতা দূর করবে যে খাবারগুলো

এই গরমে পানিশূন্যতা দূর করবে যে খাবারগুলো

বৈশাখ আসার আগেই প্রচন্ড গরম পড়ে গিয়েছে। দিনের বেলায় বেশ চড়া রোদ থাকে বাইরে। আর তাই ঘরের বাইরে বের হলেই ঘামে ভিজে যায় শরীর। ফলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। প্রচন্ড গরমে ঘাম হলে পান করা উচিত প্রচুর পানি। সেই সঙ্গে খাওয়া উচিত বিশেষ কিছু খাবার যেগুলো শরীরের পানিশূন্যতা দূর করে। আসুন জেনে নেয়া যাক ৫টি খাবার সম্পর্কে যেগুলো গরমের সময় পানিশূন্যতা দূর করতে সহায়তা করে এবং শরীরকে সতেজ রাখে।

শসা

গরমের দিনে শসা খেলে প্রান জুড়িয়ে যায়। আর তা যদি হয় ঠান্ডা তাহলে তো কথাই নেই। শসায় আছে ৯৭% পানি যা গরমের সময়ে শরীরের পানিশূন্যতা দূর করতে সহায়তা করে। তাই গরমের দিনে পানিশূন্যতা দূর করার জন্য সালাদে কিংবা রান্নায় প্রচুর শসা খাওয়ার অভ্যাস করুন।

টমেটো

গরম হোক কিংবা শীত, পুষ্টিবিদরা সবসময়েই টমেটো খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। টমেটোতে আছে প্রচুর পুষ্টি উপাদান। সেই সঙ্গে আছে প্রচুর পরিমাণে পানি। তাই প্রচন্ড গরমে যখন ঘামের কারণে পানিশূন্যতা দেখা দেয় তখন প্রচুর টমেটোর সালাদ, জুস কিংবা রান্নায় টমেটো খেলে পানিশূন্যতা দূর করা সম্ভব।

তরমুজ

গরমের সময় প্রচন্ড ঘাম হয়। আর এই ঘামের কারণে হয়ে যায় পানিশূন্যতা। এই সময়ে পানিশূন্যতা দূর করতে তরমুজের কোনো বিকল্প নেই। তরমুজে আছে প্রচুর পরিমাণে পানি ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান যা গরমের সময় শরীরকে দেয় প্রশান্তি।

কামরাঙ্গা

কামরাঙ্গাও একটি রসালো ফল। সেই সঙ্গে এতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। গরমের সময় প্রচুর কামরাঙ্গা খেলে শরীর থাকবে সুস্থ। সেই সঙ্গে দূর হবে শরীরের পানিশূন্যতা ও ক্লান্তি।

পেঁপে

পেঁপে একটি রসালো ও সুস্বাদু ফল। পেঁপেতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ ও সি। এছাড়াও পেঁপেতে আছে প্রচুর পরিমাণে পানি। তাই গরমের সময় পেপে খেলে প্রশান্তির অনুভব হয়। সেই সঙ্গে নিয়মিত পেঁপে খেলে দূর হয় পানিশূন্যতা।
নিজেই শাক-সবজী চাষ করছেন সালমান!

নিজেই শাক-সবজী চাষ করছেন সালমান!


সুস্বাস্থ্যের কথা চিন্তা করে তিন বছর আগে ছেড়েছেন ধূমপান এবং মদপানের মতো বদ অভ্যাসগুলো। সেই ধারাবাহিকতায় এবার নিলেন আরেকটি পদক্ষেপ। আর তাতেই বনে গেলেন খবরের শিরোনাম।
নিজের ফার্ম হাউজে এই তারকা চাষ করছেন নানা জাতের শাক-সবজি। আর সেই শাক-সবজিগুলো বাজার পর্যন্ত না গেলেও নিজের পরিবারে সদস্যদের জন্য নিজেই চাষ করেন।
এই তারকা বলেন, বাজারে এখন যে সব শাক-সবজি পাওয়া যায় তাদের বেশির ভাগই ফরমালিনে পরিপূর্ণ। আর তাই নিজের জমিতে চাষ করে সেই শাক-সবজিই রান্না করা হয় এবং এগুলত কোন রকম কীটনাশক ব্যবহার করা ছাড়াই বেশ ভালো ফলন হচ্ছে।
দীর্ঘদিন যৌবন ধরে রাখতে সকালের নাস্তায় যে খাবার গুলো খেতে পারেন

দীর্ঘদিন যৌবন ধরে রাখতে সকালের নাস্তায় যে খাবার গুলো খেতে পারেন

যৌবন ধরে রাখতে কে না চায় বলুন? প্রতিটি মানুষই চায় তার বয়সটাকে ধরে রেখে আরো কিছু দিন যৌবন ধরে রাখতে। আর তাই বয়সের ছাপ লুকানোর জন্য কত রকম চেষ্টাই না করে মানুষ। যৌবন ধরে রাখতে চাইলে প্রতিদিন সকালের নাস্তায় খেতে পারেন বিশেষ কিছু খাবার। বিশেষ এই খাবার গুলো খেলে ত্বকে সহজে বলিরেখা পড়ে না এবং শরীর থাকে সুস্থ ও সবল। তাই দীর্ঘদিন ধরে রাখা যায় কাঙ্ক্ষিত যৌবন। আসুন জেনে রাখা যাক ৫টি খাবার সম্পর্কে যেগুলো সকালের নাস্তায় খেলে দীর্ঘদিন যৌবন ধরে রাখা সম্ভব।

ডিম

প্রতিদিন সকালের নাস্তায় ডিম খেলে যৌবন ধরে রাখা সম্ভব বহুদিন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে একজন সুস্থ মানুষ যদি প্রতিদিন একটি করে ডিম খায় তাহলে বহু শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ডিমে ভিটামিন বি গ্রুপের বি১, বি২, বি৩, বি৫, বি৬ ও বি ১২ আছে। এছাড়াও কোলাইন, বায়োটিন ও ফলিক এসিড আছে ডিমে যা স্মৃতিশক্তি ভালো রাখে। ডিমে উপস্থিত লুটেইন ও জিয়াক্সানথিন নামক প্রোটিন চোখ ভালো রাখতে সহায়তা করে।

ওট মিল

ওট মিলে আছে প্রচুর ফাইবার যা শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল কমিয়ে দিতে সহায়তা করে। এছাড়াও ওটমিলে আছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকে বলিরেখা পড়তে দেয় না এবং ত্বকের কোষকে সজীব রাখে।

সবুজ চা

যৌবন ধরে রাখতে চাইলে সকালের নাস্তার সাথে খান এক কাপ সবুজ চা। প্রতিদিন সকালের নাস্তার সঙ্গে সবুজ চা খেয়ে শরীরে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় যা বয়স ধরে রাখতে সহায়তা করে। চায়ে উপস্থিতি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকে বলিরেখা পড়তে দেয় না এবং ত্বকের কোষ গুলোকে সজীব রাখে। সবুজ চা ক্যান্সার প্রতিরোধ এবং রক্তের চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণেও সহায়তা করে।

আনারের জুস

যারা সকালের নাস্তায় চা খেতে চান না তারা খেতে পারেন আনারের জুস। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে প্রতিদিন এক গ্লাস আনারের জুস খেলে ত্বকে সহজে বলিরেখা পড়ে না। এছাড়াও আনারের জুস খেলে হৃদপিন্ড ভালো থাকে এবং মানসিক চাপ কমে।

আঙ্গুর

আঙ্গুর যৌবন ধরে রাখার জন্য খুবই উপকারী ফল। নিয়মিত আঙ্গুর খেলে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হয়ে যায়। আঙ্গুর শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে। বিশেষ করে গাঢ় রঙ এর আঙ্গুর হৃদপিন্ডের জন্য খুবই উপকারী।
গরমে তৃষ্ণা মেটাতে চাই ঠাণ্ডা কিছু

গরমে তৃষ্ণা মেটাতে চাই ঠাণ্ডা কিছু


গরমে শরীর থেকে ঘাম বের হয়। বেশি ঘামের কারণে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই এ ঘাটতি পূরণের জন্য প্রয়োজন প্রচুর পানি ও শরবত পান করা। শুধু পানি সব সময় খেতে ভালো লাগে না। তাই এ তাপদাহে তৃষ্ণা মেটাতে ঠাণ্ডা শরবত, জুস ও ঠাণ্ডা দইয়ের কোনো জুড়ি নেই। এবারের খাবারের রেসিপি ও ছবি পাঠিয়েছেন রোজিনা আকতার

বেলের শরবত
উপকরণ : বেল ১টি, চিনি ১ কাপ, দুধ ১ কাপ, বরফকুচি ১ টেবিল-চামচ, গোলমরিচের গুঁড়া সামান্য।
প্রণালী : বেলের বিচি ছাড়িয়ে চামচ দিয়ে কুরিয়ে নিন। বরফ কুচি ছাড়া সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করুন। গ্লাসে ঢেলে বরফ কুচি দিয়ে পরিবেশন করুন ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা বেলের শরবত।

টক মিষ্টি ঠাণ্ডা দই
উপকরণ : দুধ ১ কেজি, চিনি এক কাপ, টক দই ২ টেবিল চামচ, একটি মাটির হাঁড়ি।
প্রণালী : প্রথমে দুধ জ্বাল দিয়ে অর্ধেক করতে হবে। ঠাণ্ডা হলে তাতে চিনি ও টক দই দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর মাটির হাঁড়িতে ঢেলে ভালোভাবে মোটা কাপড় বা তোয়ালে দিয়ে মুড়ে গরম কোনো জায়গায় রেখে দিন। ৬-৭ ঘণ্টা পর ঢাকনা খুলে দেখতে হবে দই জমছে কি-না। দই না জমলে আরও ঘণ্টাখানেক একইভাবে বেঁধে রেখে দিতে হবে। দই জমলে ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন টক-মিষ্টি ঠাণ্ডা দই।

কাঁচা আমের শরবত/জুস
উপকরণ : কাঁচা আম বড় ৪টি বা ১ কেজি, চিনি ২৫০ গ্রাম, কাঁচামরিচ ৪টি, জিরা গুঁড়া ১ চা-চামচ, বিট লবণ ও লবণ স্বাদমত, বরফ কুঁচি ও পানি পরিমাণমত।
প্রণালী : প্রথমে আম ধুয়ে কেটে আঁটি ছাড়িয়ে টুকরো করে নিতে হবে। আম, কাঁচামরিচ, চিনি ও লবণ ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। ব্লেন্ড করা হয়ে গেলে তারের ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে নিতে হবে। ছেঁকে নেয়া মিশ্রণে বিট লবণ ও জিরার গুঁড়া ভালোভাবে মেশাতে হবে। এরপর গ্লাসে ঢেলে বরফ কুঁচি দিয়ে মজার কাঁচা আমের জুস পরিবেশন করুন।

তরমুজের শরবত
উপকরণ : একটি মাঝারি আকারের তরমুজের অর্ধেক, চিনি (স্বাদমত), লেবুর রস ইচ্ছেমত ও বরফকুচি।
প্রণালী : প্রথমে তরমুজ কেটে বিচি ফেলে কুচি কুচি করে কেটে নিতে হবে। কাটার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন রস পড়ে না যায়। এরপর তরমুজ, চিনি এবং লেবুর রস ব্লেন্ডারে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে মিশিয়ে নিতে হবে। ভালোভাবে মিশে গেলে গ্লাসে ঢেলে বরফকুচি দিয়ে সুন্দরভাবে পরিবেশন করতে হবে।

পেয়ারার জুস
উপকরণ : পেয়ারা বড় দুটি, চিনি ২-৩ টেবিল চামচ, বিট লবণ এক চিমটি, লেবুর রস ২ চামচ, পানি আধাকাপ, বরফকুচি পরিমাণমত।
প্রণালী : প্রথমে পেয়ারা ছিলে বিচি ছাড়া অংশ নিন। একটি পাত্রে পানি, চিনি জ্বাল দিয়ে ঠাণ্ডা করে নিতে হবে। জ্বাল করা পেয়ারায় পানি দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এবার ছাকনিতে ব্লেন্ড করা মিশ্রণ ছেঁকে নিন। সব উপকরণ দিয়ে আবার ব্লেন্ড করে নিন। এরপর গ্লাসে ঢেলে বরফ কুচি দিয়ে ঠাণ্ডা জুস পরিবেশন করুন।