অর্থনীতির খবর লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
অর্থনীতির খবর লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
বাংলাদেশ-চীন ব্যবসায়ীদের মধ্যে ১৩.৬ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি সম্পূর্ণ

বাংলাদেশ-চীন ব্যবসায়ীদের মধ্যে ১৩.৬ বিলিয়ন ডলারের চুক্তি সম্পূর্ণ

China_president-1
বাংলাদেশ ও চীনের ব্যবসায়ীদের মধ্যে ১৩ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলারের ব্যবসায়িক চুক্তি সই হয়েছে। শুক্রবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এফবিসিআই এবং চায়না বিজনেস ফোরামের বৈঠকে এ চুক্তি হয়।

বৈঠক শেষে এফবিসিসিআই এর সভাপতি মাতলুব আহমাদ জানান, চীনের ১৫টি কোম্পানির সঙ্গে বাংলাদেশের ১৫টি কোম্পানির মধ্যে ১৯টি চুক্তি হয়েছে।
তবে চুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত কিছু না জানালেও এ চুক্তির সংখ্যা বেড়ে ৫০ হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
পোশাক কারখানার চাকরি নারীদের বাল্য বিবাহ কমিয়েছে : গবেষণা তথ্য

পোশাক কারখানার চাকরি নারীদের বাল্য বিবাহ কমিয়েছে : গবেষণা তথ্য

Image result for garments in bangladesh
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের জীবন খুব একটা সুখের নয়। নানা সমস্যা নিয়ে তাদের জীবন অতিবাহিত করছেন। তবে এই চাকরি বাংলাদেশের নারী শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে এবং বাল্য বিবাহ হ্রাসে সহযোগিতা করছে বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছে। ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটন-এর নতুন এ গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানার চাকরি নারীদের জীবনমান উন্নয়নে সাহায্য করেছে, তাদেরকে আরো বেশি সময় স্কুলে থাকতে উৎসাহিত করছে আর সবচেয়ে বড় যে উপকারটি করছে, তা হচ্ছে- এই চাকরি মেয়েদের বাল্য বিবাহের হার হ্রাসে ও অল্প বয়সে মা হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করছে।
বাংলাদেশের পোশাক কারখানা নিয়ে মালিকরা আতঙ্কে

বাংলাদেশের পোশাক কারখানা নিয়ে মালিকরা আতঙ্কে

 
গত বছরের ১লা ডিসেম্বর থেকে বাংলাদেশে পোশাক কারখানায় নতুন মজুরি কার্যকর হয়। ৭৭ ভাগ মজুরি বৃদ্ধি পেয়ে শ্রমিকদের এখন সর্বনিম্ন মজুরি দাড়িয়েছে ৫,৩০০ টাকা। কিন্তু মজুরি বৃদ্ধির এই চাপ সহ্য করতে পারছে না অনেক পোশাক কারখানাই। এর মূল কারণ, আন্তর্জাতিক ক্রেতারা পোশাকের দাম বাড়াচ্ছে না। ফলে ছোট ছোট অনেক পোশাক কারাখানা এরই মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানান তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ-র সহ সভাপতি শহীদুল আযিম। ৯৪৬টি পোশাক কারখানার ওপর জরিপ চালিয়ে দেখা গেছে যে, তাদের মাত্র ৪০ ভাগ নতুন মজুরি বাস্তবায়ন করতে পেরেছে। শহীদুল আযিম জানান, ‘‘অনেক পোশাক কারখানারই নতুন মজুরি বাস্তবায়নের সক্ষমতা নেই।'' কাজের পরিবশে এবং নিরাপত্তা ইস্যুতে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলি গত ছয় মাসে ১১ কোটি ডলারের কার্যাদেশ হারিয়েছে। এরপরেও আরো কার্যাদেশ বাতিলের আশঙ্কা করছে বিজিএমইএ। বিজিএমইএ-র সভাপতি আতিকুল ইসলাম জানান, ‘‘৫৭টি পোশাক কারখানা থেকে গত ছয় মাসে ১১ কোটি ডলারের কার্যাদেশ বাতিল হয়েছে। সংখ্যার হিসাবে যা প্রায় ২০ কোটি পিস পোশাক।'' তিনি জানান, ‘‘পোশাক শিল্পের ৪০ শতাংশ কারখানাই শেয়ার্ড বিল্ডিংয়ে। সেখানে শ্রমিকদের নিরাপত্তা ইস্যুই এখন প্রধান। এ সব কারখানায় শতকরা ১৫ ভাগ শ্রমিক কাজ করেন। এভাবে কার্যাদেশ বাতিল হলে লাখ লাখ শ্রমিক বেকার হবেন।'' নিরাপত্তা, কম মজুরি এবং রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ নানা প্রশ্নে পশ্চিমা ক্রেতারা বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। বাংলাদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে তারা ভারত, ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া ও কম্বোডিয়ায় চলে যাচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮০ ভাগ আসে এই খাত থেকে। পোশাক কারখানায় নিয়োজিত আছে প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক, যাঁদের ৮০ ভাগই নারী৷ তাই পোশাক কারখানার এ ধরণের বিপর্যয় পুরো অর্থনীতির উপর নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া ফেলবে। ব্যবসা হারাবেন বাংলাদেশের অনেক পোশাক কারখানার মালিক।
প্রস্তাবিত বাজেটে যেসব পণ্যের দাম কমছে

প্রস্তাবিত বাজেটে যেসব পণ্যের দাম কমছে


২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ১৭০১ সিসি থেকে ২৭৫০ সিসি পর্যন্ত প্রাইভেট কার, সবধরনের প্রসাধনী, সুগন্ধি, সাবান, মোবাইল সিম কার্ড, টুথ ব্রাশ, আসবাবপত্র, দরজা-জানালা, এ্যালুমিনিয়াম স্যানেটরি ওয়্যারের দাম কমছে। এছাড়া টু স্ট্রোক ও ফোর স্ট্রোক বিশিষ্ট অটো রিক্সা, থ্রি হুইলার ইঞ্জিন, ফিল্টার, ইমিটিয়েশন জুয়েলারি, অমসৃণ হীরা, ট্রাক স্যুট, গার্মেণ্টস সামগ্রী, ওভেন, ফেব্রিক্স ও রেশম বস্ত্রের দাম কমছে। পটেটো চিপস, চকলেট, হিমায়িত মাছ, কাটা ছড়ানো মাছ, মাখন, দুগ্ধজাত চর্বি ও তেল, ডেইরি প্রোডাক্ট, সুইটি বিস্কুট, মেয়েদের ব্রেসিয়ার, রুমাল, শাল, স্কার্ফ, গ্লাভস, মাফলারসহ প্রায় ১৪৮টি পণ্যের দাম কমবে। প্রস্তাবিত বাজেটে এসব পণ্যের উপর থেকে সম্পূরক শুল্ক সর্বনিন্ম ৫ শতাংশ থেকে শুরু করে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৩৭ মিনিটে জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। ২০১৪-১৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা।
রাজধানী থেকে সরাতে হবে ৭৫০ পোশাক কারখানা

রাজধানী থেকে সরাতে হবে ৭৫০ পোশাক কারখানা

 
রাজধানীতে ভাড়া করা ভবনে ১ হাজার ৫০০টি পোষাক কারখানার মধ্যে ৭৫০টিরও বেশি কারখানা পরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা। ত্রুটিপূর্ণ এসব কারখানা রাজধানী থেকে সরাতে হবে বলে মনে করছে সরকারের কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর। জানা গেছে, রাজধানীতে ভাড়া করা ভবনে গড়ে ওঠা কারখানাগুলোর অধিকাংশেরই রয়েছে স্থাপত্য ও নকশাজনিত ত্রুটি। কর্মপরিবেশ ও শ্রম নিরাপত্তা জোরদার মূল্যায়ন কার্যক্রমেও এসব ত্রুটি বেরিয়ে আসছে। এছাড়া এরই মধ্যে উৎপাদন স্থগিত হয়ে গেছে এক ডজনেরও বেশি কারখানার। ভাড়া করা ভবনে উৎপাদন ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে এমন কারখানাগুলোর মধ্যে আছে মিরপুরের মোল্লা টাওয়ারের সফটেক্স, ফেম ও ডায়মন্ড। এছাড়া একই এলাকায় রয়েছে ফোর উইংস, অ্যাটিউন ও ন্যাচারাল গার্মেন্টস। এ কারখানাগুলোর সব উদ্যোক্তাই বাণিজ্যিক ভবনের ফ্লোর ভাড়া নিয়ে কারখানা গড়ে তুলেছেন। বিদ্যমান মূল্যায়ন কার্যক্রমে স্থাপত্য ত্রুটি ধরা পড়ায় এসব কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া আরও জানা যায়, দুটি আন্তর্জাতিক উদ্যোগে এরই মধ্যে ১২টির বেশি কারখানা ভবনের ত্রুটি চিহ্নিত করা গেছে। পুরো মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ শেষ হলে বোঝা যাবে ঠিক কতটি কারখানা সরিয়ে নিতে হবে। তবে সরকারের প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী সাড়ে ৭০০ পোশাক কারখানাকে পরিকল্পিত স্থানে চলে যেতে হবে। তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর হিসাবে, দেশে সক্রিয় কারখানা রয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৬০০টি। এর প্রায় ৪০ শতাংশ অর্থাৎ ১ হাজার ৫০০টি গড়ে উঠেছে শেয়ার্ড ভবনে। সরকারের প্রাথমিক হিসাবে, এই ১ হাজার ৫০০ কারখানার ৫০ শতাংশ সরিয়ে নিতে হবে। আর এ কারখানাগুলোর মধ্যে যেগুলো ত্রুটিপূর্ণ ভবনে স্থাপিত, তা চিহ্নিত হবে মূল্যায়ন কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর। প্রসঙ্গত, উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ ও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে পোশাক কারখানা মূল্যায়ন কার্যক্রম চলছে। এর মধ্যে উত্তর আমেরিকার ২৬টি ক্রেতা প্রতিষ্ঠানসহ আছে ইউরোপীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রায় ১৫০ ক্রেতা প্রতিষ্ঠান। বিদেশী প্রকৌশলীদের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় প্রায় ১৮০টি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান মূল্যায়ন কার্যক্রম চালাচ্ছে। সূত্র: দৈনিক বণিক বার্তা
জিএসপি : নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন পাঠালেও পূরণ হয়নি সব শর্ত

জিএসপি : নির্ধারিত সময়ে প্রতিবেদন পাঠালেও পূরণ হয়নি সব শর্ত


যুক্তরাষ্ট্রে জিএসপি সুবিধা ফিরে পেতে ১৬টি শর্তের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে প্রথম প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছিল গত বছরের নভেম্বর মাসে। তখনই শর্তগুলো পূরণের জন্য ৩১শে মার্চ পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল এবং অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছিল ১৫ই এপ্রিলের মধ্যে। বাংলাদেশ সরকার এখন নির্ধারিত সময়ে অর্থাৎ মঙ্গলবার তাদের অগ্রগতি প্রতিবেদন পাঠাচ্ছে। তবে সবক’টি শর্ত এখনও পূরণ হয়নি। জানা গেছে, কারখানার পরিদর্শক নিয়োগ এবং ইপিজেডে ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার দেওয়ার মতো স্পর্শকাতর বিষয়গুলোসহ মোট দশটি শর্ত পুরোপুরি পূরণ করা হয়েছে। এছাড়া দীর্ঘ মেয়াদের কিছু বিষয় রয়েছে। তার মধ্যে কারখানা ভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে অনেকটা সময় প্রয়োজন। সে বিষয়টি প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। একইসাথে এই শর্ত পূরণের ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতিও সরকার দেবে। এছাড়া কারাখানার ভবন সর্ম্পকিত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আরও সময় লাগবে বলে প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হবে। এদিকে মূলত পোশাক খাতে শ্রমিক নিরাপত্তার ইস্যুতে গত দশ মাস ধরে বাংলাদেশের জন্য বিশেষ এই রপ্তানি সুবিধা বন্ধ রেখেছে যুক্তরাষ্ট্র। বিদেশী ক্রেতাদের দু’টি ফোরাম অ্যাকোর্ড এবং এ্যালায়েন্সের কারখানা পরিদর্শনের যে কার্যক্রম চালাচ্ছে, তারও উল্লেখ থাকবে প্রতিবেদনে। তবে বাংলাদেশ সরকার মনে করছে, শর্তের ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার এখনও পর্যন্ত যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তাতে রাজনৈতিক কোন বিষয় আনা না হলে জিএসপি সুবিধা ফেরত পাওয়া উচিত। সূত্র: বিবিসি
এবার প্রেমের ফাঁদে ফেলে বাণিজ্য!!!

এবার প্রেমের ফাঁদে ফেলে বাণিজ্য!!!

বাণিজ্যের কত প্রকারই না ধরণ! কেউ রূপের ফাঁদে ফেলে মানুষ ঠকায়, আবার কেউ প্রেমের ফাঁদে ফেলে পকেট ভরে। কমার্শিয়াল এই যুগে মানুষের দেহ-মন সবই এখন অর্থ উপার্জনের হাতিয়ার। আর এর সাথে যখন যুক্ত হয় কূটিল মস্তিষ্ক, তখন তো আর উপায়ই থাকে না!
মেয়েটার নাম, দোলা আক্তার। বয়স মাত্র ২০ বছর। এই বয়সে যখন তার অনাগত জীবন স্বপ্নে বিভোর থাকার কথা, ঠিক সে সময়ই সে মেতে উঠেছিল প্রতারণার ছোবল দিতে। মোবাইল ফোন নম্বর সংগ্রহ করে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সে গড়ে তুলত প্রেমের সম্পর্ক। দেখা করার নামে নির্ধারিত ফ্ল্যাটে নিয়ে কৌশলে ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে আপত্তিকর ছবি তুলে রাখত দোলা এবং তার সঙ্গীরা। পরে ওই ছবি দেখিয়ে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে দাবি করা হতো লাখ লাখ টাকা। টাকা দিতে আপত্তি করলেই গ্রেফতার এবং সংবাদ প্রচারের ভয়। ভুয়া প্রেমিকা, পুলিশ এবং সাংবাদিকের সমন্বয়ে গড়ে তোলা ওই প্রতারক চক্রটি প্রেমের ফাঁদে ফেলে অনেক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে লাখ লাখ টাকা।
প্রতারিত এক ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার রাজধানীর মিরপুর পাইকপাড়ার একটি বাসা থেকে ওই চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ওয়্যারলেস সেট, হ্যান্ডকাফ ও একটি ডিজিটাল ক্যামেরা। ডিবির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেনের তত্ত্বাবধানে গ্রেফতার অভিযান চালান ডিবির সহকারী পুলিশ কমিশনার রহমত উল্লাহ্ চৌধুরী।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- দোলা আক্তার, আবু তালেব, ভুয়া ডিবি ইন্সপেক্টর আজাহার উদ্দিন খান, ভুয়া ডিবির সাব-ইন্সপেক্টর মো. মোস্তফা, ভুয়া সাংবাদিক শামীম সিকদার ও সালমা বেগম। প্রতারক চক্রটির মূল হোতা আবু তালেব নিজেকে ডিবির সহকারী কমিশনার পরিচয় দিত।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৬ আগস্ট লন্ডন প্রবাসী এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে দোলার আপত্তিকর ছবি তোলে। পরে ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে তারা ওই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ২৪ লাখ টাকা আদায় করে। গত ২০ ফেব্রুয়ারি এক উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তার কাছ থেকে একই ভাবে ১৭ লাখ টাকা আদায় করে।
সর্বশেষ মিরপুরের এক রাজনৈতিক নেতার কাছ থেকে তারা ৫ লাখ টাকা আদায় করে। ওই নেতার মিরপুর থানায় দায়ের করা মামলার সূত্র ধরে প্রতারকদের গ্রেফতার করা হয়।
সূত্র: দৈনিক সমকাল
ভুটান থেকে সাড়ে ৩ হাজার মে.ওয়াট বিদ্যুত আনা হচ্ছে

ভুটান থেকে সাড়ে ৩ হাজার মে.ওয়াট বিদ্যুত আনা হচ্ছে


এম শাহজাহান ॥ ভুটান থেকে সাড়ে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত আমদানির আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিবে সরকার। উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে এই বিদ্যুত আমদানি করা হবে। প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের সহযোগিতায় ভুটান বর্তমানে ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। এই প্রকল্পের বিদ্যুত উৎপাদনের ক্ষমতা প্রায় ৬ হাজার ৩শ’ মেগাওয়াট। ইতোমধ্যে বিদ্যুত বিভাগ ভুটান থেকে বিদ্যুত আমদানির সম্ভাবনার বিষয়টি আলোচনা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করেছে। তাতে ভুটানের সঙ্গে বিদ্যুত খাতে সহযোগিতার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সুপারিশ করা হয়েছে। ভুটানের থিম্পুতে বাংলাদেশ-ভুটানের বাণিজ্য সচিব পর্যায়ে আগামীকাল বুধবারের বৈঠকেই এ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এ তথ্য। জানা গেছে, ৯ ও ১০ এপ্রিল বাংলাদেশ-ভুটানের বাণিজ্য সচিব পর্যায়ে দু’দিনব্যাপী বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এই বৈঠকে বিদ্যুত আমদানির পাশাপাশি ট্রানজিট, শুল্কমুক্ত সুবিধায় রফতানি বাণিজ্য সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা করা হবে। এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ থেকে ৮ সদস্যের একটি উচ্চপর্যাযের সরকারী প্রতিনিধি দল আজ মঙ্গলবার ভুটানের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন।
সচিব পর্যায়ের বৈঠকে দু’দেশের মধ্যে ট্রানজিট চুক্তির খসড়া অনুমোদনসহ নৌরুট চালু এবং বৈদেশিক বাণিজ্যে অর্থ আদান-প্রদানে জটিলতা নিরসন, শুল্কমুক্ত ১৮টি পণ্যের তালিকা সংশোধন, ভুটান কর্তৃক কতিপয় বাংলাদেশী পণ্যের ওপর শুল্কমুক্ত করার নোটিফিকেশন, বাংলাদেশী ফ্রুট জুস রফতানিতে জটিলতা নিরসনে ভুটানের এইচ এস কোডের বর্ণনা সংশোধন, নকুগাঁও ও হালুয়াঘাটকে স্থল কাস্টসম স্টেশন ঘোষণা, বৈদেশিক বাণিজ্যের অর্থ পরিশোধের প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা জোরদারকরণ, ভুটানে ব্যবসায়ী ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধি, বাংলাদেশে ভুটানের ১৭টি পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধায় প্রবেশের অনুরোধ, উভয় দেশের শুল্ক কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন, শুল্কমুক্ত ১৮টি পণ্যের ওপর আরোপিত এ্যাডভান্স ট্রেড ভ্যাট প্রত্যাহার, বাংলাদেশের মেরিন একাডেমিতে ভুটানের শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার প্রস্তাব বিষয়ে আলোচনা করা হবে।
এ ছাড়া বিনিয়োগ সুবিধা সংক্রান্ত তথ্য বিনিময়, বেসরকারী খাতে সহযোগিতা, সিমেন্ট ইনস্যুলেটর এবং গ্লাসশীট রফতানি ও পর্যটন খাতে সহায়তা নিয়ে আলোচনা করা হবে সচিব পর্যায়ের বৈঠকে। এ প্রসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শওকত আলী ওয়ারেছী জনকণ্ঠকে বলেন, নতুন ইস্যু হিসেবে বিদ্যুত আমদানি, ট্রানজিটের খসড়া অনুমোদনের বিষয় অগ্রাধিকার দেয়া হবে। তিনি বলেন, ভুটান থেকে বিদ্যুত আমদানির বিষয়টি নতুন নয়। বাংলাদেশে প্রতিবছর ১১-১২ ভাগ বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশের বিদ্যুত খাতের মাস্টারপ্লানে উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার মাধ্যমে ভুটান থেকে সাড়ে ৩ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত আমদানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
আর তাই বিদ্যুত আমদানির বিষয়টি এবারে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, ভুটান ১৭টি পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা চেয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ট্যারিফ কমিশন ৬ পণ্যের সুবিধা দেয়ার বিষয়ে মত দিয়েছে। আগামীকালের বৈঠকে বিষয়গুলো উপস্থাপন করা হবে। বৈঠকে উপস্থাপনের জন্য কার্যপত্র তৈরি করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এতে বিনিয়োগ সংক্রান্ত তথ্য বিনিময় ও ভিসার মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।