রাজধানী থেকে সরাতে হবে ৭৫০ পোশাক কারখানা

 
রাজধানীতে ভাড়া করা ভবনে ১ হাজার ৫০০টি পোষাক কারখানার মধ্যে ৭৫০টিরও বেশি কারখানা পরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা। ত্রুটিপূর্ণ এসব কারখানা রাজধানী থেকে সরাতে হবে বলে মনে করছে সরকারের কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতর। জানা গেছে, রাজধানীতে ভাড়া করা ভবনে গড়ে ওঠা কারখানাগুলোর অধিকাংশেরই রয়েছে স্থাপত্য ও নকশাজনিত ত্রুটি। কর্মপরিবেশ ও শ্রম নিরাপত্তা জোরদার মূল্যায়ন কার্যক্রমেও এসব ত্রুটি বেরিয়ে আসছে। এছাড়া এরই মধ্যে উৎপাদন স্থগিত হয়ে গেছে এক ডজনেরও বেশি কারখানার। ভাড়া করা ভবনে উৎপাদন ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে এমন কারখানাগুলোর মধ্যে আছে মিরপুরের মোল্লা টাওয়ারের সফটেক্স, ফেম ও ডায়মন্ড। এছাড়া একই এলাকায় রয়েছে ফোর উইংস, অ্যাটিউন ও ন্যাচারাল গার্মেন্টস। এ কারখানাগুলোর সব উদ্যোক্তাই বাণিজ্যিক ভবনের ফ্লোর ভাড়া নিয়ে কারখানা গড়ে তুলেছেন। বিদ্যমান মূল্যায়ন কার্যক্রমে স্থাপত্য ত্রুটি ধরা পড়ায় এসব কারখানার উৎপাদন কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া আরও জানা যায়, দুটি আন্তর্জাতিক উদ্যোগে এরই মধ্যে ১২টির বেশি কারখানা ভবনের ত্রুটি চিহ্নিত করা গেছে। পুরো মূল্যায়ন প্রক্রিয়ার প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ শেষ হলে বোঝা যাবে ঠিক কতটি কারখানা সরিয়ে নিতে হবে। তবে সরকারের প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী সাড়ে ৭০০ পোশাক কারখানাকে পরিকল্পিত স্থানে চলে যেতে হবে। তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর হিসাবে, দেশে সক্রিয় কারখানা রয়েছে প্রায় ৩ হাজার ৬০০টি। এর প্রায় ৪০ শতাংশ অর্থাৎ ১ হাজার ৫০০টি গড়ে উঠেছে শেয়ার্ড ভবনে। সরকারের প্রাথমিক হিসাবে, এই ১ হাজার ৫০০ কারখানার ৫০ শতাংশ সরিয়ে নিতে হবে। আর এ কারখানাগুলোর মধ্যে যেগুলো ত্রুটিপূর্ণ ভবনে স্থাপিত, তা চিহ্নিত হবে মূল্যায়ন কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর। প্রসঙ্গত, উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ ও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে পোশাক কারখানা মূল্যায়ন কার্যক্রম চলছে। এর মধ্যে উত্তর আমেরিকার ২৬টি ক্রেতা প্রতিষ্ঠানসহ আছে ইউরোপীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রায় ১৫০ ক্রেতা প্রতিষ্ঠান। বিদেশী প্রকৌশলীদের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের সহায়তায় প্রায় ১৮০টি ক্রেতা প্রতিষ্ঠান মূল্যায়ন কার্যক্রম চালাচ্ছে। সূত্র: দৈনিক বণিক বার্তা

SHARE THIS

0 মন্তব্য(গুলি):