দেশের খবর লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
দেশের খবর লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ঠাকুরগাঁওয়ে ড.মুহাম্মদ শহীদ উজ-জামান নির্মাণ করলেন বাঁশের ‘কেল্লা’

ঠাকুরগাঁওয়ে ড.মুহাম্মদ শহীদ উজ-জামান নির্মাণ করলেন বাঁশের ‘কেল্লা’

ঠাকুরগাঁওয়ে ড.মুহাম্মদ শহীদ উজ-জামান নির্মাণ করলেন বাঁশের ‘কেল্লা’
ঠাকুরগাঁওয়ে ড.মুহাম্মদ শহীদ উজ-জামান নির্মাণ করলেন বাঁশের ‘কেল্লা’
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : বীরযোদ্ধা তিতুমীরের বাঁশের কেল্লা ইতিহাসে আজো অক্ষয় হয়ে আছে। বাঁশের কেল্লার সঙ্গে সঙ্গে বাঁশের স্থাপনাও এখন ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছে। এছাড়া ইট,চুন,সুরকির যুগে বাঁশের স্থাপনা তৈরীরও মননশীলতা প্রয়োজন। তারপরও প্রকৃতিপ্রেমী মানুষেরা ছুটে যেতে বার বার চায় প্রকৃতির কাছে।আরও অনুভূতি থেকেই ঠাকুরগাঁওয়ে বাঁশের মিলনায়তন নির্মাণ করলো উত্তরাঞ্চলের সূনামধন্য বে-সরকারি সংস্থা ইকো সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ইএসডিও) এর নির্বাহী পরিচালক ও ঠাকুরগাঁওয়ের কৃতি সন্তান ড. মুহাম্মদ শহীদ-উজ-জামান।ঠাকুরগাঁওয়ে সংস্থার প্রধান কার্যালয়ের প্রশিক্ষণকেন্দ্রের ছাদে তৈরি করা হয়েছে বাঁশ দ্বারা নির্মিত স্থাপনাটি। নাম রাখা হয়েছে ‘চেতনা বিকাশ কেন্দ্র’।দুই হাজার স্কয়ার ফিটের মিলনায়তনটির চারপাশ বাঁশ দিয়ে নির্মাণ করা হলেও উপরে দেয়া হয়েছে খড়ের ছাউনি।ভেতরের আসবাব তৈরি করা হয়েছে বাঁশ ও পাট দিয়ে। বর্তমানে এ মিলনায়তনটি ব্যবহার করা হচ্ছে ইএসডিওর সম্মেলন কক্ষ হিসেবে। এ সম্মেলন কক্ষে আমন্ত্রিত অতিথিদের আপ্যায়নেও ব্যবহার করা হচ্ছে সব মাটির তৈরি জিনিসপত্র।সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ড. মুহাম্মদ শহীদ-উজ জামানের নির্দেশনায় ৮০ জন কারিগর ছয় মাস নিরলস পরিশ্রম করে নির্মাণ করেছেন বাঁশের মিলনায়তনটি।ড. মুহাম্মদ শহীদ-উজ-জামান এ প্রতিনিধিকে বলেন, গ্রামীণ ঐতিহ্য, বাঁশ ও মৃৎ শিল্পীদের কাজের প্রসার ঘটানোর জন্য বাঁশের মিলনায়তনটি নির্মাণ করেছি। বাঁশশিল্পীরা আগে বাঁশের বিভিন্ন প্রকার জিনিস তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করতা। কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন প্রকার প্লাস্টিক সামগ্রির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় বাঁশশিল্পীরা দিন দিন বেকার হয়ে পড়েছে। মূলত তাদের কথা চিন্তা করেই বাঁশের মিলনায়তনটি নির্মাণ করা হয়েছে।’তিনি আরো বলেন, ‘ঢাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ঘরটির নকশা নিয়ে গেছে। আশা করি তারাও এমন ঘর নির্মাণ করবেন। এছাড়া কয়েকটি দেশের প্রতিনিধি ঘরটি দেখে মুগ্ধ হয়ে ঘরটির অংশবিশেষ তৈরির অর্ডার দিয়েছেন কারিগরদের।’তিনি আরো বলেন, বাঁশ চাষ অত্যান্ত লাভজনক। বাঁশ যে কোনো পতিত জমিতে চাষ করা যায়, বিশেষ করে গোরস্তানে। কারণ বাঁশের শিকড় খুবই চিকন। গোরস্তানে যেহেতু কোনো ফসল চাষ করা যায় না বা হয় না, সেহেতু বাঁশ চাষ করলে যেমন এ শিল্পের প্রসার ঘটিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়া যাবে, ঠিক তেমনি পতিত জমির সঠিক ব্যবহারও করা হবে। আমরা উত্তরবঙ্গের অন্যতম বৃহৎ পীরগঞ্জ গোরস্তানে পরীক্ষামূলকভাবে বাঁশ চাষের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
লিজ বন্ধ হচ্ছে বিআরটিসি বাসের

লিজ বন্ধ হচ্ছে বিআরটিসি বাসের


রক্ষাণাবেক্ষণ ঠিকমতো হয়না বলে বিআরটিসি বাসের লিজ বন্ধ করার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার সকালে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সড়ক পরিবহনে জটিলতা নিরসন সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকের পর এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এ তথ্য দেন।
বৈঠকের পর যোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, লিজ দেওয়ার পর বিআরটিসি বাসের রক্ষাণাবেক্ষণ ঠিকমতো হয়না। এতে বেসরকারি মালিক পক্ষের সঙ্গে সমস্যা হচ্ছে। সে কারণে বিআরটিসি বাসের লিজ বন্ধ করার ব্যাপারে আমরা উদ্যোগ নিচ্ছি।
যোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, জেলা পর্যায়ে যদি নতুন বাসরুট চালু করতে হয়, সেক্ষেত্রে মালিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। বর্তমানে চালুকৃত রুটে যেন ওভারল্যাপিং না হয়, সে ব্যাপারে বিআরটিসি আগামী সপ্তাহে বৈঠক করে সমস্যা সমাধান করবে।
জেলা ও মালিক সমিতির সঙ্গে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান যোগাযোগ মন্ত্রী।
বৈঠকে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান ও স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙা এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মূল পদ্মাসেতু নির্মাণের কার্যাদেশ অনুমোদন

মূল পদ্মাসেতু নির্মাণের কার্যাদেশ অনুমোদন


বহুল আলোচিত পদ্মাসেতু নির্মাণ প্রকল্পে মূল সেতু নির্মাণের জন্য অবশেষে চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানিকে দেয়া কার্যাদেশ অনুমোদন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সোমবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি। ওবায়দুল কাদের জানান, চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডকে ওয়ার্কঅর্ডার বা কার্যাদেশ দেয়া হয়েছে। সোমবার প্রধানমন্ত্রী এ কার্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছেন। এর আগে গত ২২ মে চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের পদ্মা সেতু নির্মাণের দরপত্র প্রস্তাব অনুমোদন দেয় সরকার। ২২ মে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। পদ্মাসেতু প্রকল্পের মূল সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় হবে ১২ হাজার ১৩৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে মোট ব্যয়ের ২৫ দশমিক ৬০ শতাংশ (৩ হাজার ১০৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা) দেশীয় অর্থে ও অবশিষ্ট ৭৪ দশমিক ৪০ শতাংশ (৯ হাজার ২৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা) বৈদেশিক মুদ্রায় (ডলারে) পরিশোধ করতে হবে। জানা গেছে, মূল পদ্মা সেতু নির্মাণে ১০টি প্রতিষ্ঠান প্রাক-যোগ্যতা বাছাই দরপত্রে অংশ নেয়। সেখান থেকে ৫টি প্রতিষ্ঠান প্রাথমিকভাবে যোগ্য বলে বিবেচিত হয়। পরে বিশ্বব্যাংক কালোতালিকাভুক্ত করায় চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানিকে বাতিল করা হয়। গত বছর ২৬ জুন চারটি প্রতিষ্ঠানের কাছে চূড়ান্ত দরপত্র আহ্বান করা হয়। এতে তিনটি প্রতিষ্ঠান অংশ নিলে সবগুলোই কারিগরিভাবে যোগ্য বিবেচিত হয়। অপর দুই প্রতিষ্ঠান হচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং সিএ্যান্ডটি কর্পোরেশন এবং ডেলিম-এলএ্যান্ডটি জেভি। তিন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে চায়না মেজর ব্রিজকে ঠিকাদার হিসেবে নিয়োগ দেয়ার সুপারিশ করা হয়।
পদ্মা সেতুর মূল অবকাঠামোতে ব্যায় হবে ১২ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা

পদ্মা সেতুর মূল অবকাঠামোতে ব্যায় হবে ১২ হাজার ১৩৩ কোটি টাকা


পদ্মা সেতু প্রকল্পের মূল অবকাঠামো নির্মাণে ব্যয় হবে ১২ হাজার ১৩৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড-এর কাছ থেকে এ আর্থিক প্রস্তাব পাওয়া গেছে। মূল অবকাঠামো নির্মাণের আন্তর্জাতিক দরপত্রে অংশ নেয়া আরও তিন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এটি সর্বনিু দর। পাশাপাশি এ কাজের জন্য সরকার যে সম্ভাব্য ব্যয় নির্ধারণ করেছে তার তুলনায় ১২ দশমিক ৬২ শতাংশ কম ব্যয়ের প্রস্তাব পাওয়া গেছে চীনের এই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে। আজ সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে পদ্মা সেতু প্রকল্পের মূল অবকাঠামো নির্মাণ কাজের বিষয়টি অনুমোদনের জন্য তোলা হবে। সূত্র মতে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে চুক্তির অ্যাওয়ার্ড প্রদানের দিন থেকে ১৪৬০ দিন বা ৪ বছরের মধ্যে নির্মাণকাজ শেষ করতে হবে। এর জন্য সরকারকে পারফরম্যান্স সিকিউরিটি অর্থ দিতে হবে। এ অর্থের পরিমাণ এখনও নির্ধারণ করা হয়নি। তবে চুক্তি সমঝোতার আগেই আলোচনার মাধ্যমে এ অর্থের পরিমাণ নির্ধারণ করা হবে বলে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। সেতু নির্মাণের জন্য চীনের প্রতিষ্ঠানটিকে কাজ দেয়া হলে তাদের অর্থ প্রদান করা হবে দেশী ও বৈদেশিক মুদ্রায়। চুক্তি মূল্যের ২৫ দশমিক ৬০ শতাংশ দেশীয় টাকা এবং ৭৪ দশমিক ৪০ শতাংশ সরকারি খাত থেকে বৈদেশিক মুদ্রায় পরিশোধ করতে হবে। ব্রিজের সব ক্রয়, সংগ্রহ ও নির্মাণের চুক্তির প্রস্তাবটিতে সরকারের ক্রয়নীতি ২০০৮ (পিপিআর) এবং বিশ্বব্যাংকের নীতিমালা অনুসরণ করার শর্তারোপ করা হয়েছে। এদিকে চুক্তি সম্পন্ন হওয়ার পর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে অগ্রিম অর্থ দেয়ার জন্য যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে আরও ৩২৭ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে। সূত্র মতে, বিশ্বব্যাংকের অনুমোদন নিয়ে ২০১০ সালে পদ্মা বহুমুখী প্রকল্পের মূল অবকাঠামো নির্মাণের জন্য আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়। ৪২টি প্রতিষ্ঠান প্রি-কোয়ালিফিকেশন ডকুমেন্ট ক্রয় করে। এর মধ্যে ১০টি প্রতিষ্ঠান কাগজপত্র জমা দিয়ে দরপত্রে অংশ নেয়। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি যোগ্যতার মূল্যায়নের ভিত্তিতে চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লি. স্যামসাং সিঅ্যান্ডটি কর্র্পোরেশন, ডেইলিম-এলঅ্যান্ডটি জয়েন্ট ভেঞ্চার, ভিনসি-এইচসিসি জয়েন্ট ভেঞ্চার ও চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লি. প্রতিষ্ঠানের তালিকা বিশ্বব্যাংকের কাছে প্রদান করে। ২০১১ সালের ১ জুলাই বিশ্বব্যাংক প্রি-কোয়ালিফিকেশন প্রতিষ্ঠানের তালিকায় সম্মতি প্রদান করে। জানা গেছে, বিশ্বব্যাংকের কালো তালিকায় চায়না কমিউনিকেশন কনসালটেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের নাম থাকায় ওই পাঁচ প্রতিষ্ঠানের তালিকা থেকে এ প্রতিষ্ঠানের নাম বাদ দেয়া হয়। ফলে টিকে থাকে চারটি প্রতিষ্ঠান। এরপর দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি ও ডিটেল ডিজাইন কনসালটেন্ট মাউনসের (একোমো) চারটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কারিগরি দরপত্র আহ্বান করা হয়। এর মধ্যে ভিনসি-এইচসিসি জয়েন্ট ভেঞ্চার বাদে অপর তিনটি প্রতিষ্ঠান তাদের কারিগরি সক্ষমতার কাগজপত্র দাখিল করে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ওই তিন প্রতিষ্ঠানকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিয়ে চূড়ান্ত প্রস্তাব পাঠাতে বলে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি। অবশ্য এর জন্য সময়সীমা বাড়িয়ে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়। চূড়ান্ত প্রস্তাব জমা দেয়ার জন্য নির্ধারিত সময়ের চেয়ে আর ১০ সপ্তাহ বেশি সময় চায় স্যামসাং সিঅ্যান্ডটি কর্পোরেশন এবং ১২ সপ্তাহ বেশি সময় চেয়েছে ডেইলিম-এলঅ্যান্ডটি জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি। এ বিষয়ে ডিটেল ডিজাইন কনসালটেন্ট কোনো সময় বৃদ্ধি করেনি। সময়ের মধ্যে একমাত্র চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লি. তাদের চূড়ান্ত প্রস্তাব জমা দেয়। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি ও ডিটেল ডিজাইন কনসালটেন্ট যাবতীয় দলিলাদি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সর্বনিু দরদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে এই প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে সুপারিশ করে। চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লি. পদ্মা সেতু প্রকল্পের মূল অবকাঠামো নির্মাণের জন্য তাদের দরপত্রে খরচের প্রস্তাব দিয়েছে ১২ হাজার ১৩৩ কোটি ৩৯ লাখ ৩০ হাজার ৬৮২ টাকা ১৫ পয়সা।
সূত্র: যুগান্তর
বিজেপি সরকার: ছিটমহলবাসীর মাঝে সংশয়

বিজেপি সরকার: ছিটমহলবাসীর মাঝে সংশয়


ভারতীয় লোকসভার ১৬তম নির্বাচনে বিজেপির জয় নিয়ে নানা হিসাব-নিকাশ শুরু করছেন লালমনিরহাটের ছিটমহলবাসী। ছিটমহল বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়ন যখন কংগ্রেসের ঘোষণার অপেক্ষায় ঠিক তখনই রাষ্ট্রক্ষমতা থেকে ভারতের বৃহৎ এ দলটি ছিটকে পড়ায় সংশয় দেখা দিয়েছে দু’দেশের ছিটমহল বিনিময় চুক্তি নিয়ে। তাই এ চুক্তি বাস্তবায়নে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে ছিটমহলবাসীকে, দৈনিক মানবকন্ঠ পত্রিকায় এভাবেই ছিটমহলবাসীর যে সংশয়ের সৃষ্টি হয়েছে তা তুলে ধরেছে। ছিটমহলবাসী মনে করছেন, এ চুক্তি বাস্তবায়ন কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকলে যত সহজ হতো, বিজেপি ক্ষমতায় আসায় তত সহজ হবে না। কেউ কেউ বলছেন সহজেই বিজেপি ছিটমহল চুক্তিতে এগিয়ে আসবে না। এলেও আবার নতুন করে ভাবতে হবে, যা অনেক সময়ের ব্যাপার। আবার অনেকেই বলছেন ভিন্ন কথা, বিজেপি আগের অবস্থান থেকে নিজের স্বার্থে অনেকটা সরে আসবে। বিজেপি এ গণরায়ের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই তাদের পরিকল্পনায় ছিটমহল বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়ন করবে। যে কারণে ছিটমহলের অনেকেই বিশ্বাস করেন, কংগ্রেস যেখানে এ চুক্তিতে ব্যর্থ হয়েছে, সেখানে বিজেপি এ চুক্তি বাস্তবায়ন করে রাজনৈতিক সফলতা ঘরে তুলবে। পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম আংগরপোতা বঙ্গেরবাড়ি এলাকার বাসিন্দা আমির হোসেন বলেন, পুরাতন সরকার যা পারেনি, নতুন সরকার তা করে জনগণের রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে। আর তা না করলে কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে তফাৎ কি থাকল? ছিটমহল বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়নে কংগ্রেস সরকার যতটা পথ এগিয়ে নিয়েছেন নতুন বিজেপি সরকার তা আন্তরিকতার সঙ্গে দ্রুত বাস্তবায়ন করে দু’দেশের ছিটমহলবাসীর মুখে হাসি ফুটাবেন এমনটাই প্রত্যাশা ছিটমহলবাসীর। উল্লেখ্য, ভারতের অভ্যন্তরে বাংলাদেশি ৫১টি ও বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ভারতীয় ১১১টি ছিটমহল রয়েছে। ৫১টি ছিটমহলে জমির পরিমাণ ৭ হাজার ২১ একর, লোকসংখ্যা ৩৮ হাজারও বেশি। অন্যদিকে ১১১টি ছিটমহলে ১৭ হাজার ১ শত ৪৯ একর জমি, লোকসংখ্যা ৬৫ হাজারের বেশি রয়েছে।