সারাদেশে এক লাখ ওয়াইফাই পয়েন্ট: তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী

১০০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক স্থাপন করার কথাও জানান তিনি।
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে (বিসিসি) সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশনের (সিআরআই) পলিসি ক্যাফের উদ্যোগে মঙ্গলবার ‘তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি, শিক্ষা এবং কর্মসংস্থান’ শীর্ষক এই সভার আয়োজন করা হয়।

আগামী মার্চ মাস থেকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ‘ওয়ান স্টুডেন্ট ওয়ান ল্যাপটপ’ কর্মসূচি শুরু হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “কয়েকটি ব্যাংক তাদের সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল থেকে এ সহযোগিতার কথা বলেছে। ৫০০ বা এক হাজার টাকা মাসিক
কিস্তি দিয়ে শিক্ষার্থীরা এ সুবিধা পাবে।”
শিক্ষার্থীদের কম খরচে মোবাইল ডেটা সার্ভিস দিতে বেসরকারি ও রাষ্ট্রায়ত্ত অপারেটর টেলিটকের সঙ্গে আলোচনা চলছেও বলে জানান পলক।
মন্ত্রী বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে এবং দেশের তথ্য প্রযুক্তির উন্নয়নের জন্য আগামী এক বছরের মধ্যে জেলা পর্যায়ে, দুই বছরের মধ্যে উপজেলা পর্যায়ে অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ এবং সুলভ মূল্যে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করা হবে।”
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে যেমন ইন্টারনেট এবং প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হবে তেমনি প্রযুক্তি ও ইন্টারনেট ব্যবহারকে ক্রমেই শিক্ষামুখী ও শিক্ষাবান্ধব করে তুলতে হবে।”
‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নীতিমালা’ এবং শিক্ষা নীতিমালা নিয়ে মন্ত্রীদের সাথে আলোচনা-সমালোচনায় অংশ নিয়ে সরাসরি মতামত দেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ১৫০ জন শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুসরাত আনোয়ার পাঠদানে আধুনিকতা না থাকায় নিজের হতাশা প্রকাশ করে বলেন, বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় মোটেই এনজয় করি না, আমাদের যা ধরিয়ে দেয়া হয়েছে তাই পড়ছি। নিজেদের সৃজনশীলতা দেখানোর কিছু নেই। সনাতনি ধারায় লেখাপড়া করে যাচ্ছি।”
ইন্টারনেট সেবাকে আরোও সহজলভ্য ও দাম কমিয়ে আনার দাবি জানিয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, সাবমেরিন কেবলের অব্যবহৃত ব্যান্ডউইথ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিনামূল্যে দেয়া যায় কি-না তাও বিবেচনা করা উচিত।
জবাবে ইন্টারনেটের দাম কমিয়ে আনার বিষয়ে খুব শিগগিরই সুসংবাদ আসছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ড. মামুনুর রশীদ।
বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক চর্চাকে আরো বেশি শক্তিশালী করার জন্য ‘সিআরআই’ এর একটি উদ্যোগের নাম ‘পলিসি ক্যাফে’।

SHARE THIS

0 মন্তব্য(গুলি):