প্রযুক্তির খবর লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
প্রযুক্তির খবর লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
শীগ্রই দেশের ২ লাখ সমবায় সমিতির ডিজিটাল ডাটাবেজ

শীগ্রই দেশের ২ লাখ সমবায় সমিতির ডিজিটাল ডাটাবেজ

 
শীগ্রই দেশের ২ লাখ সমবায় সমিতির ডিজিটাল ডাটাবেজ
বর্তমানে দেশের প্রায় ৪০ ভাগ সমবায় সমিতি অকাযর্কর হয়ে পড়ায় মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ করতে সমস্যা হচ্ছে। এজন্য দেশের প্রায় দুই লাখ সমবায় সমিতির পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ডাটাবেজ তৈরি করা হবে। এ কাযর্ক্রম স্থানীয় একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সফটওয়্যার উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে। এজন্য থাকবে আধুনিক কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের সুযোগ সুবিধা। পরিকল্পনা কমিশন থেকে জানা গেছে, সমবায় অধিদফতরের আইসিটি ও ই-সিটিজেন সার্ভিস উন্নয়ন-শীর্ষক চলমান প্রকল্পের আওতায় এসব কাজ সম্পূর্ণ করা হবে। প্রকল্পের কাজ ২০১১ সালের মে মাস থেকে ২০১৪ সালের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা ছিল। পরে দুই লাখ সমবায় সমিতিকে পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ডাটাবেজের আওতায় আনার লক্ষ্যে প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৫ সালের জুন পযর্ন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্ধিত সময়ে প্রকল্পের আওতায় সফটওয়্যারের জন্য সমবায় সমিতির দুই ধরনের তথ্য (প্রাথমিক ও বাৎসরিক) সংগ্রহ করা হবে। এজন্য সমবায় অধিদফতরের কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে ও প্রকল্পের ডাটা এন্ট্রি অপারেটররা ডাটা এন্ট্রির দায়িত্ব পালন করবেন। এজন্য ডাটা এন্ট্রির সঙ্গে সম্পৃক্ত মোট ১৮০ জনের জন্য অাপগ্রেডেশন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। প্রকল্প প্রসঙ্গে প্রকল্প পরিচালক ও সমবায় অধিদফতরের কর্তকর্তা ড. মুহম্মদ মেহেদী হাসান জানান, দেশের প্রায় দুই লাখ সমবায় সমিতির পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ডাটাবেজ তৈরি করা হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় ২০১৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত প্রাথমিক তথ্য এন্ট্রির কাজ হয়েছে ৮০ ভাগ। তবে বাৎসরিকভাবে এখনও অনেক কাজ বাকি। এজন্য প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া, সফটওয়্যারটি ব্যবহারের পর মাঠ পর্যায়ের চাহিদা অনুযায়ী পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রয়োজনীয় সংস্কার ও উন্নয়ন করা হবে বলেও তিনি জানান। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সমবায় অধিদফতর। প্রথমে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা। পরে অনুমোদিত মূল ডিপিপির হ্রাস বৃদ্ধির ফলে প্রকল্পের মোট ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটি ২৩ লাখ টাকায়। তবে প্রকল্পের আওতায় ইন্টারনেট খাতে মূল বরাদ্দকৃত ৯৬ লাখ টাকা থেকে কমিয়ে ৩৬ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইন্টারনেট খাতে বরাদ্দ কম রাখা প্রসঙ্গে প্রকল্প পরিচালক জানান, উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) প্রণয়নের সময় মোট ৭০টি ডাটা এন্ট্রি পয়েন্টের জন্য ইন্টারনেট সংযোগ চার্জ বাবদ অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। পরে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক তাদের উদ্ধৃত দরের মধ্যে ডাটা ও ইন্টারনেট সেবা দিতে সম্মত হওয়ায় এ খাতে অর্থ সাশ্রয় হয়েছে। এছাড়া, ১৮০ জনের অাপগ্রেডেশন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে ২৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এটি সরকারের অন্যতম প্রধান উদ্যোগ। এছাড়া প্রকল্পের প্রধান কাজের মধ্যে রয়েছে সমবায় সেক্টরে ই-সার্ভিস প্রদান ও ডিজিটাল অফিস ব্যবস্থাপনা করা। সেই লক্ষ্যে দুই হাজার ৯২৫টি কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হবে। এছাড়া দেশের সব সমবায় সমিতির যাবতীয় তথ্য ডাটাবেজ আকারে সংরক্ষণ ও নিয়মিত মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করা হবে। এর পাশাপাশি জেলা পর্যায়ে অতিরিক্ত ৬৯ জন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ করা হবে। প্রকল্পের আওতায় সমবায় অধিদফতরে একটি ডায়নামিক ওয়েবপোর্টাল চালু করা হবে বলেও জানান তিনি। তিনি আরো জানান, এজন্য এক হাজার ১০ জন সমবায় কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সমবায়ীদের তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
ঘরে বসেই ই-সেবা, তথ্য কেন্দ্রে ভিড় ॥ দারুণ খুশি কৃষক

ঘরে বসেই ই-সেবা, তথ্য কেন্দ্রে ভিড় ॥ দারুণ খুশি কৃষক

পঞ্চগড়ে ডিজিটাল কার্যক্রমে ব্যাপক গাড়া
এ রহমান মুকুল
দুই হাজার একুশ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে চলমান ডিজিটাল কর্মসূচী পঞ্চগড় জেলায় পুরোদমে চলছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় দ্রুত সরকারী সেবা পৌঁছে দেয়া এবং তথ্যপ্রযুক্তির অবাধ ব্যবহার নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে জেলার ৪৩ ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্র। এসব কেন্দ্রের মাধ্যমে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইন, বিভিন্ন কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ, প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, পাসপোর্ট, বিদেশ গমন ও মানবাধিকার বিষয়ক তথ্য, সরকারী ই-সেবা এবং জেলা প্রশাসক অফিস থেকে ন্যাশনাল ই সার্ভিস সিস্টেম (নেস) পেপারলেস সেবা দেয়া হচ্ছে। ডিজিটাল কার্যক্রম শুরু হওয়ায় স্বল্প সময়ের মধ্যে অতি সহজে গ্রামের সাধারণ মানুষ বাড়িতে বসে সরকারী নানা সেবা পাচ্ছেন। এসব সেবা পেতে কোন হয়রানির শিকার বা দালালদের শরণাপন্ন এবং অতিরিক্ত কোন টাকাও খরচ করতে হচ্ছে না। ফলে সরকারী নানা সেবা পেতে গ্রামের মানুষ প্রতিদিন ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্রে ভিড় করছে। এ ছাড়াও জেলা প্রশাসক অফিসের প্রত্যেকটি বিভাগ ন্যাশনাল ই সার্ভিসের আওতায় আসায় কর্মকর্তাদের টেবিলে আগের মতো আর ফাইলের স্তূপ জমে থাকছে না। যে কোন বিষয়ের ফাইলে তাৎক্ষণিক মতামত দিয়ে বা স্বাক্ষর করে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। এতদিন যে কাজটি করতে ৩ থেকে ৭ দিন কিংবা কোন কোন ক্ষেত্রে ১৫ দিন লাগত সেই কাজটি এখন এক দিনেই শেষ করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসক বা কোন কর্মকর্তা অফিসের বাইরে থাকলেও তিনি অনলাইনে জনগুরুত্বপূর্ণ ফাইল দেখে নিচ্ছেন এবং মতামত দিয়ে তাৎক্ষণিক অধস্তন কর্মকর্তাদের কাছে প্রেরণ করছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় এবং ইউএনডিপির সহযোগিতায় এ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত ডিজিটাল কার্যক্রম ইতোমধ্যে পঞ্চগড়ের সর্বস্তরের মানুষের মাঝে ব্যাপকভাবে সাড়া ফেলে দেয়ায় অতি দ্রুতই পাল্টে যাচ্ছে পঞ্চগড়ের চিত্র। তাই এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে পঞ্চগড় জেলা তার কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনের শেষ প্রান্তে। বর্তমানে জেলা প্রশাসক অফিসের সকল সেক্টরে ডিজিটাল কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে কম্পিউটার ল্যাব ও ই-সেবা কেন্দ্র এবং জেলা আইসিটি কেন্দ্র ছাড়াও একটি সার্ভার স্টেশনও স্থাপন করা হয়েছে, যা সরাসরি জাতীয় সার্ভার স্টেশনের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে ডিজিটাল কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। জেলা প্রশাসক অফিসের ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে দৈনন্দিন জনগুরুত্ব সম্পন্ন কার্যক্রম প্রদর্শন ছাড়াও ইতিহাস-ঐতিহ্য তুলে ধরা হচ্ছে। এক্ষেত্রে পঞ্চগড় জেলা দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে প্রথমস্থান অধিকার করেছে। এ ছাড়াও প্রতিবছর ৩ দিনব্যাপী ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা আয়োজনের মাধ্যমে ডিজিটাল প্রযুক্তি সম্পর্কে সাধারণ জনগণকে অবহিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কৃষক তার ফসলের ক্ষেত পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষায় কৃষি কর্মকর্তার কাছে ধরনা না দিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্র থেকে অতি সহজে প্রয়োজনীয় তথ্য পাচ্ছেন। জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার একজন কৃষক বাড়িতে বসে মোবাইল মেসেজের মাধ্যমে আখ সরবরাহের পুঁজি পেয়ে যাচ্ছেন। শুধু জমির কম্পিউটারাইজট খতিয়ানের জবেদা নকল আর আখের পুঁজিই নয়, জেলার প্রত্যন্ত এলাকার সব শ্রেণী-পেশার মানুষ এখন হাতের কাছেই তাদের প্রয়োজনীয় তথ্য এবং সরকারী সেবাসমূহ পাচ্ছেন।
প্রত্যন্ত গ্রামের অশিক্ষিত একজন কৃষকও জানে কিভাবে এবং কোথায় গেলে ফরম, জমির পর্চা, খতিয়ানের জাবেদা নকল, জমির নক্সা, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ফরম, অল্প খরচে বিদেশে কথা বলা, কৃষি তথ্যসেবাসহ সরকারী নানা সেবা পাওয়া যায়। এ প্রসঙ্গে বাংলাবান্ধা ইউপি চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলন জানালেন, আগে জমির খতিয়ানের জবেদা নকল পেতে ১৫ থেকে ২০ দিন আবারও কোন কোন ক্ষেত্রে এক মাসেরও বেশি সময় লাগত। অথচ সেই জবেদা নকল উঠাতে ৩ থেকে ৫ দিনের বেশি সময় লাগছে না। তাও আবার বাড়িতে বসেই পাওয়া যাচ্ছে। দেবীগঞ্জ উপজেলার মধ্য শিকারপুর গ্রামের কৃষক হাফিজুর গম ক্ষেত পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষায় প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে শালডাঙ্গা ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্রের উদ্যোক্তার কাছে কীটনাশক ব্যবস্থাপনায় তথ্য পাওয়ায় সঠিক সময়ে ব্যবস্থা নেয়ায় পোকার আক্রমণ থেকে গম ক্ষেতকে রক্ষা করতে পেরেছেন। বাড়ির কাছে চিলাহাটী ইউনিয়ন পরিষদে অবস্থিত তথ্যসেবা কেন্দ্র থেকে বোরো ধানের বীজতলা তৈরি, জমিতে চারা রোপণ, সেচ, পরিচর্যাসহ সার-কীটনাশক প্রয়োগ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্যসেবা পাওয়ায় ভাউলাগঞ্জের অনেক কৃষকই এবার ব্যাপক জমিতে বোরো রোপণ করেন। সঠিক সময়ে বোরো ক্ষেতের পরিচর্যা করায় বাম্পার ফলনেরও আশা করছেন তারা।
সরকারী কোন অর্থ সাহায্য ছাড়াই স্থানীয় সম্পদ এবং উদ্যোগকে কাজে লাগিয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জেলার মাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেট মডেম এবং যেসব প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার নেই সেসব প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার সরবরাহ করে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়াও বেকার শিক্ষিত যুবক-যুবতী ও তরুণ প্রজন্মকে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির আওতায় আনতে তাদের নিয়মিত বিনামূল্যে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট চালানোর ওপর প্রশিক্ষণ প্রদান চলমান রয়েছে। আর এই প্রশিক্ষণের ফলে প্রত্যন্ত গ্রামের একজন মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষার্থীও জানে কিভাবে ইন্টারনেট ব্রাউজিং করতে হয়। আটোয়ারী উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষা গ্রাম বর্ষালুপাড়ার কলেজছাত্রী সবিতা রানী ছুটির দিনগুলোতে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন তথ্যসেবা কেন্দ্রে গিয়ে ইন্টারনেট ব্রাউজিং করে এবং সামাজিক ওয়েব সাইট ফেসবুকে বন্ধুদের সঙ্গে ভাব বিনিময় করে বেশ ভালই অবসর সময় কাটাচ্ছেন। তেলিপাড়া গ্রামের শিক্ষিত বেকার যুবক ডালিম বেশ স্বাবলম্বী। ইন্টারনেট ও কম্পিউটারের ওপর প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে এখন ধুলাঝাড়ি বাজারে একটি কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র খুলেছেন। এলাকার বেকার যুবকদের কম্পিউটার, ইন্টারনেটের ওপর প্রশিক্ষণ ছাড়াও কৃষকদের চাষাবাদসহ বিভিন্ন রোগবালাইয়ের হাত থেকে ফসলকে রক্ষায় পরামর্শ প্রদান করে আসার পাশাপাশি গ্রামে প্রজেক্টরের মাধ্যমে বিনোদনমূলক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান প্রচার করে সচ্ছলভাবে সংসার চালাচ্ছেন।
উইন্ডোজের আপডেট ৮ এপ্রিল

উইন্ডোজের আপডেট ৮ এপ্রিল

উইন্ডোজ ৮.১ অপারেটিং সিস্টেমের আপডেট ৮ এপ্রিল থেকে পাওয়া যাবে। ইন্টারনেট ব্রাউজিং অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করার লক্ষ্য নিয়ে এই নতুন আপডেট উন্মুক্ত করা হচ্ছে বলেই দাবি করেছে বিশ্বের বৃহত্তম সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

৮ এপ্রিল থেকে উইন্ডোজ ৮.১ ও উইন্ডোজ আরটি ৮.১ ব্যবহারকারীরা বিনা মূল্যে এই আপডেট পাবেন। আপডেট সংস্করণটিতে স্টার্ট বাটন ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি বেশ কিছু উন্নত ফিচার আনার কথা জানিয়েছে মাইক্রোসফট। টাচ ইন্টারফেসের সুবিধার্থে উইন্ডোজ ৮ উন্মুক্ত করার সময় স্টার্ট বাটনটি সরিয়ে ফেলেছিল মাইক্রোসফট। তবে উইন্ডোজ ব্যবহারকারীরা স্টার্ট বাটন সরিয়ে ফেলার পর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন।

সম্প্রতি মাইক্রোসফট আয়োজিত বিল্ড নামের ডেভেলপার সম্মেলনে মাইক্রোসফটের কর্মকর্তা ব্র্যান্ডন লেব্ল্যাঙ্ক বলেন, ‘উইন্ডোজে নতুন অভিজ্ঞতার জন্য আমরা নতুন আপডেট আনছি। আপডেট সংস্করণটিতে ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টের ছবির পাশে পাওয়ার ও স্টার্ট বাটন পাবেন। এখন দ্রুত পিসি বন্ধ করা ও সার্চ করার সুবিধাও পাবেন। ডেস্কটপ ব্যবহারকারীরা এখন ডিফল্ট সেটিংস হিসেবে ডেস্কটপ বুট অপশন পাবেন। এ ছাড়াও টাস্কবারে ডেস্কটপ ও উইন্ডোজ স্টোরের অ্যাপস ও প্রিয় ওয়েবসাইটগুলো পিন করে রাখা যাবে। এ ছাড়া ব্রাউজার নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সুবিধা পাবেন ব্যবহারকারী।’

মাইক্রোসফট দাবি করেছে, তাদের উইন্ডোজ ৮.১ আপডেটের মাধ্যমে হার্ডওয়্যার অংশীদাররা কম খরচে পণ্য তৈরির সুবিধা পাবেন।
রেজিস্ট্রেশন নেই এমন এক লাখ সিম কার্ড বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে

রেজিস্ট্রেশন নেই এমন এক লাখ সিম কার্ড বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে


রেজিস্ট্রেশন নেই এমন এক লাখ সিম কার্ড বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। বন্ধ করে দেয়ার আগে সংবাদ মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি ও মেসেজ দেয়া হবে। সিম বন্ধ করে দেয়ার পর পুনঃরেজিস্ট্রেশনের জন্য নির্ধারিত সময় দেয়া হবে। গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মোবাইল সিম কার্ড নিয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিম কার্ড নিয়ে সভায় হতাশা প্রকাশ করা হয়। বলা হয়, যত্রতত্র এখন মোবাইল ফোনের সিম কার্ড পাওয়া যাচ্ছে। সিম কেনার তথ্য খতিয়ে দেখতে গিয়ে নানা অসঙ্গতি চোখে পড়ে। অনেক সময় দেখা যায় এক তথ্যের সঙ্গে আরেক তথ্যের মিল নেই। এ জন্য ওই সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয় রেজিস্ট্রেশনবিহীন সিমগুলো একটি নির্ধারিত সময় দিয়ে বন্ধ করতে হবে। এরপর পুনঃরেজিস্ট্রেশনের সময় দিতে হবে।

স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সিকিউকে মুসতাক আহমেদ, পুলিশের আইজিসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন টেলিফোন অপারেটর কোম্পানির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হারানোর প্রত্যয় মুশফিকের।

বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হারানোর প্রত্যয় মুশফিকের।

সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে মুশফিক বলেন, “এর আগেও বাজে সময়কে পেছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়েছি আমরা। এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের কাছে হারের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে চমৎকার ব্যাট করেছিলাম। জিততে না পারলেও সেই ম্যাচ থেকে আমরা আত্মবিশ্বাসী হতে পারি।”
শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ের শুরুটা ভালো হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে ৭ উইকেটের হারে দ্বিতীয় ম্যাচে অতিথিরাই চাপে থাকবেন বলে মনে করেন মুশফিক।
“ওরা গত ম্যাচে ভালো করেনি, তাই চাপে থাকবে। মঙ্গলবার দ্বিতীয় ম্যাচে ওদের জিততেই হবে। নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে আর কোনো ভুল না করলে সুপার টেন ভালোভাবেই শুরু করা সম্ভব হবে। আমরা তারই অপেক্ষায় আছি।”
শেষ ম্যাচে হেরে গেলেও প্রথম লক্ষ্য ‘সুপার টেন’ নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের। এবার সামনের দিকে তাকাতে চান অধিনায়ক।
“তিন ম্যাচ জিতে এলে আত্মবিশ্বাস বেশি থাকতো। তবে তা না হলেও বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন হবে না। আরো চারটা ম্যাচ আছে, আমরা এগুলো নিয়েই ভাবছি।”
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের দিনে যে কেউ জিততে পারে, আর সীমিত ওভারের ক্রিকেটের চার চ্যাম্পিয়নের গ্রুপে আছেন বলে হারানোর কিছু দেখছেন না মুশফিক।
“আমাদের হারানোর কিছু নাই। আমরা যেন আমাদের দুইশ’ ভাগ দিয়ে চেষ্টা করি। নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে চার ম্যাচের সব কয়েকটাতেই জেতার সম্ভাবনা থাকবে আমাদের।”