খেলার খবর লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
খেলার খবর লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা লঙ্কানদের

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা লঙ্কানদের

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দুই আসরের ফাইনাল খেললেও শিরোপা জয়ের স্বাদ পায়নি শ্রীলঙ্কা। গত আসরের ফাইনালে ৩২ রানে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারতে হয়েছিল তাদের। তবে এবার আর না পাওয়ার বেদনায় কাঁদতে হয়নি সিংহদের। গতকাল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম আসরের চ্যাম্পিয়ন দল ভারতকে সহজেই হারিয়ে প্রথমবারের মতো শর্ট ভার্সনের এ ক্রিকেট আসরের শিরোপা জয় করেছে লাসিথ মালিঙ্গার দল। এশিয়া কাপের মতোই হেসেখেলে শিরোপা জিতে নিয়েছে তারা। ফাইনাল ম্যাচে ভারতের দেয়া ১৩১ রানের ‘মামুলি’ টার্গেটে ধীরেসুস্থে ব্যাট করে মাত্র চার উইকেট হারিয়ে ১৩ বল হাতে রেখে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তারা। সাঙ্গাকারার ৫১ রানের হার না মানা জড়ো ইনিংসের ওপর ভর করেই এ জয় পায় তারা।
এর আগে রোববার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বৃষ্টির কারণে ৪০ মিনিট বিলম্বে শুরু হয় ফাইনাল ম্যাচটি। টস জিতে শ্রীলঙ্কা ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় ভারতকে। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই হোঁচট খায় ভারত। দলীয় চার রানে ফিরে যান উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান রেহানে। তিনি আট বলে করেন তিন রান। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে অবশ্য ঘুরে দাঁড়ায় ভারত। অপর উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মার সঙ্গে বিরাট কোহলি যোগ দিয়ে দলকে নিয়ে যান ৬৪ রানে। এ সময় হেরাতের বলে সাজঘরে ফেরেন রোহিত শর্মা। তিনি করেন ২৬ বলে ২৯ রান। এরপর কোহলির সঙ্গে যোগ দেন যুবরাজ। এই জুটি মেরে খেলে দ্রুত দলের স্কোর বাড়াতে থাকেন। তবে সবচেয়ে বেশি মারমুখী ছিলেন বিরাট কোহলি। ৪০ বলে আসে কোহলির ফিফটি। এরপর আরও কিছুক্ষণ এই ধারা বজায় থাকলেও যুবরাজের আউট হওয়ার পর তা থিতিয়ে আসে। ফলে শেষ পাঁচ ওভারে আসে মাত্র ৩৫ রান, যা দলীয় গড় রানের চেয়েও কম। দলীয় ১১৯ রানে যুবরাজ আউট হলে ক্রিজে নামেন অধিনায়ক ধোনি। তিনি ৭ বলে চার রানে অপরাজিত। আর কোহলি শেষ ওভারের শেষ বলে রান আউট হওয়ার আগে ৫৮ বলে ৭৫ রান করেন। ভারত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে চার উইকেটে ১৩০ রান করতে সক্ষম হয়। শ্রীলঙ্কার পক্ষে কুলাসেকারা, ম্যাথুস ও হেরাত একটি করে উইকেট নেন। ১৩১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ৫ রানে শর্মার বলে সাজঘরে ফিরে যান পেরেরা (৫) এবং অশ্বিনের বলে ৪১ রানে দিলশান (১৮)। এরপর দশম ওভারের শেষ বলে দলীয় ৬৫ রানে ফিরে যান জয়াবর্ধনে (২৪ বলে ২৪) রাইনার বলে ক্যাচ দিয়ে। দলীয় ৭৮ রানে মিশ্রর বলে আউট হন থিরেমানে (৭)। এরপর আর কোনো উইকেট খোয়াতে হয়নি তাদের। পঞ্চম উইকেট জুটিতে সাঙ্গাকারা (৫২) ও টি পেরেরা (২১) অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। এর আগে ভারত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৩০ রান তুলতে সক্ষম হয়। ফলে জয়ের জন্য শ্রীলঙ্কার সামনে ১৩১ রানের মামুলি টার্গেট। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এই টার্গেট সাধারণত খুব কঠিন চ্যালেঞ্জ নয়।
সান্তনার জয়ের মুখোমুখি বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া

সান্তনার জয়ের মুখোমুখি বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়া


বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে এবার বেশ মিল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে কোন দলই এখানো জয় পায়নি। আর এই দুটি দলই খেলতে পারবে না টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে। তবে আজ এই মিলটা একটু কমে যাবে। কারণ আজ এই জয় শূন্য দু-দলের মধ্যে হবে গ্রুপের শেষ ম্যাচ।  আজ অবশ্য একটি দল এই বিশ্বকাপে একটি সান্ত¦নার জয় পেলেও অন্য দলটিকে থাকতে হবে জয় শূন্য। ফলে একটি সান্ত¦না জয়ের জন্যই আজ মাঠে নামবে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া আর বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের টার্গেট ছিল একটি ম্যাচে জয় নিয়ে নিজেদের শক্তির প্রমাণ দেয়া। তবে অস্ট্রেলিয়ার টার্গেট ছিল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা। কিন্তু কোন দলেই আশা পূরণ হয়নি। অস্ট্রেলিয়ার ফাইনালে উঠার আর কোন সুযোগ নেই। কারণ টানা তিনটি ম্যাচে হেরে সেমিফাইনালের আগেই বাদ পড়েছে অস্ট্রেলিয়া। তবে বাংলাদেশের সামনে সুযোগ আছে শেষ ম্যাচে জিতে সান্ত¦নার জয়টা পাওয়া। তবে সেটাও কঠিন হতে পারে টাইগারদের জন্য। কারণ আজ শেষ ম্যাচে জয়ের জন্য মরিয়া থাকবে অস্ট্রেলিয়াও। ফলে মুশফিকদের পরাজয়ের ইতিহাসটা আরো দীর্ঘই হতে পারে আজ। কারণ অস্ট্রেলিয়ার চেয়ে অনেক কম শক্তির দল বাংলাদেশ। পরিসংখ্যানও বাংলাদেশের বিপক্ষে। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বাংলাদেশ দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে দুটিতেই হেরেছে। আর টানা তিন ম্যাচ হেরে বাংলাদেশ মানসিক ভাবে অনেকটাই পিছিয়ে আছে। যদিও অস্ট্রেলিয়াও হেরেছে তিনটি ম্যাচে, তবে মাঠে আজ দেখা দিতে পারে অন্য অস্ট্রেলিয়াকে। টানা তিন ম্যাচ হারা অস্ট্রেলিয়া পরাজয়ের শোধটা নিতে পারে বাংলাদেশের উপর দিয়েই। অস্ট্রেলিয়া টানা তিন ম্যাচ হারলেও ভারতের বিপক্ষে ৮৬ রানে অলআউট ব্যাপারটা বাদ দিলে পাকিস্তান আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে লড়াই করেই হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। অবশ্য ব্যাটিংও সেটাই প্রমাণ করে। তাই অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যানদের কি করে সামলাবে মুশফিকরা।  ২০০৮ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া মুশফিকদের হারিয়েছে ৯ উইকেটে আর ২০১০ বিশ্বকাপে হারিয়েছিল ২৭ রানে। আজ তৃতীয় বারের দেখায় কি অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের জন্য তাই দেখার অপেক্ষা। প্রথম ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজে বিপক্ষে ১৭১ রানের জবাবে ৯৮ রানে অলআউট হয়ে ৭৩ রানে হারে বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে ব্যাট করতে নেমে ২১ রানে তিন টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান হারিয়ে কুল হারায় টাইগাররা।  শেষ পর্যন্ত ১৩৮ রান করে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে হারে ৮ উইকেটে। আর পাকিস্তানের কাছে ৫০ রানে হারে বাংলাদেশ। মিরপুর স্টেডিয়ামে সাড়ে তিনটায় ম্যাচটি শুরু হবে।
বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হারানোর প্রত্যয় মুশফিকের।

বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হারানোর প্রত্যয় মুশফিকের।

সোমবার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে মুশফিক বলেন, “এর আগেও বাজে সময়কে পেছনে ফেলে ঘুরে দাঁড়িয়েছি আমরা। এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের কাছে হারের পর পাকিস্তানের বিপক্ষে চমৎকার ব্যাট করেছিলাম। জিততে না পারলেও সেই ম্যাচ থেকে আমরা আত্মবিশ্বাসী হতে পারি।”
শিরোপা ধরে রাখার লড়াইয়ের শুরুটা ভালো হয়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজের। প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে ৭ উইকেটের হারে দ্বিতীয় ম্যাচে অতিথিরাই চাপে থাকবেন বলে মনে করেন মুশফিক।
“ওরা গত ম্যাচে ভালো করেনি, তাই চাপে থাকবে। মঙ্গলবার দ্বিতীয় ম্যাচে ওদের জিততেই হবে। নিজেদের সেরাটা দিতে পারলে আর কোনো ভুল না করলে সুপার টেন ভালোভাবেই শুরু করা সম্ভব হবে। আমরা তারই অপেক্ষায় আছি।”
শেষ ম্যাচে হেরে গেলেও প্রথম লক্ষ্য ‘সুপার টেন’ নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের। এবার সামনের দিকে তাকাতে চান অধিনায়ক।
“তিন ম্যাচ জিতে এলে আত্মবিশ্বাস বেশি থাকতো। তবে তা না হলেও বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন হবে না। আরো চারটা ম্যাচ আছে, আমরা এগুলো নিয়েই ভাবছি।”
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের দিনে যে কেউ জিততে পারে, আর সীমিত ওভারের ক্রিকেটের চার চ্যাম্পিয়নের গ্রুপে আছেন বলে হারানোর কিছু দেখছেন না মুশফিক।
“আমাদের হারানোর কিছু নাই। আমরা যেন আমাদের দুইশ’ ভাগ দিয়ে চেষ্টা করি। নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে চার ম্যাচের সব কয়েকটাতেই জেতার সম্ভাবনা থাকবে আমাদের।”
 আবারো জনগণের উপর চাপানো হলো সরকারের ব্যর্থতার বোঝা=বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি

আবারো জনগণের উপর চাপানো হলো সরকারের ব্যর্থতার বোঝা=বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি

 
দীর্ঘ বিরতির পর দেশ আবারো তেঁতে উঠতে শুরু করেছে । দেশের সর্বস্তরের মানুষ সরকারের সাম্প্রতিক বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাতে পারে নি বরং এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনরোষ সৃষ্টি হয়েছে । দেশের সর্বস্তরের মানুষ দল-মতের উর্ধ্বে অবস্থান করে সরকারে এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে । বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর আগেই তার প্রজা সাধারণকে চিল্লা-পাল্লা করতে নিষেধ করেছিলেন । জনগণ খুব স্পর্ধার কাজ করেছে । দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কথার অবাধ্য হয়েছে ।
টি-২০ এর প্রথম ম্যাচে আফগানিস্থানকে হারিয়ে বাংলাদেশের সহজ জয় লাভ!

টি-২০ এর প্রথম ম্যাচে আফগানিস্থানকে হারিয়ে বাংলাদেশের সহজ জয় লাভ!


প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল নিজের দেশে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ‘মূল পর্বে’ খেলা। উদ্বোধনী ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৯ উইকেটে হারিয়ে সে লক্ষ্য বলতে গেলে পূরণই করে ফেলল স্বাগতিকরা। সঙ্গে নেয়া হল এশিয়া কাপে হারের মধুর প্রতিশোধও।
রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি আফগানিস্তান। ১৭ ওভার ১ বলে ৭২ রানে অলআউট হয়ে যায় এশিয়া কাপে বাংলাদেশকে হারানো দলটি। জবাবে ১২ ওভারে তামিম ইকবালের উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।