রাজনীতি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
রাজনীতি লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
হরতাল-অবরোধের নতুন অস্ত্র

হরতাল-অবরোধের নতুন অস্ত্র


হরতাল-অবরোধের নতুন অস্ত্র

২০ দলীয় জোটের ডাকা অবরোধ পালনে নতুন নতুন পন্থা অবলম্বন করছে দুর্বৃত্তরা। বাসে আগুন পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ কোনটাই যেন থামছে না।
এবার বের করেছে মোটা রড দিয়ে তৈরি করা ত্রিফলা। অবরোধে রাস্তা বন্ধ করতে এই অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। এই অস্ত্রের প্রতিটি ফলার উচ্চতা গড়ে ৪ ইঞ্চি। বালুর ছোট ব্যাগের ভেতর ঢুকিয়ে ঢাকা-দিনাজপুর মহাসড়কের উপর ফেলে রাখা হয়েছিল। সোমবার রাতে দিনাজপুরের বিরামপুরের ধানহাটির মোড়ে রাস্তার উপর পড়ে থাকা বালুর ব্যাগ থেকে পুলিশ এই অস্ত্র দুটি উদ্ধার করে।
টানা অবরোধের ১৬ তম দিন আজ। এই পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ২৮ জন। যার মধ্যে পেট্রোল বোমা ও আগুনে নিহত হয়েছেন ১৩ জন, সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ১০ জন। এছাড়া আরও আছেন ৫ জন। ৬১৮ টি যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে। আর ৪ দফায় নশকতা করা হয়েছে রেলে। বাদ যায়নি লঞ্চে আগুন দেওয়া। গতকাল বরিশাল থেকে ঢাকা আসার পথে দুটি লঞ্চের ৩ তলায় কেবিনে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা।
আমার ছেলেকে আমাকেই চিকিৎসা করতে দিন

আমার ছেলেকে আমাকেই চিকিৎসা করতে দিন

নারায়ণগঞ্জ:কোলে থাকা আড়াই বছরের শিশু শাফিনের গায়ে পেট্রল ঢেলে দেওয়ার কারণে আগুন ধরে যায়। জলন্ত অবস্থায় ছেলেকে নিয়ে বাসের জানালা দিয়ে নিচে লাফ দিই। ততক্ষণে আমার ছেলের শরীরের অনেকাংশ পুড়ে গেছে। আগুন দিবে ভালো কথা কিন্তু আমাদের জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যার এ কেমন চেষ্টা। আমার চিকিৎসা লাগবে না, আমার ছেলেকে আমাকেই চিকিৎসা করতে দিন।’

রোববার রাতে নারায়ণগঞ্জ শহরের ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নেওয়ার সময়ে এভাবেই চিৎকার করে কথাগুলো বলতে থাকেন ডা. শারমিন সিদ্দিকী।
আবার ছাত্রলীগ, আবার অস্থির শিক্ষাঙ্গন

আবার ছাত্রলীগ, আবার অস্থির শিক্ষাঙ্গন

 
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকেই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে উঠছে নানা সন্ত্রাসের অভিযোগ। নিজেদের মধ্যে কোন্দল, সংঘর্ষ, বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলোর ওপর আক্রমণ, টেন্ডারবাজির ঘটনায় বারবার নাম এসেছে ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে। এসব ঘটনায় প্রাণহানিও হয়েছে একাধিক। আর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধও থেকেছে দিনের পর দিন। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর চার মাসের মধ্যে আবারও ছাত্রলীগের কারণে অস্থির হয়ে উঠেছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এরই মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে। একটি মেডিকেল কলেজেও তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। রাজশাহী ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে খুন হয়েছেন দুই ছাত্রলীগ নেতা, যার একজন নিজ সংগঠনের কর্মীদের হাতেই খুন হয়েছেন। অন্যজন খুনের পেছনে অবশ্য ছাত্রলীগ দায়ী করছে শিবিরকে। গত পাঁচ বছরে প্রায় চার শতাধিক সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। যার বেশিরভাগই হয়েছে নিজেদের মধ্যে। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার দোকানপাটে চাঁদাবাজি, ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার মতো কাজগুলোর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগও আছে তাদের বিরুদ্ধে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বারবার দায়ী কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও পরিস্থিতি পুরোপুরি সামাল দিতে পারছেন না তারা। এসব কর্মকা- বিব্রত করেছে আওয়ামী লীগকেও। দলের নেতারা প্রকাশ্যেই নানা সময় ছাত্রলীগকে আরও সহনশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর এক সদস্য বলেন, ‘ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে মাঝেমধ্যে ভাষা হারিয়ে ফেলতে হয়। এ অবস্থা দু-একদিনে হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনটির বিভিন্ন কমিটির ভেতরে দ্বন্দ্বের কুফল পড়তে শুরু করেছে। এগুলো নিয়ে যদি আগে থেকেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সজাগ থাকত তবে আর এ ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হত না। কিন্তু এভাবে একটি ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন নষ্ট হয়ে যাবে তা মেনে নেওয়া যায় না।’ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ফখরুদ্দিন আমিন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের চেয়েও বড় প্রশাসন ছাত্রলীগ। এখানে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা যা বলবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের তাই শুনতে হবে, এমনটাই নিয়ম হয়ে গেছে। কেউ এর বিপরীতে গিয়ে টিকে থাকার চিন্তা করলে অনেক ধকল পোহাতে হয় তাকে।’ জানতে চাইলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সবাই অনিয়ম, শৃঙ্খলা ভঙ্গের সঙ্গে জড়িত তা ঠিক নয়। কিছু কিছু জায়গায় কমিটি অগোছালো আছে। মূলত সেসব জায়গায় সমস্যা হচ্ছে। তবে কেন্দ্র থেকে সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের কখনোই ছাড় দেওয়া হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না।’ সংগঠনে শৃঙ্খলা নেই গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দুই বছর কার্যকালের মধ্যে সম্মেলন দিতে হয়। তা না হলে নির্বাহী সংসদের কার্যকারিতা লোপ পায়। হিসাব অনুযায়ী, গত বছরের ১১ জুলাই শেষ হয়েছে ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির মেয়াদকাল। কিন্তু এরপর আট মাস পার হলেও এখনো কোনো সম্মেলন হয়নি। পুরনো কমিটি দিয়েই চলছে দেশের বড় এই ছাত্র সংগঠনটি। যে কারণে কোথাও কোথাও সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষা করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। সংগঠনের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও সম্মেলন না দেওয়ায় সংগঠনটির বিভিন্ন স্তরে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তাছাড়া বয়সের কারণে যারা ছাত্রলীগ থেকে বাদ পড়বেন, তারা চাচ্ছেন সম্মেলন আরও দেরিতে হোক। অন্যদিকে অপেক্ষাকৃত কম বয়সীরা চাচ্ছেন দ্রুতই সম্মেলন হোক। বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট সাংগঠনিক জেলার সংখ্যা ৯৭টি। কিছু কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বেশিরভাগ কমিটিই মেয়াদ উত্তীর্ণ। অনেক থানা কমিটিতে ১০ বছর ধরে কাউন্সিল হয় না। মেয়াদপূর্তির পরও আগের কমিটির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়নি। যারা কমিটিতে আছেন তাদের অনেকেরই এখন আর ছাত্রত্ব নেই। ২০১১ সালের ১০ ও ১১ জুলাই অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ভোটের মাধ্যমে সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম নির্বাচিত হন। জানতে চাইলে বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন চাইবেন, তখনই সম্মেলন হবে। এনিয়ে সংগঠনের মধ্যে কোনো অসন্তোষ নেই।’ মেয়াদ শেষ হওয়া কমিটিগুলো সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘মেয়াদ শেষ হওয়া কমিটিগুলোর তালিকা হচ্ছে। সেখানে প্রকৃত ছাত্রদের প্রতিনিধি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।’ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা যা বলছেন ছাত্রলীগের কারণে বারবার সমালোচনার মুখে পড়ছে সরকার। এরপরও সংগঠনটিকে কেন নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না?- জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফেরদৌস হোসেন বলেন, ‘ছাত্রলীগের কারণে সরকার বার বার বিব্রত হয়েছে। তারপরও ছাত্রলীগকে নিয়ন্ত্রণে আনার কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। আসলে সরকারই চাচ্ছে না ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রণে থাকুক। এর কারণ সরকারই ছাত্রলীগকে ব্যবহার করছে। যে কারণে ছাত্রলীগ বার বার বেপরোয়া হয়ে উঠছে।’ একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ হোসেন মনে করেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আইন ভঙ্গকারী যেই হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া গেলে এ ধরনের ঘটনা কমে আসত। তিনি বলেন, ‘শিক্ষাঙ্গনে যে অবস্থা চলছে, এর জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী না করে তাদেরকে আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গকারী হিসেবে দেখতে হবে। অনেক জায়গায় নানা উপদলের কারণে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। আর দলের মধ্যে কোন্দল থাকলে ছাত্র সংগঠনের মধ্যেও কোন্দল থাকবে।’ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সায়াদ হত্যা ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সংগঠন এবং প্রভাব বরাবরই বেশ শক্তিশালী। সেখানে খুন হয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা সায়াদ ইবনে মোমতাজ। এই খুনের ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে তারই সহকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মামলার পর দুই আসামিকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘আসামি দুইজনই ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত। তারা আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সায়াদকে নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে এবং অন্য সহযোগীদের নামও বলেছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে।’ ছাত্রলীগ নেতা সায়াদ ভীষণ জনপ্রিয় ছিলেন ক্যাম্পাসে। এই হত্যার পর খুনিদের বিচার দাবিতে উত্তাল বিশ্ববিদ্যালয়। ক্লাস-পরীক্ষা সবই বন্ধ আছে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। এই হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে সংগঠনের দুই নেতাকে বহিষ্কারও করেছে ছাত্রলীগ। তবু ছাত্রদের আন্দোলনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ছড়িয়েছে নতুন উত্তেজনা। ২ এপ্রিল সায়াদ নিজ দলের নেতাকর্মীদের হাতে নির্যাতিত হন। তিনদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যান তিনি। মৃত্যুর আগে সায়াদ তার বড় ভাই মোয়াজ ইবনে মোমতাজকে মুঠোফোনে জানিয়েছেন, ছাত্রলীগের ছেলেরাই তাকে মেরেছে। ক্রিকেটের স্টাম্প দিয়ে তাকে বেধড়ক পেটানো হয়েছে। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শারীরিক অবস্থা যে খুব ভালো নয় তাও জানান তিনি। এ ঘটনায় মামলার পর দুইজনকে তাৎক্ষণিকভাবে দল থেকে বহিষ্কারও করেছে ছাত্রলীগ। কিন্তু এর আগেও এ ধরনের অনেক বহিষ্কারের নজির রয়েছে কিন্তু পরবর্তী সময়ে আবারও এই অন্যায়কারীদের দলে ফিরিয়ে আনার ঘটনাও ঘটেছে। ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরখানেক আগে ছাত্রলীগের দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় রাব্বি নামে ১২ বছরের এক শিশু। একটি মামলাও করেছিলেন শিশুটির বাবা। কিন্তু পুলিশ এই ঘটনায় কোনো কূল-কিনারা করতে পারেনি। আসামিদের কেন কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যায়নি- জানতে চাইলে ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম সরওয়ার বলেন, ‘উপযুক্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ দিতে না পারায় বাদী ও আসামিপক্ষের আপসের ভিত্তিতে মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।’ রাবিতে ছাত্রলীগ নেতা খুন, বন্ধ শিক্ষা কার্যক্রম উত্তেজনা চলছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও। গত শুক্রবার নিজ কক্ষে খুন হন ছাত্রলীগ নেতা রুস্তম আলী আকন্দ। ছাত্রলীগের অভিযোগ, এই খুনের সঙ্গে জড়িত জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীরা। খুনের ঘটনায় দায়ীদের বিচার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকেছে ছাত্র সংগঠনটি। শিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রধান ইমনকে প্রধান আসামি করে ৫ এপ্রিল মামলাও করেছে ছাত্রলীগ। এরপর দুই শিবির কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু ইমনকে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে ছাত্রলীগের ঘোষণায় বিপাকে শিক্ষার্থীরা। কোর্স ফি কমানো আর সান্ধ্যকালীন কোর্স বাতিলের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় এক মাসেরও বেশি সময় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ শেষে এই ঘটনায় আবার ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ হয়ে গেছে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। বারবার এভাবে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থীরা। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বারবার অস্থিরতা হয়েছে গত পাঁচ বছরে, যার বেশিরভাগ ঘটনারই অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। ২০১২ সালের ১৬ জুলাইয়ের কথা। পদ্মাসেতু নির্মাণের জন্য টাকা তোলার পর এর ভাগাভাগি নিয়ে ছাত্রলীগের দুইপক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে ওই সংঘর্ষে ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল হাসান সোহেল গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। নিহত সোহেল সমাজবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেন। তিনি ছাত্রলীগের হল প্রস্তুত কমিটির শেরে-ই-বাংলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। এর আগে ২০১০ সালের ১৫ আগস্ট খাবারের টোকেন ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে নিহত হন ছাত্রলীগের কর্মী নাসরুল্লাহ নাসিম। জানা যায়, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে হলগুলোতে বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়। এতে শুধুমাত্র আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য টোকেন বরাদ্দ থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সভাপতি পক্ষের কর্মী মাসুদ রানার জন্য টোকেন নিতে যায় একই পক্ষের জাহিদ ও জহুরুল। এ সময় হলের নিয়ম ভঙ্গ করে টোকেন নিতে বাদ সাধে ওই হলের সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মী নাসরুল্লাহ নাসিম। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের কর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সভাপতি গ্রুপের কর্মী সাইদ, জাহিদ, জহুরুল, মশিউর, তৌফিক, রুহুলসহ ১০-১২ জন ছাত্রলীগ কর্মী নাসিমকে শাহ মখদুম হলের তিন তলার ছাদে নিয়ে লোহার রড, হকিস্টিক ও লাঠি পেটা করে নিচে ফেলে দেয়। পরে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ওই দিনই তাকে ঢাকার অর্থপেডিকস ইনস্টিটিউটে (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানো হলে এখানে সাতদিন পর ২৩ আগস্ট তিনি মারা যান। এছাড়া ছাত্রলীগ কর্মীরা বেশ কয়েকদিন আগে সান্ধ্যকালীন কোর্স ও বাড়ানো ফি প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপরও হামলা করে। এর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশের সহযোগিতা ছিল বলে বেসরকারি একটি তদন্তে ও পত্রপত্রিকার খবরে উঠে এসেছে। এছাড়া ওই হামলার একাধিক ছবিও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। উত্তেজনা বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজেও পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান আয়োজন নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে ৬ এপ্রিল বিকেলে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষ। এই ঘটনায় একটি ছাত্রাবাসে আক্রমণ করে ভাঙচুর করেছে ছাত্রলীগের একাংশের কর্মীরা। এই ঘটনার পর উদ্বেগ ছড়িয়েছে কলেজটিতে। কারণ দুই পক্ষই হুমকি দিচ্ছে একে অন্যকে দেখে নেওয়ার। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ক্যাম্পাসে বাড়তি নিরাপত্তার আয়োজন করতে হয়েছে কর্তৃপক্ষকে। ঢাবির আবু বকর হত্যার বিচার হলো না আজও ২০১০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি স্যার এ এফ রহমান হলের সিট দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় নিজ কক্ষে ছিলেন আবু বকর সিদ্দিক। কিন্তু ধাতব কোনো একটি বস্তুর আঘাতে মৃত্যু হয় তার। এই মৃত্যুর জন্য কে দায়ী, সে বিতর্কের শেষ হয়নি আজও। তবে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ না হলে যে এই প্রাণ হারিয়ে যেত না, সেটা বলা যায় সহজ করেই। ২০১০ সালের ২৬ নভেম্বর আবু বকর সিদ্দিক হত্যা মামলায় ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মীকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এর আগে শাহবাগ থানার দেওয়া অভিযোগপত্রে আটজনকে আসামি করা হয়েছিল। কিন্তু এখন তারা সবাই জামিনে মুক্ত এবং প্রকাশ্যে ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আবু বকর হত্যার এক মাস পর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদের নেতৃত্বে গঠিত একটি তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দিলেও সেখানে হত্যা সম্পর্কে সুস্পষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি। দীর্ঘ ১৪ মাস মামলার কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর ২০১১ সালের ২৯ এপ্রিল মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলার অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। জাবির জুবায়ের হত্যার বিচারও হয়নি ২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি বিকালে শেষ বর্ষের পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পর নিজ সংগঠনের প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীরা হামলা করে জুবায়ের আহমেদের ওপর। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান গবেষণাগারের পেছনে কুপিয়ে জখম করা হয় তাকে। পরদিন ৯ জানুয়ারি ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ছেলে জুবায়ের। ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাদী হয়ে সাভারের আশুলিয়া থানায় ১৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা করে। পরবর্তী সময়ে আন্দোলনকারীদের দাবির মুখে এবং মামলার কার্যক্রম দ্রুত নিষ্পত্তি করতে সরকারের নির্দেশে ৬ মাস আগে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। মামলাটির বিচার এখনো চলছে। বিচার হয়েছে কেবল বিশ্বজিৎ হত্যার ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ১৮ দলীয় জোটের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে পথচারী বিশ্বজিৎ দাসকে বিএনপি কর্মী সন্দেহে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। আলোচিত ওই হত্যা মামলায় ছাত্রলীগের আট নেতা-কর্মীকে ফাঁসি এবং ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছে ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ বিশ্বজিতের বাবাসহ ৩২ জনকে সাক্ষী হিসেবে উপস্থাপন করে। উভয় পক্ষের সাক্ষ্য নেওয়া শেষে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১৩ সালের ২৭ নভেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করে। সেই ছাত্রলীগ, এই ছাত্রলীগ এক সময় ছাত্রদের অধিকার আদায়ের জন্য ছাত্র সংগঠনগুলো লড়াই চালিয়েছে। ঐতিহ্যবাহী ছাত্রসংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগ ছিল অন্যতম। কিন্তু ছাত্রলীগ চলছে পুরোটাই উল্টোরথে। এখন জেলা কমিটিতে নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য মোটা অঙ্কের চাঁদা দিতে হয়। টেন্ডারবাজি এবং চাঁদাবজিই এখন ছাত্রলীগের অনেক নেতা-কর্মীর প্রধান কাজ। তবে আওয়ামী লীগের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা মনে করেন, বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে চাকরির বাজার সীমিত। এখানে চাকরি পেতে হলে যোগ্যতার চেয়ে রাজনৈতিক পরিচয়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়। যেসব ছাত্র মেধাবী তারাও চাকরি পায় না। সেক্ষেত্রে অনেকে রাজনীতিকে বেছে নেয়।
 আবারো জনগণের উপর চাপানো হলো সরকারের ব্যর্থতার বোঝা=বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি

আবারো জনগণের উপর চাপানো হলো সরকারের ব্যর্থতার বোঝা=বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি

 
দীর্ঘ বিরতির পর দেশ আবারো তেঁতে উঠতে শুরু করেছে । দেশের সর্বস্তরের মানুষ সরকারের সাম্প্রতিক বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাতে পারে নি বরং এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ব্যাপক জনরোষ সৃষ্টি হয়েছে । দেশের সর্বস্তরের মানুষ দল-মতের উর্ধ্বে অবস্থান করে সরকারে এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে । বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর আগেই তার প্রজা সাধারণকে চিল্লা-পাল্লা করতে নিষেধ করেছিলেন । জনগণ খুব স্পর্ধার কাজ করেছে । দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কথার অবাধ্য হয়েছে ।
টি-২০ এর প্রথম ম্যাচে আফগানিস্থানকে হারিয়ে বাংলাদেশের সহজ জয় লাভ!

টি-২০ এর প্রথম ম্যাচে আফগানিস্থানকে হারিয়ে বাংলাদেশের সহজ জয় লাভ!


প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল নিজের দেশে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ‘মূল পর্বে’ খেলা। উদ্বোধনী ম্যাচে আফগানিস্তানকে ৯ উইকেটে হারিয়ে সে লক্ষ্য বলতে গেলে পূরণই করে ফেলল স্বাগতিকরা। সঙ্গে নেয়া হল এশিয়া কাপে হারের মধুর প্রতিশোধও।
রোববার মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি আফগানিস্তান। ১৭ ওভার ১ বলে ৭২ রানে অলআউট হয়ে যায় এশিয়া কাপে বাংলাদেশকে হারানো দলটি। জবাবে ১২ ওভারে তামিম ইকবালের উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় বাংলাদেশ।