শিক্ষা অঙ্গন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
শিক্ষা অঙ্গন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
গাইবান্ধায় শিক্ষা বিস্তারের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ!

গাইবান্ধায় শিক্ষা বিস্তারের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ!


নিরক্ষর মানুষদের মধ্যে বিনা পয়সায় শিক্ষার আলো বিস্তারের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ চোখে পড়েছে গাইবান্ধার প্রত্যন্ত এক গ্রামে। লেখাপড়া না জানা মানুষদের জন্য গড়ে তোলা এই প্রতিষ্ঠানের নাম অন্ধজনে আলোর পথ। রাতের বেলা সেখানে ’অ, আ, ক, খ’র মতো বাংলা বর্ণমালার সাথে পরিচয় হচ্ছেন দিন মজুর, কৃষক, শ্রমিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।সন্ধ্যার পরপরই গাইবান্ধা সদর উপজেলার বালুয়া বাজারের এককোন থেকে ভেসে আসে পড়াশোনার এমন আওয়াজ। এটি কোন কোচিং, কিন্ডার গার্টেন বা স্কুল নয়। আর এখানে যারা পড়াশোনা করেন তাদের অনেকেই কাঁচামাল ব্যবসায়ী। কেউ শ্রমিক কেউ দিন মজুর। যার যার কাজকর্ম সেরে রাতের বেলা মোমের আলোয় পড়াশোনা করেন এখানে।এ বিষয়ে স্থানীয় জনসাধারণের বক্তব্য, ’শহরে যাই, গ্রামে-গঞ্জে যাই বা হাট-বাজারে যাই, হাটের নাম বলতে পারি না। হিসাবপাতি সঠিক মতন করতে পারি না। সেই কারণে আমরা এই উদ্যোগটা নিলাম।’জীবনের মধ্য বা শেষ বয়সে এসেও দমেনি এই মানুষগুলো। পড়াশোনা শেখার অদম্য ইচ্ছা তাদের টেনেছে এই প্রতিষ্ঠানে। পথ চলতে গিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত হয়ে নিরক্ষর এই মানুষগুলো বুঝতে পেরেছে পড়াশোনার বিকল্প নেই।এ বিষয়ে স্থানীয় লোকেরা বলেন, ’এখানে অ, আ শিখতে আসছি। শিখে ব্যবসা-বানিজ্য করব। বাকি-টাকি দিলে লিখতে পারব। মুর্খ মানুষ লেখাপড়া জানি না, এখানে শিখবার আসছি।’শুধু অক্ষর জ্ঞান নয়, বাল্য বিবাহ, যৌতুকসহ বিভিন্ন সামাজিক ব্যাধী সম্পর্কেও এখন সচেতন এই মানুষ গুলো।এ প্রসঙ্গে তারা বলেন, ’আমাদের স্যারেরা বলল, অল্প বয়সে বা কম বয়সে মেয়েদের বিয়ে দেওয়া যাবে না। মেয়েদের বিয়ে দিলে অসুখ বিসুখ হবে, যৌতুক নেয়া যাবে না।’নিরক্ষর এই মানুষগুলোকে অক্ষর জ্ঞান দেয়ার উদ্দেশ্যে ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগ বলে জানালেন স্কুল শিক্ষক খাজা নাজিমুদ্দিন।এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অন্ধজনে আলোর পথ স্কুলের উদ্যোক্তা খাজা নাজিম উদ্দিন সময় সংবাদকে বলেন, ’এই সমস্ত লোক আমি যদি শিক।সা দিতে পারি, তাহলে তারা লিখতে পারবে, পড়তে পারবে, হিসাব করতে পারবে।’শিক্ষার আলো বিস্তারের এই উদ্যোগের প্রশংসা করলেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।এ বিষয়ে গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, ’আমি তাকে সাধুবাদ জানাই এবং ধন্যবাদ জানাই খাজা নাজিমুদ্দিনকে এবং তার উদ্যোগ অব্যাহত রাখুক এবং এই উদ্যোগ ইউনিয়নের প্রতিটি প্রান্তে প্রান্তে ছড়িয়ে পরুক।’প্রায় তিন মাস ধরে এখানে ৩০ জন নিরক্ষর মানুষের মধ্যে শিক্ষা বিস্তার করছেন এই স্কুল শিক্ষক।
স্কুলের পথে যাত্রা: ছোট বেলায় আপনি কিভাবে স্কুলে গিয়েছিলেন?

স্কুলের পথে যাত্রা: ছোট বেলায় আপনি কিভাবে স্কুলে গিয়েছিলেন?

লক্ষাদিক আনন্দের একটি স্থান হল আমাদের প্রিয় স্কুল (পড়ালেখা  আর পরীক্ষার কথা বাদ দিলে)। বছরের শুরু থেকে ইতিমধ্যে সারা বিশ্বের অনেক দেশে ক্লাস শুরু হয়ে গেছে ।  কিন্তু বিশ্বের কিছু অংশে রয়েছে এমন কিছু স্কুল যেখানে যাওয়া অনেকটা কষ্টকর ব্যাপার। সারা বিশ্বের অনেক শিশুকে শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য সবচেয়ে কষ্টকর, অবিশ্বাস্য এবং অকল্পনীয় যাত্রা পথে চলতে হয়।
বাংলাদেশে শিক্ষাখাতের বরাদ্দ আফ্রিকার দরিদ্র দেশের চেয়েও কম!!!

বাংলাদেশে শিক্ষাখাতের বরাদ্দ আফ্রিকার দরিদ্র দেশের চেয়েও কম!!!


একটি দেশের শিক্ষা খাতে মোট জাতীয় আয়ের ৬ শতাংশ বা বাজেটের ২০ শতাংশ বরাদ্দ আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে আদর্শ হিসেবে ধরা হয়। যা ২০০০ সালে বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের সম্মতিতে স্বাক্ষর হয় ‘ডাকার ঘোষণা’। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ জাতীয় আয়ের ২ শতাংশের সামান্য বেশি, অর্থাত্ বাজেটের ১১ শতাংশের কাছাকাছি। যা আফ্রিকার অনেক দরিদ্র দেশের চেয়েও কম। জানা যায়, আফ্রিকার তানজানিয়ায় শিক্ষা খাতে বরাদ্দ দেয়া হয় মোট বাজেটের ২৬ শতাংশ। আর লেসোথোয় এ বরাদ্দ ২৪ শতাংশ, বুরুন্ডিতে ২২, টোগোয় ১৭ ও উগান্ডায় ১৬ শতাংশ। অথচ চলতি অর্থবছর বাংলাদেশে মোট বাজেটের ১১ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হয় শিক্ষা খাতে। ২০০৭-০৮ অর্থবছর এ খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ ছিল ১৫ দশমিক ৬ শতাংশ। অথচ মোট জাতীয় আয়ের হিসাবে আফ্রিকার দরিদ্র দেশগুলোর চেয়ে এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে পাকিস্তান, ভারত ও শ্রীলংকায় কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক সরকার শিক্ষায় আলাদাভাবে বরাদ্দ দেয়। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার চলতি অর্থবছর জাতীয় বাজেটের সাড়ে ১৭ শতাংশ বরাদ্দ দেয় শিক্ষা খাতে। এদিকে দেশে শিক্ষা খাতে বাজেটের মাত্র ১১ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হলেও এর বড় অংশ চলে যায় অনুন্নয়ন খাতে। ২০১৩-১৪ অর্থবছর শিক্ষায় মোট বরাদ্দ দেয়া হয় ২৫ হাজার ৯৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে মাত্র ৮ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা শিক্ষার উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়, যা বাজেটের ৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। বাকি অংশ বরাদ্দ দেয়া হয় শিক্ষকদের বেতন-ভাতা খাতেই। ২০১২-১৩ অর্থবছর শিক্ষা খাতে মোট বরাদ্দ দেয়া হয় ২০ হাজার ৯৯৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে উন্নয়ন বরাদ্দ ছিল ৬ হাজার ১৬৯ কোটি টাকা। আর ২০১১-১২ অর্থবছর শিক্ষা খাতে মোট বরাদ্দ ছিল ১৮ হাজার ৭৩৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে উন্নয়ন বরাদ্দ দেয়া হয় ৪ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা। সূত্র : বণিক বার্তা
আবার ছাত্রলীগ, আবার অস্থির শিক্ষাঙ্গন

আবার ছাত্রলীগ, আবার অস্থির শিক্ষাঙ্গন

 
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকেই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে উঠছে নানা সন্ত্রাসের অভিযোগ। নিজেদের মধ্যে কোন্দল, সংঘর্ষ, বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলোর ওপর আক্রমণ, টেন্ডারবাজির ঘটনায় বারবার নাম এসেছে ছাত্রলীগ কর্মীদের বিরুদ্ধে। এসব ঘটনায় প্রাণহানিও হয়েছে একাধিক। আর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধও থেকেছে দিনের পর দিন। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর চার মাসের মধ্যে আবারও ছাত্রলীগের কারণে অস্থির হয়ে উঠেছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এরই মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ে। একটি মেডিকেল কলেজেও তৈরি হয়েছে উদ্বেগ। রাজশাহী ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে খুন হয়েছেন দুই ছাত্রলীগ নেতা, যার একজন নিজ সংগঠনের কর্মীদের হাতেই খুন হয়েছেন। অন্যজন খুনের পেছনে অবশ্য ছাত্রলীগ দায়ী করছে শিবিরকে। গত পাঁচ বছরে প্রায় চার শতাধিক সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। যার বেশিরভাগই হয়েছে নিজেদের মধ্যে। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার দোকানপাটে চাঁদাবাজি, ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার মতো কাজগুলোর সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগও আছে তাদের বিরুদ্ধে। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতারা বারবার দায়ী কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও পরিস্থিতি পুরোপুরি সামাল দিতে পারছেন না তারা। এসব কর্মকা- বিব্রত করেছে আওয়ামী লীগকেও। দলের নেতারা প্রকাশ্যেই নানা সময় ছাত্রলীগকে আরও সহনশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর এক সদস্য বলেন, ‘ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ডে মাঝেমধ্যে ভাষা হারিয়ে ফেলতে হয়। এ অবস্থা দু-একদিনে হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে সংগঠনটির বিভিন্ন কমিটির ভেতরে দ্বন্দ্বের কুফল পড়তে শুরু করেছে। এগুলো নিয়ে যদি আগে থেকেই কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব সজাগ থাকত তবে আর এ ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হত না। কিন্তু এভাবে একটি ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন নষ্ট হয়ে যাবে তা মেনে নেওয়া যায় না।’ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী ফখরুদ্দিন আমিন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের চেয়েও বড় প্রশাসন ছাত্রলীগ। এখানে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা যা বলবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের তাই শুনতে হবে, এমনটাই নিয়ম হয়ে গেছে। কেউ এর বিপরীতে গিয়ে টিকে থাকার চিন্তা করলে অনেক ধকল পোহাতে হয় তাকে।’ জানতে চাইলে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সবাই অনিয়ম, শৃঙ্খলা ভঙ্গের সঙ্গে জড়িত তা ঠিক নয়। কিছু কিছু জায়গায় কমিটি অগোছালো আছে। মূলত সেসব জায়গায় সমস্যা হচ্ছে। তবে কেন্দ্র থেকে সংগঠনের শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের কখনোই ছাড় দেওয়া হয়নি, ভবিষ্যতেও হবে না।’ সংগঠনে শৃঙ্খলা নেই গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির দুই বছর কার্যকালের মধ্যে সম্মেলন দিতে হয়। তা না হলে নির্বাহী সংসদের কার্যকারিতা লোপ পায়। হিসাব অনুযায়ী, গত বছরের ১১ জুলাই শেষ হয়েছে ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটির মেয়াদকাল। কিন্তু এরপর আট মাস পার হলেও এখনো কোনো সম্মেলন হয়নি। পুরনো কমিটি দিয়েই চলছে দেশের বড় এই ছাত্র সংগঠনটি। যে কারণে কোথাও কোথাও সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষা করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। সংগঠনের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও সম্মেলন না দেওয়ায় সংগঠনটির বিভিন্ন স্তরে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। তাছাড়া বয়সের কারণে যারা ছাত্রলীগ থেকে বাদ পড়বেন, তারা চাচ্ছেন সম্মেলন আরও দেরিতে হোক। অন্যদিকে অপেক্ষাকৃত কম বয়সীরা চাচ্ছেন দ্রুতই সম্মেলন হোক। বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ মোট সাংগঠনিক জেলার সংখ্যা ৯৭টি। কিছু কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বেশিরভাগ কমিটিই মেয়াদ উত্তীর্ণ। অনেক থানা কমিটিতে ১০ বছর ধরে কাউন্সিল হয় না। মেয়াদপূর্তির পরও আগের কমিটির পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়নি। যারা কমিটিতে আছেন তাদের অনেকেরই এখন আর ছাত্রত্ব নেই। ২০১১ সালের ১০ ও ১১ জুলাই অনুষ্ঠিত সম্মেলনে ভোটের মাধ্যমে সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম নির্বাচিত হন। জানতে চাইলে বদিউজ্জামান সোহাগ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন চাইবেন, তখনই সম্মেলন হবে। এনিয়ে সংগঠনের মধ্যে কোনো অসন্তোষ নেই।’ মেয়াদ শেষ হওয়া কমিটিগুলো সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘মেয়াদ শেষ হওয়া কমিটিগুলোর তালিকা হচ্ছে। সেখানে প্রকৃত ছাত্রদের প্রতিনিধি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।’ রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা যা বলছেন ছাত্রলীগের কারণে বারবার সমালোচনার মুখে পড়ছে সরকার। এরপরও সংগঠনটিকে কেন নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না?- জানতে চাইলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ফেরদৌস হোসেন বলেন, ‘ছাত্রলীগের কারণে সরকার বার বার বিব্রত হয়েছে। তারপরও ছাত্রলীগকে নিয়ন্ত্রণে আনার কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। আসলে সরকারই চাচ্ছে না ছাত্রলীগ নিয়ন্ত্রণে থাকুক। এর কারণ সরকারই ছাত্রলীগকে ব্যবহার করছে। যে কারণে ছাত্রলীগ বার বার বেপরোয়া হয়ে উঠছে।’ একই বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ হোসেন মনে করেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আইন ভঙ্গকারী যেই হোক না কেন, তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া গেলে এ ধরনের ঘটনা কমে আসত। তিনি বলেন, ‘শিক্ষাঙ্গনে যে অবস্থা চলছে, এর জন্য ছাত্রলীগকে দায়ী না করে তাদেরকে আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গকারী হিসেবে দেখতে হবে। অনেক জায়গায় নানা উপদলের কারণে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। আর দলের মধ্যে কোন্দল থাকলে ছাত্র সংগঠনের মধ্যেও কোন্দল থাকবে।’ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সায়াদ হত্যা ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সংগঠন এবং প্রভাব বরাবরই বেশ শক্তিশালী। সেখানে খুন হয়েছেন ছাত্রলীগ নেতা সায়াদ ইবনে মোমতাজ। এই খুনের ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে তারই সহকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মামলার পর দুই আসামিকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বলেন, ‘আসামি দুইজনই ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত। তারা আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সায়াদকে নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে এবং অন্য সহযোগীদের নামও বলেছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে।’ ছাত্রলীগ নেতা সায়াদ ভীষণ জনপ্রিয় ছিলেন ক্যাম্পাসে। এই হত্যার পর খুনিদের বিচার দাবিতে উত্তাল বিশ্ববিদ্যালয়। ক্লাস-পরীক্ষা সবই বন্ধ আছে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। এই হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে সংগঠনের দুই নেতাকে বহিষ্কারও করেছে ছাত্রলীগ। তবু ছাত্রদের আন্দোলনে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে ছড়িয়েছে নতুন উত্তেজনা। ২ এপ্রিল সায়াদ নিজ দলের নেতাকর্মীদের হাতে নির্যাতিত হন। তিনদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর মারা যান তিনি। মৃত্যুর আগে সায়াদ তার বড় ভাই মোয়াজ ইবনে মোমতাজকে মুঠোফোনে জানিয়েছেন, ছাত্রলীগের ছেলেরাই তাকে মেরেছে। ক্রিকেটের স্টাম্প দিয়ে তাকে বেধড়ক পেটানো হয়েছে। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলেও শারীরিক অবস্থা যে খুব ভালো নয় তাও জানান তিনি। এ ঘটনায় মামলার পর দুইজনকে তাৎক্ষণিকভাবে দল থেকে বহিষ্কারও করেছে ছাত্রলীগ। কিন্তু এর আগেও এ ধরনের অনেক বহিষ্কারের নজির রয়েছে কিন্তু পরবর্তী সময়ে আবারও এই অন্যায়কারীদের দলে ফিরিয়ে আনার ঘটনাও ঘটেছে। ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে বছরখানেক আগে ছাত্রলীগের দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় রাব্বি নামে ১২ বছরের এক শিশু। একটি মামলাও করেছিলেন শিশুটির বাবা। কিন্তু পুলিশ এই ঘটনায় কোনো কূল-কিনারা করতে পারেনি। আসামিদের কেন কাঠগড়ায় দাঁড় করানো যায়নি- জানতে চাইলে ময়মনসিংহের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম সরওয়ার বলেন, ‘উপযুক্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ দিতে না পারায় বাদী ও আসামিপক্ষের আপসের ভিত্তিতে মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে।’ রাবিতে ছাত্রলীগ নেতা খুন, বন্ধ শিক্ষা কার্যক্রম উত্তেজনা চলছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও। গত শুক্রবার নিজ কক্ষে খুন হন ছাত্রলীগ নেতা রুস্তম আলী আকন্দ। ছাত্রলীগের অভিযোগ, এই খুনের সঙ্গে জড়িত জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কর্মীরা। খুনের ঘটনায় দায়ীদের বিচার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকেছে ছাত্র সংগঠনটি। শিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার প্রধান ইমনকে প্রধান আসামি করে ৫ এপ্রিল মামলাও করেছে ছাত্রলীগ। এরপর দুই শিবির কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু ইমনকে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার বিষয়ে ছাত্রলীগের ঘোষণায় বিপাকে শিক্ষার্থীরা। কোর্স ফি কমানো আর সান্ধ্যকালীন কোর্স বাতিলের দাবিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় এক মাসেরও বেশি সময় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ শেষে এই ঘটনায় আবার ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ হয়ে গেছে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে। বারবার এভাবে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাওয়া নিয়ে উদ্বিগ্ন শিক্ষার্থীরা। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে বারবার অস্থিরতা হয়েছে গত পাঁচ বছরে, যার বেশিরভাগ ঘটনারই অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। ২০১২ সালের ১৬ জুলাইয়ের কথা। পদ্মাসেতু নির্মাণের জন্য টাকা তোলার পর এর ভাগাভাগি নিয়ে ছাত্রলীগের দুইপক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এক পর্যায়ে ওই সংঘর্ষে ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল্লাহ আল হাসান সোহেল গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। নিহত সোহেল সমাজবিজ্ঞান বিভাগে পড়তেন। তিনি ছাত্রলীগের হল প্রস্তুত কমিটির শেরে-ই-বাংলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। এর আগে ২০১০ সালের ১৫ আগস্ট খাবারের টোকেন ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে নিহত হন ছাত্রলীগের কর্মী নাসরুল্লাহ নাসিম। জানা যায়, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে হলগুলোতে বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়। এতে শুধুমাত্র আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য টোকেন বরাদ্দ থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির সভাপতি পক্ষের কর্মী মাসুদ রানার জন্য টোকেন নিতে যায় একই পক্ষের জাহিদ ও জহুরুল। এ সময় হলের নিয়ম ভঙ্গ করে টোকেন নিতে বাদ সাধে ওই হলের সাধারণ সম্পাদক গ্রুপের ছাত্রলীগ কর্মী নাসরুল্লাহ নাসিম। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের কর্মীদের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সভাপতি গ্রুপের কর্মী সাইদ, জাহিদ, জহুরুল, মশিউর, তৌফিক, রুহুলসহ ১০-১২ জন ছাত্রলীগ কর্মী নাসিমকে শাহ মখদুম হলের তিন তলার ছাদে নিয়ে লোহার রড, হকিস্টিক ও লাঠি পেটা করে নিচে ফেলে দেয়। পরে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ওই দিনই তাকে ঢাকার অর্থপেডিকস ইনস্টিটিউটে (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানো হলে এখানে সাতদিন পর ২৩ আগস্ট তিনি মারা যান। এছাড়া ছাত্রলীগ কর্মীরা বেশ কয়েকদিন আগে সান্ধ্যকালীন কোর্স ও বাড়ানো ফি প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপরও হামলা করে। এর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশের সহযোগিতা ছিল বলে বেসরকারি একটি তদন্তে ও পত্রপত্রিকার খবরে উঠে এসেছে। এছাড়া ওই হামলার একাধিক ছবিও গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। উত্তেজনা বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজেও পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান আয়োজন নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে ৬ এপ্রিল বিকেলে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের দুই পক্ষ। এই ঘটনায় একটি ছাত্রাবাসে আক্রমণ করে ভাঙচুর করেছে ছাত্রলীগের একাংশের কর্মীরা। এই ঘটনার পর উদ্বেগ ছড়িয়েছে কলেজটিতে। কারণ দুই পক্ষই হুমকি দিচ্ছে একে অন্যকে দেখে নেওয়ার। পরিস্থিতি মোকাবিলায় ক্যাম্পাসে বাড়তি নিরাপত্তার আয়োজন করতে হয়েছে কর্তৃপক্ষকে। ঢাবির আবু বকর হত্যার বিচার হলো না আজও ২০১০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি স্যার এ এফ রহমান হলের সিট দখল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় নিজ কক্ষে ছিলেন আবু বকর সিদ্দিক। কিন্তু ধাতব কোনো একটি বস্তুর আঘাতে মৃত্যু হয় তার। এই মৃত্যুর জন্য কে দায়ী, সে বিতর্কের শেষ হয়নি আজও। তবে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ না হলে যে এই প্রাণ হারিয়ে যেত না, সেটা বলা যায় সহজ করেই। ২০১০ সালের ২৬ নভেম্বর আবু বকর সিদ্দিক হত্যা মামলায় ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মীকে আসামি করে সম্পূরক অভিযোগপত্র দিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এর আগে শাহবাগ থানার দেওয়া অভিযোগপত্রে আটজনকে আসামি করা হয়েছিল। কিন্তু এখন তারা সবাই জামিনে মুক্ত এবং প্রকাশ্যে ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আবু বকর হত্যার এক মাস পর বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদের নেতৃত্বে গঠিত একটি তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দিলেও সেখানে হত্যা সম্পর্কে সুস্পষ্ট কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি। দীর্ঘ ১৪ মাস মামলার কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর ২০১১ সালের ২৯ এপ্রিল মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে মামলার অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। জাবির জুবায়ের হত্যার বিচারও হয়নি ২০১২ সালের ৮ জানুয়ারি বিকালে শেষ বর্ষের পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পর নিজ সংগঠনের প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীরা হামলা করে জুবায়ের আহমেদের ওপর। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান গবেষণাগারের পেছনে কুপিয়ে জখম করা হয় তাকে। পরদিন ৯ জানুয়ারি ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় পটুয়াখালীর কলাপাড়ার ছেলে জুবায়ের। ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বাদী হয়ে সাভারের আশুলিয়া থানায় ১৩ জনকে আসামি করে একটি মামলা করে। পরবর্তী সময়ে আন্দোলনকারীদের দাবির মুখে এবং মামলার কার্যক্রম দ্রুত নিষ্পত্তি করতে সরকারের নির্দেশে ৬ মাস আগে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। মামলাটির বিচার এখনো চলছে। বিচার হয়েছে কেবল বিশ্বজিৎ হত্যার ২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর ১৮ দলীয় জোটের অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কের সামনে পথচারী বিশ্বজিৎ দাসকে বিএনপি কর্মী সন্দেহে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মীরা নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। আলোচিত ওই হত্যা মামলায় ছাত্রলীগের আট নেতা-কর্মীকে ফাঁসি এবং ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছে ঢাকার চার নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষ বিশ্বজিতের বাবাসহ ৩২ জনকে সাক্ষী হিসেবে উপস্থাপন করে। উভয় পক্ষের সাক্ষ্য নেওয়া শেষে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১৩ সালের ২৭ নভেম্বর যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করে। সেই ছাত্রলীগ, এই ছাত্রলীগ এক সময় ছাত্রদের অধিকার আদায়ের জন্য ছাত্র সংগঠনগুলো লড়াই চালিয়েছে। ঐতিহ্যবাহী ছাত্রসংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগ ছিল অন্যতম। কিন্তু ছাত্রলীগ চলছে পুরোটাই উল্টোরথে। এখন জেলা কমিটিতে নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য মোটা অঙ্কের চাঁদা দিতে হয়। টেন্ডারবাজি এবং চাঁদাবজিই এখন ছাত্রলীগের অনেক নেতা-কর্মীর প্রধান কাজ। তবে আওয়ামী লীগের একজন জ্যেষ্ঠ নেতা মনে করেন, বাংলাদেশের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে চাকরির বাজার সীমিত। এখানে চাকরি পেতে হলে যোগ্যতার চেয়ে রাজনৈতিক পরিচয়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়। যেসব ছাত্র মেধাবী তারাও চাকরি পায় না। সেক্ষেত্রে অনেকে রাজনীতিকে বেছে নেয়।
যৌন হয়রানি : উত্তাল সাস্ট ক্যাম্পাস ভিক্টিম কে স্যার বললেন নষ্টা

যৌন হয়রানি : উত্তাল সাস্ট ক্যাম্পাস ভিক্টিম কে স্যার বললেন নষ্টা




শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে লোকপ্রশাসন বিভাগের কর্মচারী আবু সালেহ কর্তৃক এক ছাত্রী যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন।
গত রোববার এ ঘটনা ঘটার পর ভয়ে ঐ ছাত্রী মুখ খোলেন নি। পরে সোমবার তার সহপাঠীরা ঘটনাটি জানার পর বিভাগীয় প্রধানের কাছে ওই কর্মচারীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এসময় বিভাগীয় প্রধান শিক্ষার্থীদের কাছে একদিনের সময় চেয়ে নেন। তবে মঙ্গলবার নির্ধারিত দিনেও এ ব্যাপারে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। অভিযোগপত্রের প্রেক্ষিতে অভিযুক্তকে এখন পর্যন্ত কোন কারণ দর্শানো নোটিশও প্রদান করা হয়নি।
এরকম একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে বিভাগীয় প্রধানের নিরব ভূমিকায় বিভাগের শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
এদিকে মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ কমিটির কয়েকজন সদস্য এ বিষয়ে লোক প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের সাথে দেখা করতে যান। তবে ওইসময় তিনি বিভাগে না থাকায় মুঠোফোনে তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এবিষয়ে প্রসিডিউর মেইনটেন করে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। তবে ওইছাত্রীর দেয়া লিখিত অভিযোগের বিষয়টি তিনি তাদের সাথে অস্বীকার করেন।
জানা যায়, রোববার লোকপ্রশাসনের বিভাগের এক ছাত্রী বিভাগের অফিসের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তাকে কক্ষে ডেকে নিয়ে যান মাস্টার রোলে নিয়োগ পাওয়া কর্মচারী আবু সালেহ। এসময় তিনি তার হাত ধরে টেনে নিয়ে আপত্তিকর ইঙ্গিত করেন বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন সেই ছাত্রী। এ ঘটনায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিভাগের কয়েকজন ছাত্রীও ওই কর্মচারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন।
যৌন হয়রানির অভিযোগের বিষয়ে বিভাগের কর্মচারী আবু সালেহ সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এব্যাপারে তিনি কথা বলতে চান না।

অপরদিকে আবু সালেহের পক্ষ নিয়ে লোক প্রশাসন বিভাগের জামায়াতপন্থী শিক্ষক নাসির উদ্দিন এর বক্তব্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে ক্যাম্পাসে। তিনি ভিকটিমকে ‘চরিত্রহীনা’ আখ্যা দিয়ে আবু সালেহকে নির্দোষ দাবি করেছেন। তার এধরনের বক্তব্যে ওই সময় বিভাগের অপর শিক্ষকদের তোপের মুখে পড়েন তিনি। এছাড়া শিক্ষার্থীরা দাবি করেছেন, বক্তব্যের জন্য ক্ষমা না চাইলে তারা তার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে নামবেন।
কর্মচারী কর্তৃক যৌন হয়রানি করার ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বুধবার লোক প্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শামীমা তাসনিমকে প্রধান করে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও যৌন নিপীড়ন নিরোধ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. ইয়াসমীন হকের নির্দেশে এ কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ফাতেমা খাতুন ও মো. ফখরুল ইসলাম।

নিউজ লিঙ্ক
http://sustnews24.com/news/4962
http://ctgnews.com/01/28453.php
http://barta24.com.bd/details.php?id=2459
Click This Link
Click This Link