শীগ্রই দেশের ২ লাখ সমবায় সমিতির ডিজিটাল ডাটাবেজ

 
শীগ্রই দেশের ২ লাখ সমবায় সমিতির ডিজিটাল ডাটাবেজ
বর্তমানে দেশের প্রায় ৪০ ভাগ সমবায় সমিতি অকাযর্কর হয়ে পড়ায় মাঠ পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ করতে সমস্যা হচ্ছে। এজন্য দেশের প্রায় দুই লাখ সমবায় সমিতির পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ডাটাবেজ তৈরি করা হবে। এ কাযর্ক্রম স্থানীয় একটি পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক সফটওয়্যার উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হবে। এজন্য থাকবে আধুনিক কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের সুযোগ সুবিধা। পরিকল্পনা কমিশন থেকে জানা গেছে, সমবায় অধিদফতরের আইসিটি ও ই-সিটিজেন সার্ভিস উন্নয়ন-শীর্ষক চলমান প্রকল্পের আওতায় এসব কাজ সম্পূর্ণ করা হবে। প্রকল্পের কাজ ২০১১ সালের মে মাস থেকে ২০১৪ সালের জুন মাসে শেষ হওয়ার কথা ছিল। পরে দুই লাখ সমবায় সমিতিকে পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ডাটাবেজের আওতায় আনার লক্ষ্যে প্রকল্পের মেয়াদ ২০১৫ সালের জুন পযর্ন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। বর্ধিত সময়ে প্রকল্পের আওতায় সফটওয়্যারের জন্য সমবায় সমিতির দুই ধরনের তথ্য (প্রাথমিক ও বাৎসরিক) সংগ্রহ করা হবে। এজন্য সমবায় অধিদফতরের কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে ও প্রকল্পের ডাটা এন্ট্রি অপারেটররা ডাটা এন্ট্রির দায়িত্ব পালন করবেন। এজন্য ডাটা এন্ট্রির সঙ্গে সম্পৃক্ত মোট ১৮০ জনের জন্য অাপগ্রেডেশন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। প্রকল্প প্রসঙ্গে প্রকল্প পরিচালক ও সমবায় অধিদফতরের কর্তকর্তা ড. মুহম্মদ মেহেদী হাসান জানান, দেশের প্রায় দুই লাখ সমবায় সমিতির পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল ডাটাবেজ তৈরি করা হচ্ছে। প্রকল্পের আওতায় ২০১৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত প্রাথমিক তথ্য এন্ট্রির কাজ হয়েছে ৮০ ভাগ। তবে বাৎসরিকভাবে এখনও অনেক কাজ বাকি। এজন্য প্রকল্পের মেয়াদ এক বছর বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া, সফটওয়্যারটি ব্যবহারের পর মাঠ পর্যায়ের চাহিদা অনুযায়ী পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রয়োজনীয় সংস্কার ও উন্নয়ন করা হবে বলেও তিনি জানান। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সমবায় অধিদফতর। প্রথমে প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা। পরে অনুমোদিত মূল ডিপিপির হ্রাস বৃদ্ধির ফলে প্রকল্পের মোট ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ কোটি ২৩ লাখ টাকায়। তবে প্রকল্পের আওতায় ইন্টারনেট খাতে মূল বরাদ্দকৃত ৯৬ লাখ টাকা থেকে কমিয়ে ৩৬ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ইন্টারনেট খাতে বরাদ্দ কম রাখা প্রসঙ্গে প্রকল্প পরিচালক জানান, উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) প্রণয়নের সময় মোট ৭০টি ডাটা এন্ট্রি পয়েন্টের জন্য ইন্টারনেট সংযোগ চার্জ বাবদ অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। পরে পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক তাদের উদ্ধৃত দরের মধ্যে ডাটা ও ইন্টারনেট সেবা দিতে সম্মত হওয়ায় এ খাতে অর্থ সাশ্রয় হয়েছে। এছাড়া, ১৮০ জনের অাপগ্রেডেশন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে ২৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে এটি সরকারের অন্যতম প্রধান উদ্যোগ। এছাড়া প্রকল্পের প্রধান কাজের মধ্যে রয়েছে সমবায় সেক্টরে ই-সার্ভিস প্রদান ও ডিজিটাল অফিস ব্যবস্থাপনা করা। সেই লক্ষ্যে দুই হাজার ৯২৫টি কম্পিউটার ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হবে। এছাড়া দেশের সব সমবায় সমিতির যাবতীয় তথ্য ডাটাবেজ আকারে সংরক্ষণ ও নিয়মিত মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করা হবে। এর পাশাপাশি জেলা পর্যায়ে অতিরিক্ত ৬৯ জন ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ করা হবে। প্রকল্পের আওতায় সমবায় অধিদফতরে একটি ডায়নামিক ওয়েবপোর্টাল চালু করা হবে বলেও জানান তিনি। তিনি আরো জানান, এজন্য এক হাজার ১০ জন সমবায় কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সমবায়ীদের তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ে দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।

SHARE THIS

0 মন্তব্য(গুলি):