বিশ্বের রহস্যময় পাঁচ বিমান দুর্ঘটনা

বর্তমান সময়ে মালয়েশিয়ান জেট ৩৭০ নিখোঁজ হওয়া নিয়ে বেশ আলোচনা হচ্ছে। এখনো উদ্ধার করা যায়নি বিমানটি, জানা যায়নি দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ। বিমানটি উদ্ধারে চলছে জোর প্রচেষ্ঠা। কিন্তু ইতিহাস বলে এই ধরনের রহস্যময় দুর্ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগেও এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। নিম্নে এ রকম পাঁচটি রহস্যময় দুর্ঘটনা তুলে ধরা হলো :
ফ্লাইট ৯৯০ মিসর এয়ার
১৯৯৯ সালে নিখোঁজ হয়েছিল ফ্লাইট ৯৯০ মিসর এয়ার বিমানটি। নিখোঁজ হওয়ার পর মিসর সরকারের অনুরোধে এ বিষয়ে তদন্তে নামে ইউনাইটেড স্টেটস ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন বোর্ড (এনটিএসবি)। বিমানটি নিউ ইয়র্কের জন এফ কেনেডি বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায়। এনটিএসবি ওই ঘটনায় নাশকতার গন্ধ পেয়ে এর তদন্তভার এফবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করে। পরে তদন্তে দেখা যায়, ওই বিমানের চালক আত্মঘাতী হয়েই ওই বিমানটিকে নিয়ে নিউ ইংল্যান্ডে আছড়ে পড়েন। ফলে ওই বিমানের ২১৭ জন আরোহী প্রাণ হারান। তবে মিসর সরকার বরাবরই ওই ঘটনাকে দুর্ঘটনা বলেই দাবি করে আসছে।
ফ্লাইট১৯ ইউএস মিলিটারি
১৯৪৫ সালের ৫ ডিসেম্বরের ঘটনা এটি। লাওডারেবল উপকূলে নিয়ম মাফিক মহড়া দিচ্ছিল মার্কিন বিমান বাহিনীর পাঁচটি বিমান। দিনটি ছিল রৌদ্রময় এবং আবহাওয়াও ছিল ভালো। হঠাৎ মহড়া দলের অধিনায়ক দেখতে পেলেন তাঁর বিমানের কম্পাস কাজ করছে না। গ্রাউন্ড কন্ট্রোল থেকে তাঁকে বলা হলো সূর্যকে তার বন্দরের দিকের ডানায় রেখে উত্তরের দিকে উড়ে যেতে। কিন্তু তিনি তা করলেন না। ফলশ্রুতিতে ওই অধিনায়ক এবং মহড়ারত পাঁচটি বিমান  হারিয়ে গেল কুখ্যাত বারমুদা ট্রায়াঙ্গেলে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর আজ পর্যন্ত ওই পাঁচ বিমান এবং তার ভেতরে থাকা ২৭ জন বৈমানিককে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
ফ্লাইট ৮০০ টিডাব্লিউএ
এই বিমানটি ২৩০ জন যাত্রী নিয়ে যাত্রা করেছিল প্যারিসের উদ্দেশে। কিন্তু উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই তাতে বিস্ফোরণ ঘটে এবং বিমানটি সোজা আটলান্টিক মহাসাগরে পতিত হয়। এনটিএসবি ও এফবিআইয়ের তদন্তে ধরা পড়ে মূলত শটসার্কিট থেকেই আগুন লেগে ওই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
ফ্লাইট ৭ প্যানএম
১৯৫৭ সালের প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে বিলাসবহুল বিমান ছিল ফ্লাইট ৭ প্যানএম। যা বর্তমান সময়ে বোয়িং ৩৭৭-এর আদলে নির্মিত ছিল। ১৯৫৭ সালের ৯ নভেম্বর বিমানটি হনুলুলু যাত্রাকালে প্রশান্ত মহাসাগরে পতিত হয় এবং ৪৪ জন আরোহীর সবাই নিহত হন। এই বিমান দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে, নিহত যাত্রীদের শরীর থেকে কার্বন মনোক্সাইডের গন্ধ পাওয়ায় তদন্তকারীরা শেষ পর্যন্ত ধরে নিয়েছেন যে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই ওই  দুর্ঘটনা ঘটেছে।
এমেলিয়া ইয়ারহার্ট
১৯৩৭ সালের জুন মাসের ঘটনা। মার্কিন নারী পাইলট এমেলিয়া ইয়ারহার্ট প্রথম নারী হিসেবে বিমানে উড়ে আটলান্টিক পাড়ি দেন। নারীবাদী হিসেবেও তিনি অনেক জনপ্রিয় ছিলেন। ১৯৩৭ সালে তিনি বিমানে করে পৃথিবী প্রদক্ষিণের ঘোষণা দেন। আর ওই মিশনেই তিনি প্রশান্ত মহাসাগরের কাছেই হাওল্যান্ড দ্বীপের কাছাকাছি স্থান থেকেই অদৃশ্য হয়ে যান। এরপর তাঁর খোঁজে অভিযান শুরু হলেও তাঁকে আর পাওয়া যায়নি। তাঁর বিমানের কিছু অংশ ওই দ্বীপের কাছের সাগর থেকে উদ্বার করা গেলেও পাওয়া যায়নি তাঁকে, জানা যায়নি দুর্ঘটনার কারণ -

SHARE THIS

0 মন্তব্য(গুলি):