শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত : জেলা আঞ্চলিক ও জাতীয় মহাসড়কে সব যানবাহনকে টোল দিতে হবে : সাইকেল থেকে ভারি ট্রাকের টোল ৫ থেকে ১ হাজার টাকা।

শুধু সেতু নয়। পর্যায়ক্রমে জেলা, আঞ্চলিক ও জাতীয় মহাসড়ককে টোলের আওতায় আনা হবে। এই টোলের হার হবে সর্বনিম্ন পাঁচ টাকা এবং সর্বোচ্চ এক হাজার টাকা। গতকাল মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এ বিধান রেখে ‘টোল নীতিমালা ২০১৪’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভুইয়া সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
নীতিমালা অনুযায়ী জেলা, আঞ্চলিক, জাতীয় মহাসড়ক, গুরুত্বপূর্ণ সেতু, ফেরি এবং ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে যেসব যানবাহন চলাচল করবে, ক্যাটাগরি অনুযায়ী ঐসব যানবাহন থেকে টোল আদায় করা হবে।
বর্তমানে গুরুত্বপূর্ণ নির্দিষ্ট কিছু সংখ্যক সেতু, ফেরি এবং দুটি সড়কে টোল দিতে হয়। মিন্ত্রপরিষদের এই সিদ্ধান্তের ফলে জাতীয়, আঞ্চলিক, জেলা মহাসড়ক, ফ্লাইওভারে চলাচলের ক্ষেত্রে যানবাহন অনুযায়ী টোল দিতে হবে।
আদায় করা টোলের অর্থ সড়ক উন্নয়ন তহবিলে জমা হবে এবং এই অর্থ দিয়ে সড়কের রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়ন ব্যয় মেটানো হবে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘টোল আদায়ের ফলে জাতীয় অর্থনীতি তথা দ্রব্যমূল্যের ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না।’ মন্ত্রিপরিষদ বৈঠকে ‘জাতীয় বীমা নীতি-২০১৪’ উত্থাপিত হলেও অর্থমন্ত্রী না থাকায় তা প্রত্যাহার করে নেয়া হয় বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। সচিব জানান, সর্বমোট ১৩টি ক্যাটেগরিতে যানবাহন চলাচলের জন্য টোল দিতে হবে। সাইকেল থেকে ভারি ট্রাক অর্থাত্ ৫ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা দিতে হবে।
টোল আরোপযোগ্য স্থাপনা চিহ্নিত করে কীভাবে আদায় করা হবে, টোলের টাকা কীভাবে ও কোথায় জমা হবে ইত্যাদি নীতিমালায় বলা আছে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
মোশাররাফ জানান, দেশে একটি বিশাল সড়ক নেটওয়ার্ক আছে। এটি নির্মাণ ও রক্ষাণাবেক্ষণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। টোল আদায় হলে এই অর্থ সড়ক তহবিলে যাবে। এটি সড়ক রক্ষণাবেক্ষণে কাজে লাগবে। ফলে নন ট্যাক্স রেভিনিউ বাড়বে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি জানান, ২০০ মিটারের বড় সেতুর ক্ষেত্রে টোল প্রযোজ্য হবে। এছাড়া পিপিপি’র আওতায় নির্মিত সড়ক, টানেল টোলের আওতায় আসবে।
প্রয়োজনে টোল নীতিমালা ২০১৪ সংশোধন করা যাবে বলেও জানান সচিব। আর প্রতি তিন বছর পর টোলের হার পরিবর্তন বা সংশোধন করা যাবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, দুটি সেতু কাছাকাছি হলে এক জায়গা থেকে টোল আদায় করা হবে।

SHARE THIS

0 মন্তব্য(গুলি):