বিনোদন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
বিনোদন লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে উপচেপড়া ভিড়

রাজধানীর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে উপচেপড়া ভিড়


Image result for park in bangladeshগত তিন মাস ধরে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে হরতাল-অবরোধে নাকাল রাজধানীবাসী। গতকাল বুধবার হরতাল না থাকায় এবং আজ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সারাদেশের মানুষ ঘরের বাইরে বের হয়েছিল স্বতস্ফূর্তভাবে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ শহীদ প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে জাতীয় স্মৃতি সৌধে ভিড় করেন। এছাড়াও সাধারণ মানুষ মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাতে ভিড় করেন শহীদ স্মৃতি স্থাপনাগুলোতে।
স্বাধীনতা দিবসের ছুটিতে রাজধানী ও আশপাশের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে ছিল উপচেপড়া ভিড়। যার রেশ পড়েছিল শহরের মূল সড়কগুলোতে। মূলত নগরীর প্রায় সব বয়সী মানুষের গন্তব্য ছিল শাহবাগের শিশু পার্ক, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানা, পুরান ঢাকার ঐতিহাসিক লালবাগ কেল্লা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা।
একজন মহানায়কের গল্প...

একজন মহানায়কের গল্প...


ইমন নাম ছেঁটে ফেলে বাংলা চলচ্চিত্রে সালমান শাহ নামে আগমন তাঁর। তিনি এলেন, দেখলেন জয় করলেন- এই কথাটা বাংলা সিনেমার জগতে একমাত্র তাঁর সাথেই সহজে মানিয়ে যায়। কারণ সালমান রুপালি পর্দায় এসেই জয় করে নিয়েছিলেন, এখনো জয় করে চলেছেন দর্শকদের ভালোবাসা। আর তাইতো আজ ১৮ বছর পরে এসেও মানুষ এই মহানায়কের মৃত্যুর দিনটাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। মৃত্যুর পরেও তাই আজও সালমান চির অমর হয়ে রয়েছেন দর্শকদের হৃদয়ে।
বড় পর্দায় অভিনয়ে সালমানকে একজন প্রেমিক, কলেজ ছাত্র, কখনো পাগলের ভুমিকায় অভিনয় করতে দেখা গেছে। কখনো মনে হয়নি, এখনো সেই সিনেমাগুলো দেখলে মনে হয়না তিনি অতি অভিনয় করছেন। সব চরিত্রকেই নিজের সাথে মানিয়ে নিতে পারতেন তিনি।
কী এমন জাদু ছিল যার দরুন এই অভিনেতাকে দর্শক বছরের পর বছর তাদের মনে রাজার আসনে বসিয়ে রেখেছেন? মৃত্যুর দেড়যুগ পরও জনপ্রিয়তার ভাটা পড়েনি এতোটুকু? এমন প্রশ্নের জবাবে তার আরেক সহকর্মী চিত্রনায়ক ওমর সানি জানালেন, সালমানের ভিতর কী যেন অজানা একটা ব্যাপার ছিল। বিশেষ করে তার কস্টিউমের ক্ষেত্রে বরাবরই ভিন্নতা দেখেছি। যেমন মাথায় কাপর বাঁধা, কিংবা ধরুন প্যান্ট একটু নিচু করে পরা। এই সব কিছুই সালমানকে অন্যদের থেকে আলাদা করতো। আমি মনে করি প্রতিটি শিল্পীর একটা নিজস্বতা থাকা দরকার। যাতে করে মানুষ যদি রেডিওতে কথা শুনেও বুঝতে পারেন কোন শিল্পী কথা বলছেন। আমার কাছে মনে হয় সালমান সেটি করতে পেরেছিলেন। সে যুগের থেকেও এগিয়ে ছিল। তাই এযুগের নায়করাও তাকে অনুকরণ করেন।
ওমর সানি কথা ধরে বলতে গেলে, সত্যি সালমানের সেই নিজের করা স্টাইল গেঁথে ছিল তার লাখো ভক্তের হৃদয়ে। সেসময় তাকে অনুকরুণ করার চেষ্টা ছিল অনেকের মাঝেই। এছাড়াও তার সাবলীল অভিনয়ের দক্ষতার জন্য আজও বাংলা সিনেমার বর্তমান প্রজন্মের নায়করা সালমানকে তাদের আইডল মানতে দ্বিধা করেন না। এক কথায় বলা যায় তার মতো কেউ ছিলেন না, কেউ নেই, আর কেউ আসবেনও না। সালমান শাহ এর কোন বিকল্প নেই। তিনি একজন মহানায়ক হয়ে বেঁচে থাকবেন যতদিন বাংলা ছবি থাকবে, বাংলা ছবির দর্শক থাকবেন। বেঁচে থাকবেন মানুষের হৃদয়ের মণি কোঠায়।
সালমান শাহর অভিনীত ছবি ও ব্যাক্তি জীবনের কিছু তথ্যপ্রকৃত নাম: শাহরিয়ার চৌধূরী ইমন
চলচ্চিত্রে দেয়া নাম : সালমান শাহ
জন্ম তারিখ : ১৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭১
মৃত্যু : ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৯৬
চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার: ১৯৯৩-১৯৯৬
অভিনীত চলচ্চিত্র : ২৭টি
নাটক: পাথর সময় (১৯৯০), ইতিকথা (১৯৯৪)।
একক নাটক: আকাশ ছোঁয়া (১৯৮৫), দেয়াল (১৯৮৫), সব পাখি ঘরে ফিরে (১৯৮৫), নয়ন (১৯৯৬), স্বপ্নের পৃথিবী (১৯৯৬)।
বিজ্ঞাপন: ইস্পাহানি গোল্ডস্টার টি (১৯৮৩), জাগুয়ার কেডস (১৯৮৪), মিল্কভিটা (১৯৮৮), কোকা-কোলা (১৯৮৯), ফানটা (১৯৯১), জাগুয়ার কেডস (১৯৮৫)।
অভিনীত চলচ্চিত্র সমূহ : কেয়ামত থেকে কেয়ামত, অন্তরে অন্তরে, দেন মোহর, তোমাকে চাই, বিক্ষোভ, বিচার হবে, চাওয়া থেকে পাওয়া, আনন্দ অশ্রু, আশা ভালবাসা, জীবন সংসার, মহা মিলন, স্বপ্নের পৃথিবী, স্বপ্নের ঠিকানা, এই ঘর এই সংসার, আঞ্জুমান, কন্ন্যাদান, মায়ের অধিকার, প্রেম যুদ্ধ, স্নেহ, সত্যের মৃত্যু নাই, সুজন সখী, তুমি আমার, প্রিয়জন, স্বপ্নের নায়ক, বুকের ভিতর আগুন, প্রেম পিয়াসী।
একদমই বদলে গেছেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা!

একদমই বদলে গেছেন চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা!

 
চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা আর আগের মতো নেই। নিজেকে পুরোপুরি বদলে ফেলেছেন। এখন তিনি এক কন্যাসন্তানের মা। তাকে নিয়ে কাটছে তার অষ্টপ্রহর। পাশাপাশি সংসারের সব দায়িত্ব নিজ কাঁধেই নিয়েছেন তিনি। আপাতত অভিনয়ে ফেরা তার কোনো পরিকল্পনা নেই। পূর্ণিমা জানান, আগামী এক বছর তিনি অভিনয়ের নাম নিতে চান না। কারণ এ সময় সার্বক্ষণিক মেয়ের কাছেই থাকবেন তিনি। তাছাড়া বড়পর্দায় ফেরা নিয়েও পূর্ণিমা দোটানায় রয়েছেন। কারণ মা হওয়ার পর দর্শকরা তাকে নায়িকা হিসেবে সেভাবে গ্রহণ করতে নাও পারেন। তাছাড়া পরিবার থেকেও চলচ্চিত্রে ফেরা নিয়ে বাধা রয়েছে। আর তিনিও পরিবারের বিরুদ্ধে যেতে চান না। পূর্ণিমা এখন একটা সুখী সংসার গড়ার স্বপ্ন দেখছেন। তবে জানা গেছে, বড়পর্দায় না ফিরলেও বছরখানেক পর ছোটপর্দায় ফিরতে পারেন পূর্ণিমা। কারণ ছোটপর্দায় কাজের ব্যাপারে তার পরিবারের কোনো চাপ নেই। তাছাড়া এই মাধ্যমে শিশুকন্যাকে নিয়ে কাজ করায় ততটা ঝুঁকিও থাকবে না। পূর্ণিমা ১৩ এপ্রিল কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। বর্তমানে তার বয়স প্রায় দুই মাস। এ প্রসঙ্গে পূর্ণিমা জানান, তার সন্তান যেন দিন দিন বেড়ে উঠছে। তাকে ঘিরেই তার সব স্বপ্ন-পরিকল্পনা। মা হওয়ার অনুভূতি ব্যক্ত করে পূর্ণিমা বলেন, 'মা হওয়ার মধ্য দিয়েই নারী জীবনের পূর্ণতা আসে। নারী হিসেবে আমি সেই পূর্ণতা লাভ করেছি। আমার সন্তানের জন্য সবার দোয়া চাই।' ২০০৭ সালের ৪ নভেম্বর পারিবারিকভাবে ফাহাদ জামিলের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন পূর্ণিমা। তবে মাঝে সংসার জীবনে টানাপড়েন চললেও বর্তমানে সুখেই আছেন তারা। পূর্ণিমা সর্বশেষ 'ছায়াছবি' চলচ্চিত্রের শুটিং করেছেন। শিগগিরই ছবিটি মুক্তি পাবে বলে জানা গেছে। এদিকে 'লোভে পাপ পাপে মৃত্যু' ছবির মাধ্যমে শেষবারের মতো প্রেক্ষাগৃহে দেখা গেছে তাকে। 'শত্রু ঘায়েল' ছবিতে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করলেও ১৯৯৮ সালে জাকির হোসেন রাজুর 'এ জীবন তোমার আমার' ছবির মধ্য দিয়ে চিত্রনায়িকা হিসেবে পূর্ণিমার যাত্রা শুরু হয়। এ পর্যন্ত অর্ধশতাধিক জনপ্রিয় ছবি দর্শকদের উপহার দিয়েছেন সূত্র- যায় যায় দিন